সোমবার

২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবনের রেকর্ড মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে

Paris
Update : শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১

এফএনএস : যুক্তরাষ্ট্রে মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মাদক সেবনের ফলে সৃষ্ট জটিলতায় দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মত মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে লাখের ঘর। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) বলছে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত মাদক সেবনে ১ লাখ ৩০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের বছর এমন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ৫৬। অর্থাৎ বছর গড়াতেই মৃত্যু বেড়েছে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ। ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ৪টি বাদে যুক্তরাষ্ট্রের বাকি সব অঙ্গরাজ্যে মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবনে মৃত্যু বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মহামারির কারণে মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়া সম্ভবত মাদক সেবন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। মাদক ওভারডোজের ফলে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু রেকর্ড করেছে ভারমন্ট। অঙ্গরাজ্যটিতে মৃত্যুহার বেড়েছে ৭০ শতাংশ। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও কেন্টাকিতে এ হার যথাক্রমে ৬২ শতাংশ ও ৫৫ শতাংশ। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিরিক্ত মাদক সেবনে মৃত্যুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ বলা হচ্ছে অপিঅয়েডস-জাতীয় ওষুধকে। বিশেষ করে দুই-তৃতীয়াংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী ফেন্টানিলের মতো সিনথেটিক অপিঅয়েডস জাতীয় ওষুধ।

২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে মৃত্যুর সনদ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সিডিসি দেখেছে, এই এক বছরে মাদকের ওভারডোজে প্রাণ গেছে এক লাখ ৩০৬ জনের। এক বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ৫৬। মাদকের ওভারডোজে সবশেষ মোট বার্ষিক মৃত্যুর ৬৪ শতাংশের জন্য দায়ী ফেন্টানিল। আগের বছর এ হার ছিল ৬৪ শতাংশ। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির মহামারিবিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক ও ওষুধের অপব্যবহারবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ক্যাথেরিন কিজ জানান, গত কয়েক বছর ধরেই ওষুধের ওভারডোজে মৃত্যুহার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছিল।

এর মধ্যে ‘আগুনে ঘি ঢেলেছে’ মহামারি। তিনি বলেন, ‘প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে আভাস মিলেছে যে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বিপুলসংখ্যক মানুষ নিজেরাই ওষুধ সেবন করছেন। ওভারডোজের অন্যতম কারণ এটি। মহামারির সময়ের ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ রোগীর ভিড়ে যখন স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়ার মুখে ছিল, তখন সময়মতো অনেক মানুষ সেবা পাননি। তখন বাধ্য হয়ে তারা ঘরে চিকিৎসা নিয়েছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন ড্রাগ ওভারডোজের পরিচালক ড. নোরা ভলকো বলেন, ‘অনেক বিপজ্জনক মাদক এখন অনেক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। ফলে যারা আগে থেকেই ওভারডোজে অভ্যস্ত, তাদের অনেকেই এখন আরও বেশি মাদক সেবন করছেন।’ মৃত্যুর কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে সংখ্যার দিক থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতা, গাড়ি দুর্ঘটনা ও ফ্লুকে ছাড়িয়ে গেছে মাদকের ওভারডোজ।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris