রবিবার

৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
আজ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় রাজশাহী জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ চায় ঠিকাদাররা! নগদ আছে ১ কোটি টাকা, জানেন না টিভি-ফ্রিজ ও আসবাবপত্রর মূল্য! সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মিথিলার মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখলেন নায়ক দেব! ধান কাটতে গিয়ে ‘হিট স্ট্রোকে’ বাঘার শ্রমিকের সিংড়ায় মৃত্যু! গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয়

নিয়মভেঙ্গে রাস্তা পারাপার, নিশ্চুপ ট্রাফিক পুলিশ

Paris
Update : শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী নগরীতে রাস্তায় ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণে অধিকাংশ জনগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম রাস্তা পারাপারে পথচারিদের নিয়মভঙ্গের দৃশ্য প্রায়শই লক্ষ্যনীয়। রাস্তা পারাপারে ঝুঁকিহ্রাস ও নিশ্চয়তা দিতে রাসিক কর্তৃক নগরীর সাহেববাজার এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে একটি ফুটওভার ব্রিজ। আরো দু-একটি নির্মাণের কথাও শোনাযাচ্ছে। অন্যদিকে, নগরীর সকল রাস্তায় তৈরি অনাকাঙ্খিত যানজট নিরসন এর পাশাপাশি যানচলাচলের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি পরিচালনা করে ট্রাফিক বিভাগ। কিন্তু, নগর ট্রাফিক পুলিশের সামনেই নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপারের বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে নগরীর সচেতন মহলকে। ফুঁটওভার ব্রিজ, আইল্যান্ড কিংবা প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদের সামনেই এমন চিত্র প্রায়শই লক্ষ্য করা যায় নগরীর, সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট, মনিচত্বর, রাজশাহী কলেজের সামনে, লক্ষিপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি স্থানে।

নগরীর উক্তস্থানগুলোতে গিয়ে দেখাগেছে, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে অনেকেই হরহামেশা রাস্তা পাড় হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে। যেসকল ব্যস্ততম রাস্তায় ফুটওভার ব্রিজ নেই ঐসকল রাস্তার বিশৃঙ্খল ফেরাতে ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক প্লাস্টিক ও ঢালাই করা স্তম্ভ ও দড়ির সমন্বয়ে তৈরি করা ব্যারিকেডগুলোকেও ওভারকাম করে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে প্রায় প্রতিনিয়তই। সামান্য কয়েক সেকেন্ড ও কয়েক কদম বাঁচানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে রাস্তা পারাপারের বিষয়টি নগর ট্রাফিক পুলিশের সামনেই হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই। এমনচিত্র প্রতিবেদকের ক্যামেরাই ধরা পরে নগরীর সবচাইতে ব্যস্ততম রাস্তা সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট এলাকায়।

উক্তস্থানের যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ রক্ষাসহ, ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রণ ও পথচারি ও পারাপারকারিদের জীবনের ঝুঁকি হ্রাসেন নিমিত্তে উভয় পার্শ্বের রাস্তায় মধ্যস্থানের আইল্যান্ড বরাবর ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী একটি ব্যারিকেট। সেই ব্যারিকেটটি দুই দিকের যানচলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনার পাশাপাশি পারপারকারীদের জীবনের ঝুঁকিও হ্রাস করতে কার্যকারী ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য অনেকের। উক্তস্থানের উপর দিয়ে কোন পথচারি পার না হয়ে পাশ্ববর্তী স্থান দিয়ে রাস্তা পার হলে একদিকে যেমন হ্রাস পাবে জীবনের ঝুঁকি; ঠিক অন্যদিকে, রাস্তায় চলমান গাড়িগুলোও পড়বেনা বিপাকে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। উক্তস্থান দিয়ে হরহামেশা পাড় হচ্ছে কিশোর থেকে বৃদ্ধরাও। তাও আবার ট্রাফিক পুলিশের চোঁখের সামনেই।

এমন নিয়ম ভাঙ্গার ঘৌড়দৌড় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ জেনে দেখেও না দেখার ভান করে থাকে বলে মন্তব্য সচেতন মহলের। বিষয়টি যথেষ্ট পরিমাণে স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ। দড়ি ডিঙিয়ে পারাপারের সময় নিজের খামখেয়ালিপনা আর অসতর্কতায় পাঁ আটকে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে রাস্তার উপর। আর মূহুর্তের মধ্যেই যে কোন গাড়ি এসে ধাক্কা দিতে পারে ঐ পরে যাওয়া ব্যক্তিকে। ঘটতে পারে ছোট কিংবা বড় কোন দূর্ঘটনা। আবার মৃত্যুর মতো নিষ্ঠুরতাও ঘটতে পারে নিয়মভঙ্গকারী এ পথচারির সাথে। তাই, রাস্তা পারাপারে জনগণকে নিয়মনীতি মান্যতার বিষয়টি বাধ্য করণে ট্রাফিক বিভাগককেই নিতে গুরুদায়িত্ব বলে মন্তব্য নগরীর সচেতন নাগরিকদের। এছাড়াও, নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্তা নেবার পরামর্শও দেন অনেকে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris