শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান রাষ্ট্রদূতের

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২

এফএনএস : মালয়েশিয়া থেকে হুন্ডিতে টাকা না পাঠিয়ে বৈধপথে পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সারোয়ার। গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় রাজধানী কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান। দিবসের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সরোয়ার দূতাবাস প্রাঙ্গণে সব কর্মকর্তা, কর্মচারীর উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং উপস্থিত সবাইকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। শাহাদতবরণকারীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে দূতাবাসের হলরুমে দিবসের ওপর আলোচনা করা হয়।

এ সময় রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, বঙ্গবন্ধু গভীরভাবে মানুষকে ভালোবাসতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন জনগণকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে না পারলে অধিকার প্রতিষ্ঠা কিংবা উন্নয়ন কিছুই সম্ভব নয়। জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনই ছিল বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের একমাত্র দর্শন। বাঙালির স্বাধীনতার অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু তার জীবনের বড় অংশ কারাগারে কাটিয়েছেন। মামলা, জেল, জুলুম ও মৃত্যুভয় তাকে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করাতে পারেনি। ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও তিনি আপোশ করেননি। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে এটা খুবই দুঃখজনক। আপনারা প্রবাসী ভাই ও বোনেরা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠাবেন, বর্তমানে মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো, আরও পাঁচলাখ কর্মীর এখানে কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করছি। এরইমধ্যে কলিং ভিসার জন্য প্রায় ৩০ হাজার আবেদন পাইপ লাইনে আছে এবং কাজ চলছে। দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক ঘটনা এবং কলঙ্কময় দিন।

জাতির পিতা সারাজীবন জেল, জুলুম ও অত্যাচার উপেক্ষা করে তার অসাধারণ অসামান্য বীরোচিত নেতৃত্বগুণে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন জাঁতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ভিশন-২০৪১ এবং ডেল্টা প্লান ২১০০ বাস্তবায়ন করছে। তিনি শোককে শক্তিতে পরিণত করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে দৃঢ়ভাবে আত্মনিয়োগ করবার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার শ্রম মো. নাজমুস সাদাত সেলিম। প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর বাণিজ্য মো. রাজিবুল আহসান। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার ফার্স্ট সেক্রেটারি মিয়া মোহাম্মদ কিয়াম উদ্দীন। পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি রাজনৈতিক রেহেনা পারভীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান রুহুল আমিন। আলোনা সভায়, ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ এ খাস্তগীর, কাউন্সিলর শ্রম মো. জহিরুল ইসলাম, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমডোর মোস্তাক আহমেদ, কাউন্সিলর কনসুলার জি এম রাসেল রানা, ফার্স্ট সেক্রেটারি শ্রম এ এস এম জাহিদুর রহমান, ২য় সেক্রেটারি শ্রম সুমন দাসসহ সকল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ বাদল, ইঞ্জিনিয়ার খোকন, শফিকুর রহমান চৌধূরী, মনিরুজ্জামান মনির, আখতার হোসেন, মামুনুর রশিদ, সেলিম জালাল, নুর মোহাম্মদ ভূইয়া, রুহুল আমিন, ফারজানা সুলতানাসহ আওয়ামী পরিবারের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris