শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্নেক আইল্যান্ড থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহার

Paris
Update : শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২

এফএনএস : হামলা শুরুর প্রথম দিনই কৃষ্ণ সাগর এলাকায় ইউক্রেনের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ড দখল করে নিয়েছিল রাশিয়া। তার পর থেকে দ্বীপটি কৌশলগতভাবে কাজে লাগাচ্ছিল মস্কো। বিবিসি জানিয়েছে, দখলের চার মাস পর সেই স্নেক আইল্যান্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ইউক্রেনের তরফ থেকে বারবার বোমাবর্ষণের জেরে রুশ বাহিনী স্নেক আইল্যান্ড বা জেমিনি দ্বীপ পরিত্যাগ করেছে। তবে ইউক্রেনের আটকে থাকা শস্য আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানিতে সহযোগিতা করতে জাতিসংঘের আহ্বানের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সম্পর্কে বলা হয়, রাশিয়ার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে স্নেক আইল্যান্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আরো একবার প্রমাণ হলোÑ ইউক্রেনের আটকে থাকা শস্য রপ্তানিতে মানবিক করিডর নির্মাণে জাতিসংঘ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, রাশিয়া তার বিরোধী নয়। কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্নেক আইল্যান্ড। দ্বীপটি কতখানি গুরুত্বপূর্ণÑতা বোঝাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, যদি রুশ বাহিনী তার মোট সামরিক শক্তির অর্ধেক এই দ্বীপ ও তার আশপাশে মোতায়েন করে, সে ক্ষেত্রে কৃষ্ণ সাগরের পুরো উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল রাশিয়ার দখলে চলে যাবে। বৃহস্পতিবার ভোরে নৌবাহিনীর দুটি জাহাজে করে স্নেক আইল্যান্ড ত্যাগ করেন রুশ সেনারা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সৈন্যদের অন্য কোথাও মোতায়েন করা হবে। রুশ সেনারা দ্বীপটি থেকে চলে যাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে স্নেক আইল্যান্ড ছাড়তে বাধ্য হয়েছে রুশ সেনারা। এজন্য ইউক্রেনীয় সেনাদের নিয়ে গর্বের কথাও জানিয়েছেন তারা। সূত্র : বিবিসি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris