রবিবার

৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
আজ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় রাজশাহী জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ চায় ঠিকাদাররা! নগদ আছে ১ কোটি টাকা, জানেন না টিভি-ফ্রিজ ও আসবাবপত্রর মূল্য! সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মিথিলার মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখলেন নায়ক দেব! ধান কাটতে গিয়ে ‘হিট স্ট্রোকে’ বাঘার শ্রমিকের সিংড়ায় মৃত্যু! গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয়

লোডশেডিংয়ের কারণ-সমাধান কোনটাই জানেনা নেসকো

Paris
Update : মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার- রাজশাহী অঞ্চল ভয়াবহ বিদ্যুতবিভ্রাটের কবলে পড়েছে। বিভাগের আট জেলায় কয়েকদিন ধরে চাহিদামত বিদ্যুতের সরবরাহ করতে পারছে না নর্দান ইলেকট্রিসিটি পাওয়ার কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেড। এতে দিনে রাতে যেকোনো সময় বিদ্যুতবিভ্রাট হচ্ছে। ফলে এই আষাঢ়ে গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে রাজশাহীর জনজীবন। নেসকো সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ৪২১ মেগাওয়াট। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে এর চেয়ে কম। গত শনিবার রাজশাহী বিভাগ বিদ্যুৎ পেয়েছে ৩৭৮ মেগাওয়াট। এর মধ্যে শুধু রাজশাহী মহানগর এলাকা পেয়েছে ৬১ মেগাওয়াট। অথচ রাজশাহী মহানগরের বিদ্যুতের চাহিদা ৮২ মেগাওয়াট। কী কারণে জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদামত বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না তার উত্তর জানা নেই নেসকো কর্মকর্তাদের। কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে সেটিও জানাতে পারছেন না তারা। তবে তারা বলছেন, জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাবার কারণ লোডশেডিং করতে হচ্ছে। এক দিকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে অন্য দিকে সরবরাহ করা হচ্ছে। এদিকে, দুর্বিষহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ ঝাড়ছেন অনেকে। নগরবাসীর অভিযোগ, বিদ্যুতের সমস্যা নিয়ে জানতে নেসকোর হটলাইনে ফোন করা হলেও তা রিসিভ হয় না। একবার বিদ্যুৎ গেলে এক ঘন্টার আগে ফেরে না। এতে এই ভ্যাপসা গরমে সবাইকে নাজেহাল হতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের চেয়ে গ্রামে বিদ্যুৎ সঙ্কট আরো বেশি। লোডশেডিংয়ের কারণে শহরের ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বন্ধ থাকছে কল-কারখানার মেশিন ও যন্ত্রপাতি। বিভিন্ন দপ্তরে গরমের মধ্যে বসে কাজ করতে হাঁসফাঁস করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিদ্যুতের এই সমস্যা নিয়ে জানতে নেসকো কার্যালয়ে ফোন করেও কোন লাভ হচ্ছে না। নেসকোর রাজশাহী অঞ্চলের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ বলেন, ‘জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদা মত বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই লোডশেডিং করতে হচ্ছে। সমস্যাটা কী সেটা আমরাও জানি না। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ আমাদের জানাতে পারেননি। তাই কবে সমস্যার সমাধান হবে সেটাও বলতে পারছি না।’

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris