মঙ্গলবার

৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আড়ানীর মেয়র মুক্তার গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসছে ভংয়কর কাহিনী

Paris
Update : শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১

শাহানুর আলম বাবু, বাঘা : প্রথম জীবনে চাঁদা তুলে সংসার চললেও রাজশাহীর বাঘার আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলীর ঘরেই মিলেছে কোটি টাকা। ছিলো অস্ত্র, গুলি এবং মাদকের মজুত। আড়ানীজুড়ে ছিল তার ত্রাসের রাজত্ব। এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন মুক্তার বাহিনী। যার নেতৃত্বে ছিলেন তিনি নিজেই। অনেক মামলাকে তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেও এবারে শিক্ষক পেটানোর মামলায় ফেঁসে গেছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার ভোর পাঁচটায় পাবনা জেলার ঈশ^রদী উপজেলার পাকশি রুপপুর এলাকার ভাইরাভায়ের বাড়ি থেকে তার এক সহযোগিসহ তাকে গ্রেপ্তার করে রাজশাহী রেঞ্জ ডিবি পুলিশ।

গত বুধবার ভোরে মুক্তার এর স্ত্রীসহ ২ ভাতিজাকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মুক্তারের উত্থান কাহিনী শুধু কুটকৌশলে ভরা। এক সময় ছিলেন রাস্তার টোল আদায়কারী। সেখান থেকে হন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। তারপর পৌরসভার কাউন্সিলর। এরপর মেয়র। আড়ানীজুড়ে ছিল তার ত্রাসের রাজত্ব কখনও ষড়যন্ত্র করে, কখনও নির্যাতন অথবা ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মোকাবিলা করেছেন তিনি। জনপ্রতিনিধি হয়েই হয়েছেন বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক। চলাচল করেন বেপরোয়া। প্রায় সব সময়ই মদ্যপ অবস্থায় থেকে মারধর করেন যাকে ইচ্ছে তাকে।

সর্বশেষ, এক কলেজ শিক্ষককে মারধর করেই ফেঁসে গেছেন আড়ানীর ত্রাস মুক্তার। ঘটনাটি গত মঙ্গলবার রাতের। মেয়রের প্রভাব খাটিয়ে লকডাউনের মধ্যেও দোকান খুলে হালখাতা করছিলেন তার বেয়াই শামীম উদ্দিন। এ সময় উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামাল হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে শামীমকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হন মেয়র। রাতেই তিনি পৌর এলাকার সব দোকানপাট দেখতে বের হন। দোকান খুলে রাখায় তিনি কয়েকজন ব্যবসায়ীকে পেটান।

এরপর যান মনোয়ার হোসেন নামে এক কলেজ শিক্ষকের ওষুধের দোকানে। এই মনোয়ার গত পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছিলেন। আর মুক্তার ছিলেন নৌকার ‘বিদ্রোহী প্রার্থী। সুযোগ পেয়ে মেয়র এই শিক্ষককে দলবল নিয়ে পেটান। এ নিয়ে রাতেই মুক্তারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন শিক্ষক মনোয়ার হোসেন। এরপর ওই রাতেই পুলিশ মেয়রকে ধরতে তার বাসায় অভিযান চালায়। এসময় আলোচিত সেই মেয়র মুক্তারকে না পেলেও মুক্তার এর স্ত্রী সহ ২ ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশের অভিযানে বাড়িতে মেলে একটি অবৈধ বিদেশী পিস্তল, একটি ওয়ান শ্যুটার গান, দেশে তৈরী একটি বন্দুক, একটি এয়ার রাইফেল, শটগানের ২৬ রাউন্ড গুলি, চারটি পিস্তলের ম্যাগজিন, পিস্তলের ১৭ রাউন্ড গুলি, চারটি গুলির খোসা, ১০ গ্রাম গাঁজা, সাত পুরিয়া হেরোইন, ২০ পিস ইয়াবা, নগদ ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা এবং মুক্তার সাক্ষরিত দুটি চেক। চেক দুটিতে টাকার পরিমাণ ১৮ লাখ।

জানা গেছে তিন বছর আগেও মুক্তার আলীর আধাপাকা টিনশেড বাড়ি ছিলো। এখন সেখানে আভিজাত্যে ভরা দোতলা বাড়ি। বাড়িতে রয়েছে এসি, দামি আসবাবত্র। আছে প্রাইভেটকার। বিলাশী মেয়র মুক্তার কিনেছেন তিনটি মোটরসাইকেলও। এর মধ্যে একটি আর ওফান ফাইভ, এফজেড ভার্সন-২ এবং একটি আরটিআর। নামে- বেনামে কিনেছেন জমি। ছেলে রাজু আহমেদকে করে দিয়েছেন একটি হার্ডওয়্যারের দোকান। কীভাবে এত টাকার মালিক হলেন মেয়র? অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌরসভার সব উন্নয়ন কাজ তিনি দুইজন আওয়ামী লীগ নেতাকে দিয়ে করান। এদের একজন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন আলী এবং অন্যজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক কবীর। মামুন লাইসেন্স নিয়ে ঠিকাদারী করলেও কবির পেশায় শিক্ষক। কাজের কমিশন পেয়ে তাদের কাজ দিয়ে থাকেন মেয়র মুক্তার আলী। এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মামুন বলেন, আমার এ ব্যাপারে কোন সংশ্লিষ্ঠতা নেই। নিয়মের বাইরে কোন কাজ আমি করিনা। ওয়াহেদ সাদিক কবীর মোবাইল ফোনে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে পরে কথা বলবো।

অনুসন্ধানে মেয়র মুক্তার আলীর আয়ের আরও উৎস পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, আড়ানী থেকে রুস্তমপুর পর্যন্ত রাস্তা সংষ্কারে ৪৫ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করেছিল পৌর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোন কাজ না করেই বিল তুলে নেয়া হয়েছে। সেই রাস্তা পরে সংষ্কার করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এই রাস্তা থেকেই মেয়র অন্তত ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, আড়ানী পৌরসভায় দুটি হাট আছে। হাট দুটি কখনও স্বচ্ছভাবে ইজারা দেন না মেয়র। সেখান থেকে পান টাকা। পৌর এলাকার সুদ, মাদক কারবার এবং অবৈধ দোকানপাট থেকে মসোয়ারা নেন মুক্তার আলী। পৌরসভার তেঁতুলতলা এলাকায় ট্রাক থেকে তোলা হয় টাকা। এই টাকারও কোন হিসাব থাকে না। এছাড়া সালিশে গেলে কোন না কোন পক্ষের হয়ে কাজ করেন মেয়র। এতেও নেন টাকা। এভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন মুক্তার আলী।

মেয়র মুক্তার আলীর বাবার নাম নইম উদ্দিন। এলাকায় তিনি ‘নইম ডাকাত’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এলাকার মানুষ এতটাই অতিষ্ঠ ছিলেন যে, তাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলা হয়। মুক্তারের বড় ভাইয়ের নাম কালু। তিনিও এলাকার মানুষকে অত্যচার করতেন। প্রায় পাঁচ বছর আগে এলাকার এক ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হয়ে হাসুয়ার কোপে গলা নামিয়ে দিয়েছিলেন কালুর। এতে ঘনাস্থলেই মারা যান কালু। হামলাকারী ওই ব্যক্তিও সেদিন থেকে লাপাত্তা। আজও এলাকায় ফেরেননি। অভাব-অনটনের সংসারে অষ্টম শ্রেণি পার হতে পারেননি মুক্তার আলী। প্রথম জীবনে তার আয়ের উৎস ছিলো বাড়িতে পাঠা পোষা। তখন ভারত থেকে গরু, চিনি ও লবণ আসত। মুক্তার আলী তখন চোরাচালান থেকে চাঁদা ওঠাতে শুরু করেন। এভাবেই তার সংসার চলত।

মুক্তার আলী ১৯৯৬ সালে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। কিস্তু নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে পরের বছরই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়। ২০০৬ সালে আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদ পৌরসভা হয়ে যায়। তার আগে আড়ানী ইউপির সদস্য হয়েছিলেন মুক্তার আলী। পরবর্তীতে পৌরসভার কাউন্সিলর হন। তবে ২০১৫ সালে পৌরসভা নির্বাচনে আ‘লীগের দলীয় মনোনয়ন পান আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবুল হোসেন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগের রাতে রহস্যজনকভাবে বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়।

কাকতালীয়ভাবে মনোনয়ন পেয়ে যান মুক্তার আলী। হয়ে যান মেয়রও। এরপর আরও বেপরোয়া হয়ে যান মুক্তার আলী। তার নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুজ্জামান শাহিদ। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ভোটে থেকে যান মুক্তার আলী। হামলা-মামলা করেন নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর। ঘটে গোলাগুলিরও ঘটনা। তখনও মুক্তার আলীর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। সেই মামলায় জামিন না নিলেও নির্বিঘ্নেই তিনি শপথ নেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।

পৌর নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগের রাতে বিষক্রিয়ায় মারা যান আ‘লীগ নেতা বাবুল হোসেন। এলাকায় এখনও গুঞ্জন আছে, বাবুলের মদ্যপানের অভ্যাস থাকায় সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মদের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দিয়ে বাবুলকে মেরে ফেলা হয়। এ বছর পৌর নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বাবুলের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা রিবন আহমেদ বাপ্পী। তাঁর মনোনয়ন পাবার সম্ভাবনাও ছিলো। মনোনয়নপত্র বিতরণের কয়েক দিন আগে হঠাৎ এক তরুণী দাবি করে বসেন, বাপ্পী তাকে ধর্ষণ করেছেন। এ নিয়ে বাপ্পীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়।

মামলার বাদী ওই তরুণী, সম্পর্কে মেয়র মুক্তার আলীর ভাগনি। আড়ানী পৌর আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন বলেন, বাবুলের মৃত্যুটা ছিলো রহস্যজনক। এই মৃত্যুর সঙ্গে মুক্তারের যোগসূত্র আছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। পরে বাবুলের ছেলে বাপ্পীকে তো ফাসিয়েই দেয়া হলো পরিকল্পিতভাবে। সে কারণে নির্বাচনে বাপ্পীও মনোনয়ন পেল না। এমনই ভয়ংকর কুটকৌশল মেয়র মুক্তারের।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সব সময়ই মদ্যপ অবস্থায় থাকেন মুক্তার আলী। ভীষণ রগচটা মানুষ তিনি। কথায় কথায় মারধর করেন। পৌরসভায় এমন কোন কর্মকর্তা- কর্মচারী খুঁজে পাওয়া যাবে না, যিনি মেয়রের হাতে লাঞ্ছিত হননি। মাসখানেক আগে লিটন আলী নামে পৌরসভার এক নৈশ প্রহরীকে মাছ কেনার জন্য পাঠান মেয়র। পওে ব্যাগভর্তি মাছ আনার পথে ব্যাগটি ছিঁড়ে কিছু মাছ পড়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘুষি মেওে লিটনের তিনটি দাঁত ভেঙ্গে দেন মেয়র। নির্বাচনের কিছুদিন পর তার পক্ষে না থাকায় এবং নৌকার পক্ষে ভোট করায় পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আজিবার রহমান নামের এক যুবককে মেয়র মুক্তার ও তার লোকজন পিটিয়ে তার হাত পা ভেঙ্গে দেন।

শুধু আজিবার নয়, নৌকার পক্ষে থাকায় নির্বাচনের সময় ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমানের পেটে ছুরি মেরে নাড়িভুড়ি বের করে দেন মুক্তার ও তার বাহিনি। মতের সঙ্গে মিল ছিল না বলে ২০১৬ সালে সারদা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মনিরুল আজম নামে এক কলেজ শিক্ষককে অস্ত্রসহ ধরা হয়েছে বলে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন মেয়র। সুন্দরভাবে ওই প্রভাষককে ডেকে তিনি আটকে দেন। এরপর একটা অস্ত্র পাশে রেখে জোর করে ছবি তোলেন। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। সেই মামলা এখনও চলমান রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর এলাকার অসংখ্য মানুষ মুক্তার আলীর নির্যাতন-হয়রানির শিকার। তাঁর মতের সঙ্গে না মিললে তিনি পৌরসভা থেকে কাউকে নাগরিকত্ব, জন্ম সনদ কিংবা প্রত্যয়নপত্রও দেন না। নৌকার ভোট করার কারণে মনোরঞ্জন সরকার নামে এক ব্যক্তি পৌরসভা থেকে একটি প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারেননি। মেয়রের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ কাউন্সিলররাও। সহ্য করতে না পেরে জিল্লুর রহমান নামে এক কাউন্সিলর তো মেয়র মুক্তার আলীকে পিটিয়েছিলেন।

আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন বলেন, ‘এমন কোন অন্যায় নেই যেটা মেয়র মুক্তার আলী আড়ানীর মানুষের সাথে করেননি। এ রকম মেয়র আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের। তিনি বলেন, আড়ানীর মানুষ খুব ঠাণ্ডা প্রকৃতির। কিন্তু মেয়র খুব গরম মেজাজের। আমাদের দুঃখ রাখার জায়গা নেই। রাজশাহী জেলা আ‘লীগের এক নেতা বলেন, কে বা কারা মুক্তারকে আজকের সন্ত্রাসী মুক্তার হিসেবে গড়ে তোলেছেন, কারা তাঁকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় সেটা এখন সকলের প্রশ্ন। তাদেরসহ আইনের আওতায় আনতে হবে। রাজশাহীর পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, মেয়রের হাতে মারধরের শিকার শিক্ষক মনোয়ার হোসেনের মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ দুটি মামলা করেছে।

আর আগে থেকেই তার বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি মামলা আছে। সবমিলিয়ে এখন আটটি মামলার আসামি মেয়র মুক্তার। গতকাল সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় রাজন নামের তার এক সহযোগিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে নিয়ে অভিযান চালানোর একপর্যায়ে বাঘা থানার আড়ানীস্থ তার নিজ বাড়ি থেকে তার দেখানো মতে চার বোতল ফেন্সিডিল, একশত গ্রাম গাঁজা, নগদ একলাখ বত্রিশ হাজার টাকা এবং দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। অভিযান শেষে আইনি প্রক্রীয়া সম্পুর্ন করে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

চার দিনের রিমান্ড : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার আলোচিত মেয়র মুক্তার আলীকে রিমান্ড নিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে আদালতে হাজির করে অস্ত্র মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। সন্ধ্যায় রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর শুনানি শেষে বিচারক সাইফুল ইসলাম চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম। আর আগে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে মেয়র মুক্তার আলীকে পাবনার ইশ্বরদীর পাকশী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করে ব্রিফিং করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris