শুক্রবার

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাফল্য উপজেলা নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ করাই লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী তানোরে হিমাগারে ভারতীয় আলু মজুদ? অপতথ্য রোধে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর মোহনপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, ২ জন আহত ইউনিয়নের সম্পাদক মাহাতাবের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রাজশাহীর বাস শ্রমিকদের রাজশাহী নগরীতে পলাতক আসামির অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ বাঘায় স্ত্রীর লাঠির আঘাতে আহত শিক্ষকের মৃত্যু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে জনপ্রশাসনে চিঠি শিক্ষামন্ত্রীর জলবায়ু বিপর্যয় উপকূলীয় মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে : গবেষণা

রাজশাহীর আদালতে ভন্ড কবিরাজ ১৪ বছরের জেল

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার : প্রেম জোড়া লাগানোর প্রলোভন দেখিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণ করে আল-আমিন ওরফে আকিল সরদার (৬০) নামের এক ভন্ড কবিরাজ। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগীদের একাধিকবার ধর্ষণ করে ভন্ড কবিরাজ আকিল। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর (১৪) পিতা শফিউল্লাহ প্রামাণিক। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়াউর রহমান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে কবিরাজি চিকিৎসার নামে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়ার দায়ে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে ভন্ড কবিরাজ আকিলের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। একই সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ইসমত আরা। এসময় তিনি জানান, মামলাটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার। এ মামলায় তছলিমা ও রঞ্জু সরদার নামে আরও দুজনকে আসামী করা হয়েছে।

২০১৬ সালে দায়ের করেছেন ভিকটিমের পিতা মো. শাফিউল্লাহ প্রামাণিক। বিচারক মামলাটি ঘোষণার সময় অভিযুক্ত আসামী আল-আমিন ওরফে আকিল সরদার পলাতক ছিলেন। তিনি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই গ্রামের আব্দুল বারী ওরফে ঝোলন সরদারের ছেলে। এজহারের বরাত দিয়ে পিপি ইসমত আরা জানান, ভুক্তভোগীর বাড়ির পাশেই থাকতেন আসামী। তিনি জানতেন ভুক্তভোগীর প্রেমের সম্পর্ক ভাঙ্গার কথা। কবিরাজের কথা বিশ্বাসযোগ্য বলে তাকে আশস্ত করে প্রতিবেশী তছলিমা ও রঞ্জু সরদার।

ভাঙ্গা প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগানোর প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরিকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় এবং ওই ধর্ষণের গোপন ভিডিও ধারণ করে ভন্ড কবিরাজ। ধর্ষণের কথা প্রকাশ করলে তার মৃত্যু হবে বলেও হুমকি দেন। তাতে কাজ না হলে অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এভাবে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে কবিরাজ। ভন্ড কবিরাজের প্রতারণা ও ধর্ষণের শিকার ছিলেন আরেক ভুক্তভোগী তরুণী। তাকেও ভয় দেখিয়ে গোপনে ধর্ষণ করে আসছিল কবিরাজ। একদিন দুজনকে একসঙ্গে তার ঘরে ডাকে।

কিন্তু এতে দুই ভুক্তভোগী তরুণীই অস্বীকৃতি জানানোয় তাদের গোপন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এরপর ভুক্তভোগীদের পরিবার তা জানতে পারেন। পরে ওই দুই তরুণীর মধ্যে একজনের বাবা বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পিপি জানান, এ মামলায় প্রথমদিকে তিনজনকে আসামী করা হলেও পুলিশ তার তদন্ত শেষে একজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

পরে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য নাটোর বড়াইগ্রাম থানা থেকে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়। তিনি আরও জানান, মামলায় মোট ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় ঘোষণা করে। এছাড়াও আদালত বিধি মোতাবেক মামলার আলামত বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও প্রদান করেন এবং পলাতক আসামীকে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris