শনিবার

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থী ভর্তির ফি আদায়ে অনেক স্কুলই সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা করেনি

Paris
Update : শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২

এফএনএস
শিক্ষার্থী ভর্তিতে অনেক স্কুলেই বাড়তি ফি আদায় করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা করা হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুসারে এবার ঢাকা মহানগরীতে বাংলা মাধ্যম স্কুলে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা এবং ইংরেজি মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। স্কুলগুলোতে শুধু ভর্তি ফি নির্ধারিত হারে আদায় করা হলেও তার সঙ্গে উন্নয়ন ফি, সেশন ফিসহ নানা কিছু জুড়ে দিয়ে অনেক বেশি টাকা আদায় করা হয়েছে। এমনকি কিছু স্কুল ভর্তির সময় আদায় করছে মার্চ পর্যন্ত বেতনও। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগরীর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৪টি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ১৬টি মনিটরিং কমিটি গঠন করে। আর সারাদেশের জন্য মোট ৫৫টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়। কিন্তু ওসব টিম গঠনের আগেই নামিদামি স্কুলগুলো তাদের অধিকাংশ ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে ফেলেছে। ভর্তি নৈরাজ্য বন্ধে গঠিত মনিটরিং কমিটিগুলো ইতোমধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এবং তাতে বাড়তি ফি আদায়ের প্রমাণ মিলেছে। তবে বাড়তি ফি আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ভুক্তভোগী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রতিবারই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ভর্তি, টিউশন, সেশন ফি, বেতন ও এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করে অতিরিক্ত টাকা। অথচ এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালায় বলা আছে, সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকল্যে মফস্বল এলাকায় ৫০০ টাকা, পৌর উপজেলা এলাকায় ১ হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২ হাজার টাকা এবং ঢাকা ব্যতীত অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩ হাজার টাকার বেশি হবে না। কিন্তু বাস্তবে দেশের দেশের বেশিরভাগ স্কুলই ওই নীতিমালার তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
সূত্র জানায়, স্কুলে ভর্তি ফি আদায়ে নৈরাজ্য বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৪ জন উপ-সচিবের নেতৃত্বে ৪টি মনিটরিং কমিটি গঠন করে। ওসব কমিটি নীতিমালা অনুযায়ী ফি আদায় করছে কিনা তা যাচাইয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছে। তাছাড়া ঢাকা মহানগরীর মোট ১৬টি মনিটরিং কমিটি, ৮টি বিভাগীয় মনিটরিং কমিটি, ৫৫টি জেলা মনিটরিং কমিটি জেলা সদরের এবং উপজেলা মনিটরিং কমিটি উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং করে মাউশি অধিদপ্তরে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের থেকে বেশি টাকা আদায় করেছে। অথচ তারা তা করতে পারে না। এদিকে এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক জানান, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাড়তি ফি নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris