মঙ্গলবার

৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
প্রকল্প কতটুকু জনকল্যাণে লাগবে তা বিবেচনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর চৌবাড়িয়া পশুহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ তানোরের গরুর গাড়ি আর মাটির বাড়ি স্থান পেয়েছে ডাক বিভাগের বিশেষ খামে রাজশাহীতে পাথরের ট্রাক থেকে ৫ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার কাল গোদাগাড়ী উপজেলায় নির্বাচনে লড়াই হবে ত্রিমূখী? রাজশাহী নগরীতে প্রশস্তকৃত সড়কে আলোকায়নের উদ্বোধন করলেন মেয়র দেশে বর্তমানে বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর মোহনপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এনামূল হকের কর্মী সমাবেশ ভুল সিগন্যালে বাড়ছে রেল দুর্ঘটনা

একাত্তরের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : একাত্তরের গণহত্যা ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকে বাংলাদেশের কাছে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে পাকিস্তান দূতাবাসে ওই স্মারকলিপি পৌঁছে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পক্ষে স্মারকলিপিটি পৌঁছে দেন পাকিস্তান দূতাবাসের কূটনীতিক জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি সমাবেশ করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সমাবেশ শেষে পাকিস্তান দূতাবাস অভিমুখে স্মারকলিপিসহ একটি মিছিল নিয়ে রওনা করলে শাহবাগে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। মিছিল থেকে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে পুলিশের পক্ষ থেকে পাকিস্তান দূতাবাসে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, ভাস্কর শিল্পী রাশা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন, আইনবিষয়ক সম্পাদক এজেডইউ প্রিন্স এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করে তা রাষ্ট্রদূত অফিসে জমা দেন উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফুল ইসলাম। রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, পাকিস্তানকে অবিলম্বে গণহত্যার দায় স্বীকার করে বাংলাদেশের কাছে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে পাকিস্তান দূতাবাস এখনও ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে। পাকিস্তান দূতাবাসের কার্যক্রমে নজরদারি বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, পাকিস্তানকে একাত্তরের গণহত্যা ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডের অপরাধে দ্রুত ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় গণহত্যার অপরাধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবো। সাম্প্রদায়িক মৌলবাদি অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পাকিস্তান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা এদের ষড়যন্ত্র রুখে দেবো। সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, পাকিস্তানি জান্তারা যখন বুঝতে পেরেছিল যে, তারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পরাজিত হতে যাচ্ছে, ঠিক তখনই জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য এদেশীয় রাজাকার-আলবদর-আল শামসদের সহযোগিতায় হত্যা করেছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবীদের।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris