শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

মিয়ানমারে সংঘর্ষে ভারতে শরণার্থীর ঢল

Paris
Update : শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

এফএনএস : মিয়ানমারে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে সেনাবাহিনী ও জান্তাবিরোধী বিদ্রোহীদের মধ্যে। এ থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে গেছেন ভারত সীমান্তবর্তী থান্টলং শহরের বাসিন্দারা। হাতেগোনা কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা, একটি এতিমখানার কিছু শিশু আর অভিযানরত সেনা সদস্যরা ছাড়া শহরটিতে আর কেউ নেই। এদের মধ্যে বহু লোক সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের। জানা যায়, মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় চিন রাজ্যের সীমান্তবর্তী শহর থান্টলং। সেখানে আনুমানিক ১০ হাজার মানুষ থাকতেন।

তবে এখন প্রায় জনশূন্য গোটা শহর। গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই বিক্ষোভ-সহিংসতা লেগে রয়েছে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে। চলতি সপ্তাহে থান্টলংয়ে সংঘর্ষের সময় অন্তত ২০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, একটি বাড়ির আগুন নেভানোর চেষ্টা করায় এক খ্রিষ্টান যাজককে গুলি করে হত্যা করে সেনারা। তবে সেনাবাহিনীর দাবি, তাদের ওপর শতাধিক ‘সন্ত্রাসী’ আক্রমণ করলে উভয়পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে ওই যাজক প্রাণ হারান। সালাই থাং নামে স্থানীয় এক সম্প্রদায় নেতা জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহে শহরটিতে সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষে অন্তত চার বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। জান্তাবিরোধী গোষ্ঠী চিন ডিফেনস ফোর্স জানিয়েছে, তাদের হামলায় অন্তত ৩০ সেনা প্রাণ হারিয়েছেন।

এদিকে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর শান্তিতে নেই দেশটির সাধারণ মানুষ। প্রতিদিনই সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ ও মিলিশিয়া বাহিনীর লড়াই চলছে। এই লড়াই চলার মধ্যেই দেশটির একটি শহর থেকে প্রায় ৮ হাজার বাসিন্দা পালিয়ে গেছে। পালিয়ে যাওয়া এসব বাসিন্দারের বাড়িতে কামান দিয়ে আগুন লাগিয়ে সব কিছু পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে এসব বাসিন্দা মিয়ানমার থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পালিয়ে গেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তাদের রুখতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের রুখে দেওয়া সম্ভব হয়নি।

ফলে দেশটিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রতিরোধ বাহিনীর প্রতিদিনই সংঘর্ষ চলছে। এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, মিয়ানমারের ওই শহটিতে প্রায় ২০টি ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। একটি আগুন লাগা ভবন থেকে অগ্নিদগ্ধদের বের করতে গিয়ে সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন খ্রিস্টান এক ধর্মযাজক। একজন বাসিন্দা মিয়ানমার নাউকে জানিয়েছে, শহর থেকে ১০০ শতাংশ মানুষ পালিয়ে গেছে। তবে যারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেনি তারাই এখানে বাস করছে। ভারতের মিজোরাম জেলার একটি সিভিল সোসাইটির প্রধান রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি থমাস অ্যানড্রুজ জানিয়েছেন, মিয়ানমারের থ্যাংল্যাং শহর এখন জীবন্ত নরকে পরিণত হয়েছে। এখানে প্রতিনিয়ত সেনাবাহিনীর হাতে সাধারণ মানুষ নির্যাতন হচ্ছে। দেশটিতে ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর হাজার হাজার মানুষ তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামে। বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে এক হাজার মানুষকে হত্যা করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এ ছাড়া ৬ হাজার মানুষকে আটক করে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris