শুক্রবার

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাফল্য উপজেলা নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ করাই লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী তানোরে হিমাগারে ভারতীয় আলু মজুদ? অপতথ্য রোধে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর মোহনপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, ২ জন আহত ইউনিয়নের সম্পাদক মাহাতাবের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রাজশাহীর বাস শ্রমিকদের রাজশাহী নগরীতে পলাতক আসামির অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ বাঘায় স্ত্রীর লাঠির আঘাতে আহত শিক্ষকের মৃত্যু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে জনপ্রশাসনে চিঠি শিক্ষামন্ত্রীর জলবায়ু বিপর্যয় উপকূলীয় মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে : গবেষণা

মিয়ানমারে জান্তার দমন-পীড়নে মৃত্যু সংখ্যা ছাড়ালো ৫০০ জন

Paris
Update : বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১

এফএনএস : সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলে পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহতের সংখ্যা পাঁচশ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে একটি অধিকার সংগঠন। গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারীরা সোমবার রাতে প্রদীপ জে¦লে নিহতদের স্মরণ করেছে। মঙ্গলবার শুরু হয়েছে তাদের নতুন এক কর্মসূচি- ‘গার্বেজ স্ট্রাইক’। এ কর্মসূচিতে নাগরিকদের ঘরের আবর্জনা রাস্তার মোড়ে ছুড়ে ফেলে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বলা হচ্ছে। অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স (এএপিপি) নামের একটি সংগঠন বলছে, সোমবারও বিক্ষোভে দমন-পীড়নে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তাদের মধ্যে আটজন নিহত হয়েছেন ইয়াংগনের দাক্ষিণ দাগন এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীরা ওই এলাকায় বালির বস্তা দিয়ে অবরোধ তৈরি করেছিল। নিরাপত্তা বাহিনী তা সরাতে ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, রাতেও সেখানে গোলাগুলির শব্দ পেয়েছেন তারা। সে কারণে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। এ বিষয়ে পুলিশ বা সেনা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে পারেনি রয়টার্স। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রতিবাদকারীদের ওপর এই হত্যা-নিপীড়ন বন্ধ করতে মিয়ানমারের জেনারেলদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এএপিপির হিসাবে গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে গত দুই মাসে কমপক্ষে ৫১০ জনের মৃত্যু হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে গত শনিবার, সব মিলিয়ে ১৪১ জন নিহত হয়েছে সেদিন। মিয়ানমারজুড়ে এই বিক্ষোভের পেছনের অন্যতম সংগঠন জেনারেল স্ট্রাইক কমিটি অব ন্যাশনালিটিস (জিএসসিএন) ফেইসবুকে পোস্ট করা এক খোলা চিঠিতে ‘সেনাশাসনের বিরোধিতাকারী জনগণ, তরুণ, নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের সুরক্ষা’ নিশ্চিত করতে দেশটিতে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন জাতির সশস্ত্র গোষ্ঠীর সহযোগিতা চেয়েছে। তাদের ওই আহ্বানে সাড়াও মিলছে।

তিনটি সশস্ত্র গ্রুপ মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে সামরিক বাহিনীকে হত্যা বন্ধ করে রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি, আরাকান আর্মি এবং তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি তাদের ওই যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, সেনাবাহিনী এই আহ্বানে সাড়া না দিলে তারাও মিয়ানমারের সর্বজাতির আত্মরক্ষার ‘বসন্ত বিপ্লবে’ শামিল হবে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটির বিস্তৃত অংশ দুই ডজন সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে; গত কয়েকদিনে ওই গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াইয়ের তীব্রতাও বেড়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris