রবিবার

৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
আজ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় রাজশাহী জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ চায় ঠিকাদাররা! নগদ আছে ১ কোটি টাকা, জানেন না টিভি-ফ্রিজ ও আসবাবপত্রর মূল্য! সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মিথিলার মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখলেন নায়ক দেব! ধান কাটতে গিয়ে ‘হিট স্ট্রোকে’ বাঘার শ্রমিকের সিংড়ায় মৃত্যু! গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয়

লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত রাজশাহীর পানচাষীরা

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১

আরিফ সাদাত, পুঠিয়া : লকডাউনে পানের দাম পড়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন রাজশাহীর পানচাষীরা। হাট বাজারে বিক্রি করতে এসে পানের দাম পাচ্ছেন না। পাইকাররা পান কেনার সময় দিচ্ছেন লতডাউনের দোহাই। রাজশাহীর দুর্গাপুর, বাগমারা, মোহনপুর ও পুঠিয়ায় পানের বরজ রয়েছে।

এসব বরজ থেকে উৎপাদিত পানই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রাজশাহী পান নামে পরিচিত। আবার রাজশাহী পানের চাহিদা ও কদর রয়েছে দেশব্যাপী। তবে এই এলাকার পানচাষীদের জন্য কোন ভর্তুকি সুবিধা রয়েছে কিনা তা বলতে পারছে না কৃষিবিভাগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় পাঁচ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে পান বরজ রয়েছে। এসব পান বরজ জেলার দুর্গাপুর, বাগমারা ও মোহনপুর ও পুঠিয়া উপজেলায়। এবার পান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৮ হাজার ৯৭৬ মেট্রিক টন। গড়ে ৪০ টাকা বিড়া ধরে এক টন পানের দাম দাঁড়ায় এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। রাজশাহীতে বছরে গড়ে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার পান বেচাকেনা হয়।

পান চাষের সঙ্গে জড়িত আছেন ৬০ হাজার ৩১২ জন কৃষক। পানচাষিরা জানিয়েছেন, করোনার কারণেই পানের দাম কমে গেছে। বর্ষা মৌসুমে ৩২ বিড়া (৬৪টি পানে ১ বিড়া) পান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। অথচ গত বছর বর্ষা মৌসুমে ৩ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। এবার এত কম দামে পান বিক্রি হলে পানচাষীদের লস হবে।

দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া গ্রামের চাষি রফিক জানান, এক বিঘা জমিতে একটি পান বরজে বছরে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়। বাজার ভালো হলে খরচসহ চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার পান বিক্রি করা যায়। কিন্তু এবার করোনার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।

শ্যমপুর গ্রামের পানচাষি মিজান জানান, এক বিড়া পান গত বছর এ সময়ে বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা দরে। সেই পান এখন বিক্রি হচ্ছে বিড়াপ্রতি ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা দরে। আর ছোট যে পান ৫০ টাকা বিড়া দরে বিক্রি হয়েছে, সে পান বিক্রি হচ্ছে বিড়া প্রতি দুই টাকা দরে।

পান বিক্রি করে লেবারের খরচটাই উঠছে না। আরেক পানচাষি আব্দুস ছামাদ বলেন, পান ভেঙে বাজারে তুললেও নামমাত্র দামে বিক্রি হচ্ছে। করোনাকালে দোকানপাটে পান বিক্রি কমে আসায় কমে গেছে চাহিদা।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল বলেন, করোনাকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের আমরা জানিয়েছি স্বাস্থ্য বিধি মেনে যেন পানচাষীরা যেন পান বিক্রি করতে পারে। আর ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষীদের জন্য সরকারি কোন ভর্তুকি নেই, আমরা বিষয়টি নিয়ে সহায়তার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে কৃষি বিভাগকে জানিয়েছি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris