বুধবার

৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী নগরীতে প্রস্তাবিত কবরস্থান ও ঈদগাহ নির্মাণে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন প্রথম ধাপে ১৪১ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আজ প্রকল্প কতটুকু জনকল্যাণে লাগবে তা বিবেচনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর চৌবাড়িয়া পশুহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ তানোরের গরুর গাড়ি আর মাটির বাড়ি স্থান পেয়েছে ডাক বিভাগের বিশেষ খামে রাজশাহীতে পাথরের ট্রাক থেকে ৫ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার কাল গোদাগাড়ী উপজেলায় নির্বাচনে লড়াই হবে ত্রিমূখী? রাজশাহী নগরীতে প্রশস্তকৃত সড়কে আলোকায়নের উদ্বোধন করলেন মেয়র দেশে বর্তমানে বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে ৬ কোটি টাকা লেনদেন তথ্য

Paris
Update : সোমবার, ৩১ মে, ২০২১

এফএনএস : হেফাজতে ইসলামের সদ্যবিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় ডিবি কার্যালয়ে এসব কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম। তিনি বলেন, সম্প্রতি হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাকে আমরা গ্রেফতার করেছি।

গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে অনেক মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। এর মধ্যে হেফাজতের অর্থনৈতিক বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও নথিপত্র যাচাই-বাছাই করছি। মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও অতি সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে হেফাজতের সাবেক কমিটির অর্থ সম্পাদক কাসেমীকে। তার কাছেও বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট পেয়েছি, সেগুলোরও তদন্ত চলছে। এই অর্থায়নগুলো হয় বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে।

প্রবাসীরা মাদরাসা কিংবা মাদরাসা-শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কাজে হেফাজতের কাছে দান করে থাকে। এর মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্যও তারা দান করে থাকে। এছাড়াও হেফাজতের জন্যও কিছুকিছু টাকা বিদেশ থেকে আসে। এই টাকাগুলো বিদেশ থেকে আসার পর সেগুলো হেফাজত ইসলামের নেতারা সঠিকভাবে মেইনটেইন করতেন না। তাদের নিজের ইচ্ছামতো টাকাগুলো নেয়ার পর খরচ করতেন। তারা এই টাকাগুলো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেছে।

বিশেষ করে হেফাজতের নিজেদের কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেছে। রোহিঙ্গাদের টাকাও হেফাজত নিজেদের কাজে ব্যবহার করত। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ টাকা তারা তসরুপ করেছে। টাকাগুলো দিয়ে হেফাজত নেতারা নিজেদের বাড়ি-গাড়ি করেছে। তদন্তে দেখা গেছে, মাদরাসার সংগঠন বেফাক কিংবা হায়াতুল উলয়া এসব সংগঠন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন কিন্তু এসব সংগঠনও হেফাজতের কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছে। ফলে এসব সংগঠনগুলো তাদের সঠিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না।

এ ধরনের অর্থ যাদের হাতে চলে যাচ্ছে কিংবা অর্থের নিয়ন্ত্রক যারা তারাই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। আবার ক্ষেত্রবিশেষে তারাই এই টাকাগুলোর মালিক হচ্ছে। আবার অনেক ভালো আলেম-ওলামা আছেন তারা এই সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে যাচ্ছে। কারণ যার কাছে অর্থ আছে, টাকার বিনিময়ে ক্ষমতা তারাই নিয়ন্ত্রণ করতে চান। এসব বিষয়ে আলাদা মামলা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলম বলেন, ২০১৩ সালের ১৪টি মামলা আমরা তদন্ত করছি। এছাড়াও নতুন বেশ কয়েকটি মামলা আমরা পেয়েছি। এছাড়াও অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনীও এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে। খুব দ্রুতই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা হবে বলে জানান তিনি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris