সোমবার

১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ডিসিদের সজাগ থাকার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাজশাহীতে মডেল মসজিদ কেয়ারটেকারদের দাবি আদায়ে মানববন্ধন রাজশাহীতে হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মানববন্ধন ৪৬ বছর বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেন নওগাঁর তপু ইয়াং টাইগার অনুর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে রাজশাহীর বিশাল জয় লালপুরে বিএনপি নেতাসহ ছেলেকে আটকের ঘটনায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ ২৬ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন লালপুর ডিগ্রি কলেজ ইনছাফ ও মানবতাপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলুন : ড. গালিব তানোরে গভীর নলকুপ জবরদখলের অভিযোগ

বৃহত্তম ব্ল্যাকহোলের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা

Paris
Update : বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

ছায়াপথের বৃহত্তম ব্ল্যাকহোল খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটির ভর সূর্যের চেয়ে ৩৩ গুণ বেশি। এতদিন এটি আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এ তথ্য জানিয়েছেন ফ্রান্সের গবেষকেরা। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। নতুন আবিষ্কৃত ব্ল্যাকহোলটির নাম গাইয়া বিএইচ৩। অবজারভেটরি দা প্যারিসের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক রিসার্চের (সিএনআরএস) জ্যোতির্বিদ পাসকোয়েল পানুজ্জো বলেন, কৃষগহ্বরটিকে অনেকটা আকস্মিকভাবে আবিষ্কার করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। ইউরোপের মহাকাশ সংস্থার গাইয়া মিশনের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এটির খোঁজ পাওয়া যায়। গাইয়া মিশনটি মূলত মিল্কিওয়ে ছায়াপথের ম্যাপ তৈরিতে কাজ করেছে। এটি এবার পৃথিবী থেকে ২ হাজার আলোকবর্ষ দূরে আকুইলা গ্রহাণুপুঞ্জে বিএইচ৩ নামের ব্ল্যাকহোলটিকে শনাক্ত করেছে। গাইয়ার টেলিস্কোপ মূলত আকাশে কোনো নক্ষত্রের নিখুঁত অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর তথ্য থেকে জ্যোতির্বিদেরা নক্ষত্রের কক্ষপথ, তাদের ভর ও অদৃশ্য সঙ্গীকে খুঁজে বের করতে পারেন। গাইয়ার টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ব্ল্যাকহোলটির অবস্থান শনাক্তের পর ভূপৃষ্ঠের টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এর অস্তিত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পানুজ্জো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘পৃথিবীর কাছাকাছি এমন অধিক ভরসম্পন্ন ব্ল্যাকহোল অনাবিষ্কৃত থাকতে পারে, তা কেউ ধারণা করেননি। একজনের গবেষণা জীবনে একবারই এ ধরনের আবিষ্কার করার সুযোগ আসতে পারে। বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাকহোলটিকে প্রদক্ষিণকারী সহচর নক্ষত্রের দোলাচল দেখে এর অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা করতে শুরু করেন।’ পানুজ্জো বলেন, ‘সূর্যের চেয়ে কিছুটা ছোট ও উজ্জ্বল নক্ষত্রকে আমরা এক অদৃশ্য সঙ্গীর চারপাশে ঘুরতে দেখেছিলাম।’ গাইয়া বিএইচ৩ মূলত একটি নাক্ষত্রিক ব্ল্যাকহোল বা স্টেলার ব্ল্যাকহোল। মূলত নক্ষত্রের জীবদ্দশা পার হলে তার পতনের ফলে এ ধরনের ব্ল্যাকহোলের সৃষ্টি হয়। তবে এগুলো বিশাল আকৃতির (সুপারম্যাসিভ) ব্ল্যাকহোলের চেয়ে বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে আলাদা। বিশাল আকৃতির অন্যান্য ব্ল্যাকহোলের সৃষ্টির কারণ অজানা। এ ধরনের বড় ব্ল্যাকহোলকে ইতোমধ্যে দূরতম ছায়াপথগুলোয় মহাকর্ষীয় তরঙ্গের মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়। তবে পানুজ্জো বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ব্ল্যাকহোল ছায়াপথে শনাক্ত হয়নি।’-এফএনএস


আরোও অন্যান্য খবর
Paris