শুক্রবার

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারোদ খনন করে কৃষকদের কোনো উপকারে আসছে না

Paris
Update : মঙ্গলবার, ২ মার্চ, ২০২১

পুঠিয়া প্রতিনিধি : রাজশাহী পুঠিয়ায় নারোদ নদী পূণঃখনন করার পড়ও খরা মৌসুমে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেচ প্রকল্পটি কৃষকদের কোনো উপকারে আসছে না। চলতি খরা মৌসুমে শত শত হেক্টোর জমির ফসল সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্খা দেখা দিয়েছে। পুঠিয়া বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৫-১৬ইং অর্থ বছরে বরেন্দ্র এলাকায় খালে পানি সংরক্ষন ও সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় নারোদ নদী পুণঃখননের উদ্যোগ নেয়া হয়। পদ্মানদীর চারঘাট উপজেলার মুক্তারপুর বালুঘাট থেকে পুঠিয়া উপজেলার মধ্যে দিয়ে মুসাখাঁ নদী পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার নারোদ নদী পূনঃ খনন করা হয়।

এতে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ব্যয় ধরা হয়েছে, ৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। অবৈধ দখলমুক্ত ও বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া নদীটি পুণঃখনন হওয়ায়, এ অঞ্চলের এক হাজার ৬শ’ ৫০ হেক্টোর কৃষি জমি সেচের আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন যাবত ধরে বর্ষা মৌসুমে নিন্মাঞ্চলের জমি গুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত পানি নিস্কাশনে সহায়ক হিসাবে এই প্রকল্পটি কাজ করার কথা। খননকৃত নারোদ নদী থেকে পানি তুলে সেচ কাজে ব্যবহারে করার জন্য ইতোমধ্যে ১৩টি স্থানে সোলার প্যানেল ভিত্তিক এলএলপি নলকুপ স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু চারঘাট-সরদা ট্রাফিক মোডের নিকট একটি কালভাট সংস্কার ও সম্প্রসারন করতে না পারায়।

পদ্মনদী হতে পানি এনে খননকৃত নারোদ নদীতে রাখতে হবে। কিন্তু পানি এনে রাখা হচ্ছে না। আবার নদীতে পানি না থাকার জন্য নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার শুরু করেছে। পুঠিয়া কান্দ্রা খলিফাপাড়া গ্রামের আহাম্মদ আলি খলিফা বলেন,বর্তমানে নদীর অনেক স্থানে পানি শুকিয়ে গেছে। খলিফাপাড়ায় যে স্থানে সোলার প্যানেল দিয়ে এলএলপি নলকুপ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে বর্তমানে পানি নেই। এতে করে এই বিলের প্রায় ১শত হেক্টোর জমির বিভিন্ন রকম ফসল ফলানো যাচ্ছে না। হঠাৎ করে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের খননকৃত সেচ প্রকল্প হতে পানি না পাওয়ার জন্য কৃষকরা হুতাশ হয়ে পড়েছে। বিষেশ করে খরা মৌসুমে বেশি পানি না দিলে বোরো ধানের আবাদ করা যায় না।

কান্দ্রা গ্রামের আইয়ুব আলি মাষ্টার বলেন, সোলার প্যানেলের মাধ্যমে এলএলপি নলকুপের দ্বারায় বর্ষাকালে নদী হতে পানি উঠানো সহজ। যে নদী হতে কৃষকরা পানি উঠায়ে জমিতে সেই নদীতেই পানি নেই। এখন বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উচিত হবে, নদীর যে স্থানগুলিতে পানি নেই। সেসব স্থানগুলিতে গর্ভীর নলকুপ স্থাপন করে জরুরিভাবে কৃষকদের পানির ব্যবস্থা করা। তা না হলে, এ অঞ্চলের কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে।

তারপর বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নদীর ওপর সড়কে থাকা কালভাটগুলে পুর্ণ নির্মাণ করেননি। এতে করে নদীর কোনো পানি আছে। আবার কোনো স্থানে পানি নেই। যার জন্য, নদী খননকৃত দুই পাড়ের মাটি দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে। জেকের মোড়ের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, চলতি খরা মৌসুমে শত শত হেক্টোর জমির ফসল সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পুঠিয়া বাঘা চারঘাট জোনের অঞ্চলিক কর্মকর্তা আল মামুনুর রশিদ যুগান্তরকে বলেন,নদীর উপরে কয়েকটি স্থানে ব্রীজ কালভার্ট থাকার কারণে নদীর ৩৫ কিমি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি থাকতে পারে না। তারপর নদী খননের পর বিভিন্ন স্থানে এলাকার মানুষরা মাটি দিয়ে নদীতে বাঁধ দিয়ে রেখেছেন। এজন্য পানি পাড়াপাড়ের হতে পাড়ছে না। আমি খলিফাপাড়াসহ কয়েকটি স্থানে পানি নেই তা নিজে দেখে এসেছি। আগামীতে পানি না থাকা স্থানগুলোতে নদীর ভেতরে নলকুপ বসানো পরিকল্পনা রয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris