বৃহস্পতিবার

২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
মোহনপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, ২ জন আহত ইউনিয়নের সম্পাদক মাহাতাবের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রাজশাহীর বাস শ্রমিকদের রাজশাহী নগরীতে পলাতক আসামির অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ বাঘায় স্ত্রীর লাঠির আঘাতে আহত শিক্ষকের মৃত্যু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে জনপ্রশাসনে চিঠি শিক্ষামন্ত্রীর জলবায়ু বিপর্যয় উপকূলীয় মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে : গবেষণা গোপন নথিতে উঠে এল ইরানি কিশোরীকে যৌন নিপীড়ন-হত্যার ঘটনা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নির্মিত তাঁবু গুটাতে কলাম্বিয়া শিক্ষার্থীদের অস্বীকৃতি আজ মহান মে দিবস তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখলো দেশবাসী

তানোরে ইজিপি প্রকল্পে অর্থ হরিলুট?

Paris
Update : রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১

আলিফ হোসেন, তানোর : রাজশাহীর তানোরে শ্রমিক ছাড়াই কাগজ-কলমে হাজিরা দেখিয়ে চলছে ৪০ দিনের কর্মসৃজন (ইজিপি) প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাগজের মাধ্যমে নয়-ছয় করে প্রকল্পের অর্থ হরিলুট করছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয়রা বলছে, পিআইও সাহেবের মদদ ব্যতিত প্রকল্প বাস্তবায়নে এমন ওপেন সিক্রেট অনিয়ম-দুর্নীতি করা সম্ভব নয়। তারা এসব প্রকল্প সরেজমিন তদন্তের দাবি জানান।
জানা গেছে, প্রান্তিক শ্রমজীবী মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পে বরাদ্দকৃত লাখ লাখ টাকা হরিলুট করা হচ্ছে।

এ হরিলুটে রয়েছেন খোদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আর সচিবরা। প্রতিটি প্রকল্পে ৩৫ জন করে শ্রমিক বরাদ্দ থাকলেও তা কেবল কাগজেকলমেই সীমাবদ্ধ। প্রকল্প এলাকায় নামেমাত্র কয়েকজন শ্রমিক থাকলেও কাগজেকলমে দেখানো হচ্ছে শতভাগ হাজিরা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের যোগসাজশেই দুর্নীতির এমন মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে, প্রকল্প চলমান এলাকায় প্রকল্পের তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড থাকার কথা থাকলেও ইউনিয়নের কোথাও প্রকল্পের কোনো সাইনবোর্ড লক্ষ্য করা যায়নি।

ভুয়া নামের তালিকা তৈরি করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করতেই সাইনবোর্ড সরবরাহ করা হয়নি বলে অভিযোগ অনেকের।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মে মাসে কর্মহীন শ্রমজীবীদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি (ইজিপি) প্রকল্প চালু করেছে সরকার। মাঠে কাজ না থাকায় কর্মহীন প্রান্তিক শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় ৪০ দিনের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের কাজ বরাদ্দ হয়। এতে সপ্তাহে পাঁচদিন সরকারিভাবে গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পে মাটি কাটার কথা শ্রমিকদের।

উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ইউনিয়নে ৩৫ জন শ্রমিকের বিপরীতে কাজ করছেন মাত্র ৫ থেকে ১০ জন শ্রমিক। একেকজন শ্রমিক কাজের বিনিময়ে প্রতিদিন পাবেন ৪০০ টাকা। এজন্য উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে ৮৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রত্যেক ইউনিয়নে প্রতিদিন ৩৫ জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও সরেজমিন পাওয়া যায় মাত্র ৫ থেকে ১০ জন শ্রমিক। তাও আবার করোনাভাইরাসের অজুহাতে কাজ বন্ধ দেখানো হয়। কিন্তু এ প্রকল্পের টাকা সংশ্লিষ্টরা উত্তোলন করে ভাগ-বাঁটোয়ারা করছেন।

বাকি শ্রমিকরা কোথায় কাজ করছে তার কোনো খবর জানেন না ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের পিআইসি। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন দফতর ম্যানেজ করে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করতেই এভাবে খাতাকলমে শতভাগ শ্রমিক উপস্থিতি দেখিয়ে বাস্তবে নামমাত্র শ্রমিক দিয়ে কাজ করাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলার কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন ও সরনজাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, প্রকল্পের কোথায় কত শ্রমিক বরাদ্দ তার কোনো খবর জানা নেই। এসব কাজ মেম্বারদের দেখভালের দায়িত্বে বলে এড়িয়ে যান তিনি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম বলেন, যেখানে যে কয়জন শ্রমিক কাজ করছেন সেই তালিকা অনুযায়ী বিল প্রদান করা হবে। সরকারি প্রকল্পে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris