শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

দেশে করোনায় আরও ১৫ মৃত্যু, শনাক্ত ২৯২

Paris
Update : সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

এফএনএস : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ২০৫ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৯২ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ৬২ জনে। গতকাল রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৩১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮৩ হাজার ৩৭২ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে।

এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ২৮টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬২টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫৬২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৪০৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ লাখ ৪৯ হাজার ১২টি। এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার দুই দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫২ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৫ জনের মধ্যে ছয় ১১ পুরুষ, নারী চারজন।

এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রাম বিভাগে ছয়জন ও রাজশাহী বিভাগে এজন রয়েছেন। এদের মধ্যে সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১২৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ৪৯১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৯ হাজার ২১১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ২৮০ জন। উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ১১ মাস পেরিয়েছে।

এ সময়ের মধ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় কখনো শনাক্ত, মৃত্যু ও সুস্থতা কমেছে, আবার কখনো বেড়েছে। ২০২০ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত এ বিষয়ক পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। ওইদিন থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে করোনা শনাক্তের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত আরটিসিপিসিআরসহ বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে ৩২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময় ৫ লাখ ১৩ হাজার ৫১০ জন রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৯ জন সুস্থ ও ৭ হাজার ৫৫৯ জনের মৃত্যু হয়।

এদিকে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩৬ লাখ ৫১ হাজার ৭২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৩৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪৪ জন সুস্থ এবং ৮ হাজার ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। মাসিক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ৪ লাখ ২৪ হাজার ১২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ২১ হাজার ৬২৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ২২ হাজার ২৮৫ জন সুস্থ এবং ৫৬৮ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১৪ জানুয়ারি সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৭৩৭টি নমুনা সংগ্রহ হয় এবং ২ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ৯ হাজার ৫০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

১৪ জানুয়ারি সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৬০৮টি নমুনা পরীক্ষা হয় এবং ২ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ৯ হাজার ৭০১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ১০ জানুয়ারি সর্বোচ্চ একহাজার ৭১ জন এবং ৩০ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ৩৬৩ জন শনাক্ত হন। ১ জানুয়ারি সর্বোচ্চ একহাজার ১৯৭ জন এবং ৩০ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ৩৩৭ জন সুস্থ হন। ৭ জানুয়ারি সর্বোচ্চ ৩১ জন এবং ২৯ জানুয়ারি সর্বনিম্ন সাতজনের মৃত্যু হয়। গত ১০ জানুয়ারি সর্বোচ্চ শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ৩০ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ছিল ৩ শতাংশ। গত ৩১ জানুয়ারি সর্বোচ্চ সুস্থতার হার ছিল ৮৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং ১ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ছিল ৮৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। ৩১ জানুয়ারি সর্বোচ্চ মৃত্যুর হার ছিল ১ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ১ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ছিল ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris