সোমবার

২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুলর্ভপুর ইউপি নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস

Paris
Update : সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২

শিবগঞ্জ থেকে প্রতিনিধি
২ নভেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার দূলর্ভপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে প্রচার প্রচারণা। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী সমান তালে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে একে অপরের মুখোমুখি অবস্থান করছেন। ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে এলাকার ভোটারদের অভিমত। নিজ ঘরের দু’প্রার্থীর কারণে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ দুশ্চিন্তায় থাকলেও স্বস্তিতে রয়েছে জামায়াত। এদিকে আওয়ামী লীগের মাঝে বিদ্রোহকে পুঁজি করে নির্বাচনে ভোটারদের মন জয় করতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন জামায়াত প্রার্থী। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যেমন অবস্থান রয়েছে, তেমনি রয়েছে জামায়াতের শক্ত ঘাঁটি। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ নজমুল কবির মুক্তা (নৌকা), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য বিদ্রোহী বহিষ্কার প্রার্থী (স্বতন্ত্র) বীরমুক্তিযোদ্ধা বজলার রশিদ সনু (মোটরসাইকেল) ও শিবগঞ্জ পৌর জামায়াতের আমির গোলাম আজম (আনারস)। প্রতীক বরাদ্দের পর ৩ প্রার্থীই ভোট ও দোয়া নিতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। দিচ্ছেন উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারার সঙ্গে দুলর্ভপুরের উন্নয়নে সুযোগ চাচ্ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। আওয়ামী লীগ থেকে দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে এসে নির্বাচনে অংশ নেয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বজলার রশিদ সনু। অপরদিকে দুর্নীতিমুক্ত একটি পরিচ্ছন্ন ইউনিয়ন গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাসিনুর রহমান জানান, এ নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৪৮ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৯৮৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৮০১ জন ও নারী ভোটার ১৯ হাজার ১৮৩ জন। নির্বাচনে ১৭ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ১৫০ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ৩০০ জন পোলিং এজেন্ট নিয়োজিত থাকবেন। মোট ভোট কেন্দ্র ১৭টি ও ভোট কক্ষের সংখ্যা ১৫০টি। এদিকে ইভিএমের মাধ্যমে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বিঘ্নে ভোটাররা যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris