শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থা বাতিলের উদ্যোগ

Paris
Update : বুধবার, ১৮ মে, ২০২২

এফএনএস : সংকটে নিমজ্জিত শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থা বাতিল করে সাংবিধানিক গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য সংবিধানের সংশোধনী প্রস্তাব সংসদে তোলা হচ্ছে। বর্তমান সংবিধানে প্রেসিডেন্টকে কার্যত নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটা দ্বীপরাষ্ট্রটিকে সংকটে ফেলেছে বলে অনেকে মনে করছেন। খবর পিটিআইর। প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই দেশটিতে শাসনতান্ত্রিক এই পরিবর্তন আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বৈরী পরিস্থিতি অনুধাবন করে গোটাবায়াও এ প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে গত সোমবার পার্লামেন্টে ভাষণ দেন। এতে তিনি দ্বীপরাষ্ট্রটির বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের ওপর জোর দেন। তবে সবার নজর ছিল সংবিধানের ২১তম সংশোধনীর দিকে। দেশটির সাংসদরা এদিন সংবিধান সংশোধনী বিলের খসড়া নিয়ে বিতর্ক শুরু করেছেন। বিলে রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থা বাতিল করে সাংবিধানিক গণতন্ত্র প্রতিস্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। এর অর্থ, বিলটি পাস হলে প্রেসিডেন্টের বেশ কিছু ক্ষমতা থাকবে না। প্রেসিডেন্টের ভূমিকা আনুষ্ঠানিকসর্বস্ব হয়ে পড়বে। বিলে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ বা বরখাস্ত করার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী হবেন মন্ত্রিসভার প্রধান। প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ বা পরামর্শে মন্ত্রীদের নিয়োগ করবেন প্রেসিডেন্ট।

তবে তিনটি সশস্ত্র বাহিনীর ওপর প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বহাল থাকবে। ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কার সংবিধানে ১৯তম সংশোধনী এনে প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণের ক্ষমতা প্রেসিডেন্টকে দেওয়া হয়। তা ছাড়া সংসদে সরকারি নীতির বিবৃতি বা সরকার উপস্থাপিত বাজেট প্রত্যাখ্যান বা সংসদে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হলে সরকারের পতন হবে। পরে গোটাবায়া ২০১৯ সালের নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে ১৯তম সংশোধনী বাতিল করা হয়। এরপর ২০২০ সালের আগস্টে সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দল দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়লাভের পরে সংবিধানের ২০তম সংশোধনী পাস করে প্রেসিডেন্টকে নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হয়। সমালোচকরা বলছেন, সর্বশেষ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদ এবং নির্বাহী ও বিচার বিভাগের ভারসাম্য ভেঙে পড়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris