বুধবার

৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
প্রথম ধাপে ১৪১ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আজ প্রকল্প কতটুকু জনকল্যাণে লাগবে তা বিবেচনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর চৌবাড়িয়া পশুহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ তানোরের গরুর গাড়ি আর মাটির বাড়ি স্থান পেয়েছে ডাক বিভাগের বিশেষ খামে রাজশাহীতে পাথরের ট্রাক থেকে ৫ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার কাল গোদাগাড়ী উপজেলায় নির্বাচনে লড়াই হবে ত্রিমূখী? রাজশাহী নগরীতে প্রশস্তকৃত সড়কে আলোকায়নের উদ্বোধন করলেন মেয়র দেশে বর্তমানে বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর মোহনপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এনামূল হকের কর্মী সমাবেশ

বিচারক স্বল্পতায় আদালতে কমছে না মামলা জট

Paris
Update : শুক্রবার, ১৯ মার্চ, ২০২১

এফএনএস : দেশের আদালতগুলোয় ৩৮ লাখেরও বেশি মামলা ঝুলে আছে। আদালতগুলোয় মামলাজটের অন্যতম কারণ হচ্ছে বিচারক স্বল্পতার পাশাপাশি আইনের ত্রুটি এবং সাক্ষী হাজির না হওয়া। বিশাল এই মামলাজট কমাতে হলে আইনি কাঠামোর আওতায় আদালতের মধ্যস্থতায় বাদী-বিবাদী ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের আইনজীবীদের নিয়ে ছোটখাটো মামলাগুলো দ্রুত বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) দিকে মনোযোগী হওয়া জরুরি। একই সঙ্গে পুরনো আইনগুলো যুগোপযোগী করা প্রয়োজন।

সুপ্রিম কোর্ট থেকে সর্বশেষ পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী (২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) মোট বিচারাধীন মামলা ৩৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৮টি। ধারণা করা হচ্ছে, তার সঙ্গে গত বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আরো ১ লাখেরও বেশি মামলা যুক্ত হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে সুপ্রিম কোর্টের বিবরণী শাখার কার্যক্রমে জটিলতা তৈরি হওয়ায় কেউ চূড়ান্ত হিসাব দিতে পারেননি। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, মামলার পরিসংখ্যান তৈরি করা সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সুটিওম কোর্ট টওশাসনের বিবরণী শাখা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বছরে চারটি বিবরণীর পাশাপাশি একটি বার্ষিক বিবরণীও প্রকাশ করে। তবে চলতি বছরের প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেলেও ২০২০ সালের বার্ষিক পরিসংখ্যান এখনো প্রকাশ করতে পারেনি সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে কবে ওই পরিসংখ্যান আসবে তাও সঠিকভাবে কেউ বলতে পারেননি।

সূত্র জানায়, আদালতে বিচার কাজ বিলম্বিত হলে বিচারপ্রার্থীরা হতাশায় ভোগে। তাছাড়া বিরোধের নিষ্পত্তি দীর্ঘায়িত হলে আরো বিরোধ সৃষ্টিরও আশঙ্কা থাকে। সেজন্য যেসব মামলা বাদী-বিবাদীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে (মীমাংসাযোগ্য) নিষ্পত্তি করা যায়, সেগুলো এডিআরের আওতায় নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। তাছাড়া এখনো শত বছরের পুরনো আইন দিয়ে বিচার কাজ পরিচালনা করায় নানা অসুবিধা হচ্ছে। সেজন্য পুরনো আইনগুলো দ্রুত সংশোধন হওয়াও জরুরি।

সূত্র আরো জানায়, আদালতে মামলা জট নিরসনে বিচারকদের ওপর চাপ কমানো প্রয়োজন। এদেশে একজন বিচারকের ওপর যে চাপ থাকে তা বিশ্বের কোথাও নেই। হাইকোর্টের বিচারপতিরা প্রতিদিন দেড়শ থেকে দু’শ মামলার শুনানি গ্রহণ করেন। আবার যেসব মামলার রায় দেন ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিও লিখতে হয়। ড্ অস্বাভাবিক। তাছাড়া নিম্ন আদালতের বিচারকরাও ওভার লোড নিয়ে কাজ করেন। প্রতিদিন তাদেরও শত শত মামলার শুনানি গ্রহণ করতে হয়।

এমন অবস্থায় মামলা জট কমাতে হলে অধিকসংখ্যক বিচারক নিয়োগ দিয়ে বিচারকদের ওপর চাপ কমানো জরুরি। এদিকে চলতি বছরের শুরুতে আইনমন্ত্রীও বিচারাধীন মামলা ৩৮ লাখ বলে জানিয়েছিলেন। আইনমন্ত্রী আরো জানান, চলতি বছর জটের তালিকা থেকে অন্তত ৬ লাখ মামলা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। ওই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে এবং কাজও শুরু হয়েছে। অন্যদিকে মামলাজট প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে পরিসংখ্যান কার্যক্রমে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris