মঙ্গলবার

২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগমারার শালমারায় বন্ধের পরেও খনন হচ্ছে জাহাঙ্গীরের সেই পুকুর

Paris
Update : শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২১

মচমইল থেকে সংবাদদাতা : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের শালমারা গ্রামে প্রশাসনের বন্ধকৃত পুকুর আবারও খনন করা হচ্ছে। সেই পুকুরের মাটি যাচ্ছে বিগোপাড়ার আবুল কালাম এবং শফিকুল ইসলাম নামের দুই ব্যক্তি অবৈধ গড়ে উঠা ড্রামচিমনীর ইটভাটায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে শালমারা এলাকার খননকৃত ওই পুকুরে গিয়ে জানা যায়, পানি নিষ্কাশনের খাল বন্ধ করে দিয়ে দিব্যি ভেকুদিয়ে মাটি কেটে চলেছেন ওই এলাকার জাহাঙ্হীর আলম নামের এক ব্যক্তি। অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ড্রামচিমনী ইটভাটার মালিক আবুল কালাম এবং শফিকুল ইসলামের সহযোগিতায় দিবারাত্রি পুকুর খনন করে চলেছেন তিনি।

সেই সাথে পুকুরটির মাঝখানে পড়েছে পল্লী বিদ্যুতের দুটি খুটি। পুকুরের মাঝে দুটি খুটি পড়ার কারনে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘাটনার শঙ্কাও রয়েছে। এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি ওই পুকুর খনন কাজ বন্ধ করা হলেও সেটার তোয়াক্কা না করে পুনরায় খনন শুরু করেছে তারা। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুকুরটির খনন কাজ বন্ধ করেছিলেন উপজেলা প্রশাসন। এদিকে ইটভাটায় মাটি নিয়ে যাওয়ার ফলে রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ছে। রাস্তায় কাঁদা মাটি ও ধূলার কারণে রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচলসহ কোন যানবাহন ঠিকমত চলাচল করতে পারছেনা। এছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলে সেখানে যেকোন মুহূর্তে বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

পুকুর খননকারী জাহাঙ্গীর আলম প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে পানি নিষ্কাশনের কথা বলে অবৈধভাবে পুকুর খনন করছে। জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য আমাকে আগের ইউএনও মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছে সে জন্য আমি পানি নিষ্কাশনের জন্য কাজ করছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রশাসন অবৈধ পুকুর খননকারীদের ব্যাপারে সর্বদায় সজাগ রয়েছে। যারাই পুকুর খনন করুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris