রবিবার

৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
আজ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় রাজশাহী জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ চায় ঠিকাদাররা! নগদ আছে ১ কোটি টাকা, জানেন না টিভি-ফ্রিজ ও আসবাবপত্রর মূল্য! সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মিথিলার মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখলেন নায়ক দেব! ধান কাটতে গিয়ে ‘হিট স্ট্রোকে’ বাঘার শ্রমিকের সিংড়ায় মৃত্যু! গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয়

টিকা নেওয়ার ৬ মাস পরও পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি : গবেষণা

Paris
Update : বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

এফএনএস : করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে দুই ডোজ টিকা নেওয়ার ছয় মাস পরও মানুষের শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি বিদ্যমান থাকে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের নেতৃত্বে পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা যায়, যারা এক ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের প্রায় ৬২ শতাংশের দেহে ও যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের প্রায় ৯৯ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া টিকা না নিয়েও প্রায় অর্ধেক মানুষের দেহে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

আবার প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির তুলনায় টিকার প্রথম ডোজগ্রহীতাদের তিনগুণ ও দুই ডোজগ্রহীতাদের শরীরে পাঁচগুণ বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। গবেষকরা জানান, গত মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, রোগী, রোগীর সহযোগী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, পোশাকশ্রমিকসহ মোট ৭৪৬ জনের ওপর এ গবেষণা পরিচালিত হয়। তাদের মধ্যে ২২৩ জন প্রথম ডোজ ও ২৩১ জন টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন। এ ছাড়া বাকি ২৯২ জন কোনো টিকা নেননি। গবেষণা শেষে দেখা গেছে, যারা টিকা নেননি তাদের প্রায় অর্ধেকের দেহে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৬২ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও যারা দুই ডোজ নিয়েছেন তাদের প্রায় ৯৯ দশমিক ১৩ শতাংশের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, টিকা না নিয়েও মানুষের দেহে প্রাকৃতিকভাবে ৫৩ দশমিক ৭১ একক (ডিইউ/মিলি), এক ডোজ টিকা নিয়ে ১৫৯ দশমিক শূন্য আট একক ও টিকার দুই ডোজ নিয়ে ২৫৫ দশমিক ৪৬ একক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে শরীরে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার প্রথম মাসে যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি থাকে (১৭৫ দশমিক ১ একক), দ্বিতীয় মাসে এসে তা ২৫ শতাংশ কমে যায়।

আবার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার দুইমাস পর যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি থাকে (৩২৪ দশমিক ৪২ একক) চতুর্থ মাসে এসে তা ২১ শতাংশ হ্রাস পায়। এ ছাড়া ষষ্ঠ মাসে এসে চতুর্থ মাসের তুলনায় তিন দশমিক চার শতাংশ হ্রাস পায়। ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, গবেষণায় যারা টিকার দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন ছয় মাস পরও তাদের শরীরে সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি থাকে। এ ছাড়া প্রায় অর্ধেক মানুষের দেহে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে।

তবে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি টিকাগ্রহীতাদের তুলনায় কম। গবেষক দলে আরও ছিলেন- প্রফেসর ড. শারমিন চৌধুরী, প্রফেসর ডা. এম এ হাসান চৌধুরী, ডা. জাহান আরা, ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. তারেক উল কাদের, ডা. আনান দাশ, ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ডা. ইয়াসির হাসিব ডা. তাজরিনা রহমান ও ডা. সীমান্ত দাশ।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris