শুক্রবার

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাফল্য উপজেলা নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ করাই লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী তানোরে হিমাগারে ভারতীয় আলু মজুদ? অপতথ্য রোধে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর মোহনপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, ২ জন আহত ইউনিয়নের সম্পাদক মাহাতাবের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রাজশাহীর বাস শ্রমিকদের রাজশাহী নগরীতে পলাতক আসামির অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ বাঘায় স্ত্রীর লাঠির আঘাতে আহত শিক্ষকের মৃত্যু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে জনপ্রশাসনে চিঠি শিক্ষামন্ত্রীর জলবায়ু বিপর্যয় উপকূলীয় মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে : গবেষণা

উচ্চমূল্যের বাজারে বাগমারায় ওএমএস’র চাল-আটায় স্বস্তি তবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

শামীম রেজা, মচমইল : দেশে হুড়হুড় করে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দ্রব্যের বাজার দর। পণ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় সংসার চালানো এখন কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে মধ্যবৃত্ত ও নিম্নমধ্যবৃত্ত পরিবারের কর্তাদের। দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কমে গেছে পরিবারের দৈনন্দিন আয়। বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারনে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ওই সকল মানুষ।

খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ “ও.এম.এস” খাদ্যশষ্যের দোকান থেকে শুক্রবার ব্যতীত চাউল এবং আটা ক্রয় করতে ভিড় করছেন লোকজন। সপ্তাহে ৬দিন ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ব্রীজঘাট সংলগ্ন একটি স্থানে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রয় করা হচ্ছে চাউল এবং আটা। প্রতিদিন ও.এম.এস-এর এই থেকে চাউল ক্রয় করছেন ২০০ জন। দাম কম হওয়ায় ভোর থেকেই ওএমএস ডিলারের ঘরের সামনে জড়ো হতে থাকে নিম্ন আয়ের লোকজন। অল্পদামে চাউল আর আটা পেয়ে স্বস্তিতে আছেন স্বল্প আয়ের মানুষ।

দামে স্বস্তি পেলেও উপেক্ষিত রয়েছে সামাজিক দূরত্ব। আগে কিনার প্রবনোতায় নিজেকে সবার আগে নিয়ে যেতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন লোকজন। ডিলারের পক্ষ থেকে বার বার নিষেধ করা হলেও কেউ তা মানছেন না। গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলাদা কোন মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় এমনটি হচ্ছে। তবে লোকজন বলছে আগে পেট বাঁচাতে হবে। করোনার কারনে তো আর না খেয়ে থাকা যাবে না।

এখানে প্রতি কেজি চাউল বিক্রয় হচ্ছে ৩০ টাকায় আর আটা বিক্রয় হচ্ছে ১৮ টাকা কেজি দরে। একজন মানুষ দিনে ৫ কেজি চাউল অথবা ৫ কেজি আটা কিনতে পারেন এখান থেকে। বাজারের আটার চেয়ে অনেক ভালো মানের বলে এর চাহিদাও বেড়ে গেছে। সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলে ও.এস.এম-এর চাউল এবং আটা বিক্রয়। ও.এম.এস-এর দোকানে আটা কিনছিলেন উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা গরীব মানুষ। বাজারে আটা কিনতে গেলে অনেক টাকা লাগে। কিন্তু ওএমএস’র এখানে আটা কিনলে কম টাকা লাগে। আমি এখান থেকেই আটা কিনে থাকি। ভবানীগঞ্জ বাজারের শিরিনা কিনলেন চাউল। তিনি বলেন, চাউল আটা আমাদের কিনে খেতে হয়। যেখানে দাম কম পায় সেখান থেকেই কিনি। তবে এএমএস’র চাউল কিনতে আসলে অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

সরকার নির্ধারিত মূল্যের ওএমএস ডিলার রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশে নৃত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্যের ঘাটতি হলে এবং অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি পেলে ও.এম.এস-এর চাউল এবং আটা বিক্রয় করা হয়। বাজারে চলমান মূল্যের চেয়ে দাম কম হওয়ায় দুস্থ ও গরীব অসহায় মানুষের অনেক সুবিধা হচ্ছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী বলেন, ৭ জন ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে চাউল এবং আটা বিক্রয় হচ্ছে হচ্ছে।

প্রতিজন ডিলার প্রতিদিন ২ শত জন মানুষের মাঝে চাউল এবং আটা বিক্রয় করে থাকেন। ওএমএস’র ফলে উপকৃত হচ্ছে নিম্ন আয়ের লোকজন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ান বলেন, আমরা ডিলারদের নির্দেশনা দিয়েছি তারা যেন সামাজিক দূরত্ব মেনে ওএমএস’র পণ্য বিক্রয় করে। যারা সরকারী নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris