শুক্রবার

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাফল্য উপজেলা নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ করাই লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী তানোরে হিমাগারে ভারতীয় আলু মজুদ? অপতথ্য রোধে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর মোহনপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, ২ জন আহত ইউনিয়নের সম্পাদক মাহাতাবের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রাজশাহীর বাস শ্রমিকদের রাজশাহী নগরীতে পলাতক আসামির অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ বাঘায় স্ত্রীর লাঠির আঘাতে আহত শিক্ষকের মৃত্যু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে জনপ্রশাসনে চিঠি শিক্ষামন্ত্রীর জলবায়ু বিপর্যয় উপকূলীয় মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে : গবেষণা

তুলার সুভ্রতায় কৃষকের হাসি

Paris
Update : সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

চারঘাট প্রতিনিধি : চারঘাটে বাণিজ্যিকভাবে তুলা চাষ করা হয়েছে। এখন চলছে শুভ্র সাদা সোনা (তুলা) সংগ্রহের তোড়জোড়। চলতি বছরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকা, অতি বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া ও রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ না থাকায় তুলার ফলন ভালো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তুলার দাম চড়া হওয়ায় দেশের বাজারেও তুলার দাম মণ প্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩ হাজার ৬০০ টাকা হয়েছে। বাম্পার ফলন ও দামে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

জানা যায়, ব্রিটিশ আমলের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের ঘরে ঘরে কার্পাসের চাষ হতো, ঘরে ঘরে চরকায় সুতা তৈরি হতো, তাঁতিরা কাপড় বুনে দেশের চাহিদা মেটাত। বিশ্ববিখ্যাত মসলিন কাপড় ও অন্যান্য সুতি বস্ত্র সমগ্র ইউরোপে রপ্তানি হতো। তুলা একটি আন্তর্জাতিক মানের শিল্প ফসল, যা বিশ্বব্যাপী ‘সাদা সোনা’ হিসাবে পরিচিত। ব্রিটিশের নীল চাষের কাছে তুলার পরাজয় হলেও বর্তমানে এ অঞ্চলে আবারও বানিজ্যিক তুলা চাষ শুরু হয়েছে। চারঘাট তুলা উন্নয়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে চারঘাটের সাড়ে ১৭ হাজার চাষি ২৫০ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ করেছেন।

যা গতবারের চেয়ে ১০০ হেক্টর বেশি। উচ্চফলনশীল জাত সিবি-১৪ ও লাল তীর জাতের তুলা চাষ হয়েছে। দেশী বিঘাপ্রতি ১২ মণ ও হাইব্রিড তুলা চাষ করে ১৫ মণ ফলন পাওয়া যাচ্ছে। তুলা বাজারজাতকরণে তুলা বোর্ড সারাদেশে তুলার একটি নির্দিষ্ট মূল্য বেধে দিয়েছে। কৃষকরা যখন-তখন নগদ মূল্যে তুলা বিক্রি করতে পারছেন। উপজেলার থানাপাড়া গ্রামের কৃষক মঞ্জুরুল কাদির জানান, তুলা উন্নয়ন বোর্ড থেকে সার, বীজসহ বিভিন্ন ধরণের ঋণ সহায়তা নিয়ে তিন বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি। ইতিমধ্যে ৪০ হাজার টাকার তুলা বিক্রি করেছি, লক্ষাধিক টাকার তুলা বিক্রির আশা আছে।

শুভ্র তোলা আমাদের কাছে সাদা সোনা। এরকম দাম অন্য ফসলে মেলেনা এজন্যই তুলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। উপজেলার মিয়াপুর এলাকার তুলা চাষি আব্দুল হামিদ জানান, ১ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করতে খরচ কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। তুলা উন্নয়ন অফিস কৃষকদের আগাম সার,বীজ ও ঋণসহ বিভিন্ন ধরণের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেন। তুলা বিক্রি করে তা পরিশোধ করা যায়। এজন্য স্থানীয় কৃষকদের তুলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা আব্দুল গফুর জানান, কৃষকরা যাতে উৎপাদিত তুলার ন্যায্যমূল্য পায় সে জন্য তুলার মূল্যও বাড়িয়েছে সরকার।

মণ প্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা তুলার দাম বৃদ্ধি করে ৩ হাজার ৬০০ টাকা তুলার মণ নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে প্রান্তিক চাষিদের কাছে থেকে তাদের উৎপাদিত ফসল তুলা ক্রয় করা হচ্ছে। রাজশাহী বিভাগের মধ্যে চারঘাটে রেকর্ড পরিমাণ ২৫০ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হয়েছে। উপজেলা কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার বলেন, তুলা একটি অর্থকরী ফসল। দেশের জলবায়ু ও মাটি তুলা চাষের উপযোগী হওয়ায় সারা দেশে তুলা চাষ সম্প্রসারণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চারঘাটের কৃষকরা ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় তুলা চাষে ঝুঁকছেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris