শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রেফতারকৃতরা সবাই প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

কুড়িগ্রামে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জন ও পলাতক একজনসহ সাতজনই জড়িত বলে তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এরইমধ্যে কমিটি তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছে। আগামী রবি অথবা সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে। অপরদিকে, মামলার পলাতক আসামি ওই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আবু হানিফ ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কমিটি তদন্ত শেষ করেছে বলে তাকে জানিয়েছে। তারা এখন প্রতিবেদন তৈরি করছেন। একই সঙ্গে তদন্ত কমিটি আগামী দিনে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তাও প্রতিবেদনে সুপারিশ আকারে পেশ করবে। অধ্যাপক কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী রবি অথবা সোমবার কমিটি লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করবে। তদন্ত কার্যক্রমে পলাতক এক জনসহ মোট সাতজন প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে ছয়জনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে।

 

অপর একজন বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে গেছে বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন- কুড়িগ্রামের নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক জোবাইর রহমান, কৃষিশিক্ষার শিক্ষক হামিদুল ইসলাম, বাংলা শিক্ষক সোহের চৌধুরী ও পিয়ন সুজন মিয়া। এই ঘটনার পর ওই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আবু হানিফ পলাতক আছেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনাজপুর বোর্ডে অনুষ্ঠিত ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এরপর ওই কেন্দ্রের সচিব লুৎফর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা স্বীকার করেন।

 

একই সঙ্গে তার কাছে কয়েকদিনের আগাম প্রশ্নপত্র রয়েছে বলে জানান। পরে তার কক্ষ তল্লাশি করে গণিত (আবশ্যিক), উচ্চতর গণিত, কৃষিশিক্ষা, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা ও রসায়ন পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর স্থগিত হওয়া চারটি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) ও উচ্চতর গণিতের (তত্ত্বীয়) প্রশ্নপত্র বাতিল করা হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ট্যাগ অফিসার ও কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী বাদী হয়ে গ্রেপ্তার চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অন্যান্যের নাম ও সম্পৃক্ততা পায়।-এফএনএস


আরোও অন্যান্য খবর
Paris