রবিবার

২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগমারায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ বখাটে জেলে, ওসিসিতে কিশোরী

Paris
Update : শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০২১

মচমইল থেকে সংবাদদাতা : পরিচয় গোপন করে প্রেম। বিয়ের প্রলোভনে দেখিয়ে হয় শারীরিক মেলামেশা। প্রেমের ফাঁদে ফেলে এভাবেই চলে প্রায় দুটি বছর। সেই দুই বছরে অনেক জায়গাতেই নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক ঘটিয়েছেন ওই মেয়ের সাথে। এর আগে অন্য স্থানে মেয়েটিকে রেখে করেছেন অসামাজিক কাজ। বিয়ে তো দূরের কথা নিজের সম্পর্কে কোন তথ্যও জানাননি তেমন ভাবে। প্রেমের ফাঁদে ফেলেই ঘটিয়েছেন নানান ঘটনা। নিজের বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান থাকলেও মেয়েটিকে বলেননি সে কথা। মেয়েটির সে রকম বোঝার বয়সও হয়নি এখন পর্যন্ত।

মেয়েটি যখন প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়ে হাইস্কুলে ভর্তি হয় তখনই ছেলেটি অন্য এক জনের মাধ্যমে মেয়েটির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। সেই সম্পর্ক আজ এগিয়েছে অনেক দূর। প্রতারণার শিকার ওই মেয়েটির বছর আনুমানিক ১৪ বছর। জগৎ আর বহুরুপি মানুষ সম্পর্ক নেই তার কোন ধারণা। অথচ তার সাথে করা হলো মিথ্যা ভালবাসার অভিনয়। বাড়িতে সংসার রেখে অসহায় একটি স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে অসামাজিক কার্যক্রম। সাথে নিয়ে ঘুরেছেন অন্যের বাড়ি বাড়ি।

নিজের বাড়িতে কখনও উঠাননি সেই প্রেমিকাকে। বয়স না হওয়ার কারনে বিয়েও করতে পারছেন না। বিয়ের কথা বলেই কেবল মেয়েটির সাথে চলে শারীরিক মেলামেলা। বছর খানেক আগে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন ওই প্রতারক। সে সময় স্থানীয় ভাবে মিমাংসাও করে দেয়া হয়েছিল। কিছুদিন বন্ধ ছিল তাদের প্রেমের কাহিনী। ছেলেটির বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান রেখে আবারও ওই মেয়েটির সাথে শুরু করে যোগাযোগ। জানাযায়, প্রতারক আব্দুল মান্নান (২৯) একাধিক বিয়ে করেছেন।

এমন ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের মচমইল গ্রামে। মচমইল গ্রামের মকবুল হোসেন এর বখাটে ছেলে আব্দুল মান্নান। আগের সেই প্রেমের সূত্রধরে গত ১ আগস্ট বখাটে আব্দুল মান্নান মেয়েটিকে বাড়ি থেকে ভাগিয়ে মোহনপুর উপজেলায় তার এক নিকট আত্মীয়ের বাসায় যায়। সেখানে এক রাত পার করেন দুজনে। এদিকে মেয়েকে বাড়িতে না দেখে খোঁজাখুজি শুরু করে পরিবারের লোকজন। পরে জানতে পারে তার মেয়ে মান্নানের সাথে মোহনপুরে অবস্থান করছে। সেই খবরে সেখানে ছুটে যায় মেয়েটির পরিবারের লোকজন।

এদিকে মেয়ের পরিবারের লোকজন মেয়ে এবং মান্নানকে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ছেলের বাবার সাথে বিষয়টি নিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে কথা বলে মেয়ের পরিবারের লোকজন। তাদের কথা শুনে কোন ব্যবস্থায় নেননি ছেলের পিতা মকবুল হোসেন। তিনি বলেন আমি জানিনা আপনাদের যা ভালো মনে হয় সেটাই করেন। সেই কথার ভিত্তিতে ওই মেয়ে এবং ছেলেকে নিয়ে থানায় হাজির হন মেয়েটির পরিবারের লোকজন। পরে মেয়ের পিতা আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে ৩ আগস্ট বাগমারা থানায় বখাটে মান্নানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

বর্তমানে মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। আর বখাটে আব্দুল মান্নানকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা হাট গাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সইবুর রহমান জানান, বিয়ের প্রলোভনে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বখাটে মান্নানকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সাথে শিশুটিকে ওসিসিতে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris