শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

অনলাইন ক্লাসে আলোর মুখ দেখেনি পুঠিয়ায় শিক্ষার্থীরা

Paris
Update : রবিবার, ৩০ মে, ২০২১

পুঠিয়া সংবাদদাতা : করোনা মহামারিতে বছরাধিকাল যাবত দেশে লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস চালু করা হয়। তবে নানা জটিলতার কারণে রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্কুল-কলেজ গুলোতে অনলাইন ক্লাস আলোর মূখ দেখেনি।

উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট কলেজের সংখ্যা ১৮ টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৮ টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮৯ টি, মাদরাসা ১৪ টি এবং কেজি স্কুল রয়েছে ৩০টি। এ সকল প্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজারের অধিক রয়েছে।

আজিজুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আমার একটি ছেলে নবম ও মেয়ে ৫ম শ্রেণিতে পড়ে। করোনার প্রভাবের কারণে কাজ অনেক কমে গেছে। দীর্ঘদিন থেকে সংসার চলছে টেনেকষে। এর মধ্যে ভালো মানের ফোন বা কম্পিউটার কেনার মত সামর্থ্য আমার নেই। এরকম শুধু আমি একা নই, আমার মত অনেক শ্রমজীবি পরিবারের ছেলে মেয়েদের একই অবস্থা।

স্কুল গুলোতে অনলাইন ক্লাস চললেও প্রযুক্তির অভাবে আমাদের সন্তানরা এতে অংশ নিতে পারেনি। তারা বাড়িতে যা পারছে তাই পড়ছে। তবে শিক্ষকদের নির্দেশ মোতাবেক তারা এবার বাড়ি থেকে লিখে স্কুলে জমা দিচ্ছে।

সাব্বির হোসেন নামের একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী জানায়, করোনার কারণে সরকার গত বছর অটোপাস দিয়েছে। এবারও করোনার প্রভাব রয়েছে। তাই সকলকে অটোপাস দেয়ার আশা করেছিলাম। যার কারণে অনলাইন ক্লাসে তেমন আগ্রহ ছিল না। তবে স্যারদের নির্দেশক্রমে এসাইনমেন্ট গুলো বাড়িতে লিখে জমা দিচ্ছি।

বানেশ্বর ইসলামিয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজাদ রহমান বলেন, গত বছর লকডাউনের শুরু থেকে এই প্রতিষ্ঠান সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক অনলাইন পাঠদান চলছে। প্রতিষ্ঠানের বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকরা পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন। এখনো নিয়মিত সকল বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেয়া হচ্ছে। এই স্কুলের পাশাপাশি অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থীরা আমাদের অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন।

উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও গাঁওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উইলিয়াম নাসির উদ্দীন বলেন, অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম গতবছর চালু ছিল। বর্তমানে অনলাইনে ক্লাস নিতে হবে এমন কোনো নির্দেশনা নেই। যার কারণে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান অনলাইন ক্লাস বন্ধ রেখেছেন। তবে দুই একটি প্রতিষ্ঠানে এখনো ক্লাস চালু আছে।

তিনি বলেন সকল শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে অংশ গ্রহণ করার মত প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেই। যাদের আছে তারা ক্লাসে অংশ নিচ্ছে। তবে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা পরিমানে অনেক কম। তবে চলতি বছরের শুরু থেকে শিক্ষার্থীদের “হোম এসাইমেন্ট” কার্যক্রম চলছে। এতে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নিচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আকতার জাহান বলেন, গত বছরের ন্যায় এবার চলতি বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের অনলাইন পাঠদান চলেছে। তবে এখন এসাইমেন্ট কার্যক্রম চলছে।

এখন অনলাইনে ক্লাস করাতে হবে তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে আগামি ১৩ জুন সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষনা এসেছে। সে ক্ষেত্রে সকল শিক্ষার্থীরা সরাসরি ক্লাসে অংশ গ্রহন করতে পারবে। ইতিমধ্যে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক সকল প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষকদের অবহিত করা হয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris