শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : শেখ হাসিনা

তানোরে বোরোর সুগন্ধে চাষির মুখে হাসির ঝিলিক

Paris
Update : শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২

তানোর প্রতিনিধি : যেদিকে চোখ যায়, সেদিকে শুধু সবুজের সমারোহ। চলমান বোরো মৌসুমে নাব্যতা হারানো রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাশে বিলকুমারী বিলজুড়ে এখন সবুজের ধানের সুগন্ধি ছড়াচ্ছে। এই বিলের বুকে এখন ফসলের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক। ফলে বোরো ধানের সুগন্ধিতে চাষির মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।
তানোর উপজেলার পূর্ব দিকের সীমানা ঘেঁষে ঐতিহ্যবাহী শিব নদীর উপশাখা বিলকুমারী বিল। সেখানে লাগানো ফসল পরিপুষ্ট হয়ে বিলটি সবুজে ছেয়ে গেছে। আজ (৭ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বিলের কিছু এলাকা ঘুরে অদিগন্ত সবুজের গালিচা পাতা দেখা গেছে। সেখানে মাঠের পর মাঠ ধানের আবাদ করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে বিলের জমিতে বীজতলা করেন এ বিলের ধারের কৃষকরা। পৌষ থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত এসব বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। এখন চলছে ফসল পরিচর্যার সময়। এখন সবুজ ধানের শীষ দোলা দিচ্ছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে এসব ধানে সোনালি রঙ ধারণের শীষ দোল খাবে।
উপজেলার জিওল গ্রামের কৃষক চৈত্যা বলেন, এবার ভালোভাবে চলছে তাঁদের চাষাবাদ। বিলে এবার ধানের ফলন অনেক ভালো হবে বলে আশা করছেন তিনি। তাঁর মতো আশাবাদী উপজেলার আমশো গ্রামের কৃষক কেদার শেখসহ অন্য কৃষকরাও।

উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী রেজা বলেন, তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া ও কামারগাঁ ইউনিয়ন এবং তানোর পৌরসভা ও মোহনপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে বিলকুমারী বিল। এ বছর তানোরজুড়ে ১৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হচ্ছে। এর মধ্যে বিলকুমারী বিলে প্রায় ১ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ জানান, কৃষি অফিসের মাঠপর্যায়ে তদারকি, সময়মতো কীটনাশক প্রয়োগ ও কীট দমনে প্রাকৃতিক পদ্ধতির ব্যবহার, কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অনুকূল আবহাওয়ার ফলে এবার বোরোর ফলন প্রত্যাশার চেয়েও ভালো হবে। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, বিলকুমারী বিলের উৎপাদিত ফসল জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখে চলেছে। বর্তমান বিলের সবুজ প্রকৃতির দিকে তাকালে চোখ ভরে যাচ্ছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris