শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

চাঁদে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ার চিন্তা রাশিয়া ও চীনের

Paris
Update : বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪

রাশিয়া ও চীন ২০৩৩ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে দিকে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কথা বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের প্রধান ইউরি বরিসোভ। এটি একদিন চাঁদে বসতি নির্মাণের সুযোগ করে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মঙ্গলবার রাশিয়ার সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিসোভ জানান, রাশিয়া ও চীন একটি চন্দ্র কর্মসূচী নিয়ে যৌথভাবে কাজ করছে আর এক্ষেত্রে মস্কো তার ‘পারমাণবিক মহাকাশ শক্তি’ বিষয়ক অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পেরেছে। তিনি বলেন, “গতকাল আমরা গুরুত্ব দিয়ে একটি প্রকল্পের কথা বিবেচনা করছি, আমাদের চীনা সহকর্মীদের সঙ্গে মিলে চাঁদের পিঠে একটি বিদ্যুৎ ইউনিট সরবরাহ ও স্থাপনের কথা- যা ২০৩৩-২০৩৫ সালের দিকে হতে পারে।”তিনি জানান, সৌর প্যানেলগুলো ভবিষ্যতে চন্দ্র বসতিগুলোকে শক্তি যোগানোর মতো পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে না, কিন্তু পারমাণবিক শক্তি পারবে। সম্ভাব্য এই পরিকল্পনা বিষয়ে বরিসোভ বলেন, “এটি খুব গুরুতর একটি চ্যালেঞ্জ, মানুষের অনুপস্থিতিতে স্বয়ংক্রিয় প্রণালীতেই এটি করতে হবে।” তিনি রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি মহাকাশযান তৈরির পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, এই প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রযুক্তিগত প্রশ্নের সমাধান করা হলেও একটি চ্যালঞ্জ এখনও রয়ে গেছে, সেটি হল কীভাবে পারমাণবিক চুল্লিটিকে শীতল করা হবে। “আসলে আমরা একটি মহাকাশ টাগবোট নিয়ে কাজ করছি। একটি পারমাণবিক চুল্লি ও উচ্চ শক্তির টারবাইন চালিত এই বিশাল, দৈত্যাকৃতি কাঠামোটিকে এক কক্ষপথ থেকে অন্য কক্ষপথে বিপুল পরিমাণ মালামাল পরিবহন করা, মহাশূন্যে ভাসমান ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা ও অন্য আরও অনেক কাজে লাগানো যাবে,” বলেছেন তিনি। রয়টার্স বলছে, রাশিয়ার কর্মকর্তারা এর আগেও চাঁদে খনিজ অনুসন্ধানসহ বিভিন্ন উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছিলেন, কিন্তু গত কয়েক বছরে রাশিয়ার মহাকাশ কর্মসূচী ধারাবাহিকভাবে বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে। গত বছর ৪৭ বছরের মধ্যে তাদের প্রথম চন্দ্রাভিযান লুনা-২৫ মহাকাশযান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ব্যর্থ হয়। মস্কো জানিয়েছে, তারা চাঁদে আরও অভিযান চালাবে এবং তখন রাশিয়া-চীন যৌথ মানুষ্য মিশনের সম্ভাবনা আর এমনকী চাঁদে ঘাঁটি করার বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে। গত মাসে চীন জানিয়েছিল, তারা ২০৩০ সালের আগেই চাঁদে প্রথম চীনা মহাকাশচারী পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে।-এফএনএস


আরোও অন্যান্য খবর
Paris