শুক্রবার

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাফল্য উপজেলা নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ করাই লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী তানোরে হিমাগারে ভারতীয় আলু মজুদ? অপতথ্য রোধে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর মোহনপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, ২ জন আহত ইউনিয়নের সম্পাদক মাহাতাবের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রাজশাহীর বাস শ্রমিকদের রাজশাহী নগরীতে পলাতক আসামির অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ বাঘায় স্ত্রীর লাঠির আঘাতে আহত শিক্ষকের মৃত্যু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে জনপ্রশাসনে চিঠি শিক্ষামন্ত্রীর জলবায়ু বিপর্যয় উপকূলীয় মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে : গবেষণা

চারঘাটে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে লাউ চাষ

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১

চারঘাট প্রতিনিধি : চারঘাট উপজেলায় বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত জমিতে লাউ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সরদহ ও নিমপাড়া ইউনিয়নের সবজি চাষীরা লাউ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। উপজেলায় এবারই প্রথম বানিজ্যিক ভাবে লাউ চাষ শুরু করেছেন তারা। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধান, গম ও আলুর চাষের খরচের সাথে দাম তুলনামূলক কম। কৃষকরা অনেক কষ্টে দিন পার করেছেন তারা। অবশেষে সবজি চাষ করে তাঁদের ভাগ্য ফিরেছে। প্রতিটি পরিবারে এসেছে সচ্ছলতা। সেই সঙ্গে পাল্টে গেছে পুরো গ্রামের দৃশ্যপট। চারদিকে এখন সবজির খেত। কোনো জমিও পরিত্যক্ত হিসেবে পড়ে থাকছে না। তাঁর সাথে যুক্ত হয়েছে সবজি হিসাবে লাউ চাষ।

সরেজমিনে সরদহ ইউনিয়নের খোর্দগোবিন্দপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ পরিবার তাদের বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত জমিতে ও কৃষি জমিতে লাউ চাষ করেছে। খেত পরিচর্যায় অনেক কৃষককে ব্যস্ত থাকতেও দেখা যায়। এ সময় কয়েকজন কৃষক বলেন, সর্বনিম্ন ২ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ জমিতে প্রতিটি পরিবার লাউ আবাদ করেছে। অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত—এই চার মাস খেত থেকে লাউ মিলবে। প্রতি শতাংশ জমিতে গত এক মাসে ইতিমধ্যে গড়ে ১২০টি লাউ উৎপন্ন হয়েছে। এ অবস্থায় প্রতি শতাংশ জমিতে চার মাসে খেত থেকে লাউ মিলবে চার শতাধিক। প্রতিটি লাউ খেত থেকে গড়ে ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খোর্দগোবিন্দপুর গ্রামের লাউ চাষী হাবিবুর রহমান বলেন, তিনি বাড়ির পাশের ২০ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি দুই শতাধিক লাউ বিক্রিও করেছেন। প্রতিটি লাউ খেত থেকে ১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নিমপাড়া গ্রামের কৃষক খাইরুল ইসলাম প্রায় ১৪ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, এক মাস ধরে লাউ বিক্রি করছেন। ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত লাউ বিক্রি হবে। কুয়াশা কম থাকায় এবার ফলন বেশ ভালো। লাউ চাষ লাভবান হওয়ায় এ গ্রামের অনেকের অভাব দূর হচ্ছে।

উপজেলার নন্দনগাছী এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ী মাহাতাব আলী জমি থেকে লাউ কিনে ভ্যানে করে শহরে বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনই লাউ কিনি। প্রতিটি লাউ থেকে অন্তত পাঁচ টাকা লাভ হয়। লাউয়ের ভাল চাহিদা রয়েছে। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মদ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। শীতকালীন সবজি হিসেবে লাউ চার মাস পাওয়া যাবে। লাউ চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেকেই সাবলম্বী হচ্ছেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris