সোমবার

২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাজ্য ও ইইউ’র প্রস্তাব জাতিসংঘে গ্রহণ ৩০০ এমপির চিঠি, তোপের মুখে মিয়ানমার

Paris
Update : রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

এফএনএস : মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। এদিকে দেশটির সেনাবাহিনী মানবতা লঙ্ঘন করে বিক্ষোভরতদের উপর গোলাবারুদ ছুড়ছে বলেও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হচ্ছে। মিয়ানমারে এমন পরিস্থিতিতে পার্লামেন্টের সদস্যরা সেনাবাহিনীর মানবতা লঙ্ঘন অপরাধের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘকে। দেশটির ৩০০ জন এমপির স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে জাতিসংঘকে এই আহ্বান জানানো হয়েছে। মিয়ানমারে আগের ধারাবাহিকতায় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন শহরে সাধারণ মানুষ এখনো সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে এ সরকারের পতন ঘটানোর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ফেরানোর চেষ্টা করছেন।

এ সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চীনসহ অন্যান্য দেশের দূতাবাস কেন্দ্রেও বিক্ষোভ করছেন সাধারণ মানুষ। শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের অনুরোধের জন্য এক বিশেষ অধিবেশনে জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক কাউন্সিলে ‘মিয়ানমারে নির্বিচারে আটকদের মুক্তি দেয়া ও নির্বাচিত সরকারকে পুনরায় প্রতিষ্ঠার জন্য দাবির প্রস্তাব গৃহীত হয়। এর আগে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক উপ-হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ বলেন, সমগ্র বিশ্ব এখন দেখছে মিয়ানমারের ঘটনা। সেখানে অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ সাড়ে তিন শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে নির্বিচারে আটক করা হয়েছে। তাদের শিগগিরই মুক্তির জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান রইল।

এদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধান দেশটির মানুষদের আন্দোলনকে বিবেকবর্জিত আখ্যা দিয়ে সরকারি সকল কর্মকর্তাকে কাজে যোগ দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র : এনপিআর
এদিকে মিয়ানমারে অং সান সুচিসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি ও গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে যুক্তরাজ্য ও ইইউ’র প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের অনুরোধে শুক্রবার এক বিশেষ অধিবেশনে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ‘‘নির্বাচারে আটককৃতদের’’ মুক্তি এবং ‘‘নির্বাচিত সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার’’ দাবি জানিয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয়।

ওই প্রস্তাবে আরো বলা হয়েছে, মিয়ানমারে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ওপর সামরিক সরকারের দমন পীড়ন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। জেনেভায় কাউন্সিলের কার্যালয়ে কোন ধরনের বিরোধিতা ছাড়াই প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়। যদিও পরে রাশিয়া ও চীন বলেছে, তারা প্রস্তাবের সাথে একমত নয়। এদিকে ব্রিটেন ও ইইউ’র প্রস্তাব কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখান করেছে মিয়ানমার। জাতিসংঘের মানবাধিকার তদন্ত দলের সুপারিশের পর এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ৪৭ সদস্যের কাউন্সিল। নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সুপারিশে বলা হয়, সেনা অভ্যুত্থানের জবাবে মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক, সামরিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris