বৃহস্পতিবার

৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সোহেল পবায় ছাত্রলীগ নের্তৃবৃন্দের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদের মতবিনিময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত তানোরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন ময়না মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর লাল গামছা দেখে থামল ট্রেন, অল্পের জন্য রক্ষা রাজশাহী নগরীতে প্রস্তাবিত কবরস্থান ও ঈদগাহ নির্মাণে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন প্রথম ধাপে ১৪১ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আজ প্রকল্প কতটুকু জনকল্যাণে লাগবে তা বিবেচনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর চৌবাড়িয়া পশুহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপনের চারমাসেই বন্ধ ডিজিটাল এক্সরে

Paris
Update : রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

মোবারক হোসেন শিশির : রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে স্থাপনের চার মাসের মাথায় ফিল্ম সংকটে বন্ধ হয়েগেছে ডিজিটাল এক্সরে। এতে কারনে চরম দূর্ভোগ ও অর্থনৈতিকভাবে রোগীরা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও লাভবান হচ্ছেন বে-সরকারী ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার অপরদিকে প্রতিমাসে অর্ধ্ব লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
১৯৫.০৩ বর্গ কিলোমিটার অথাৎ ৭৫.৩০ বর্গমাইলের দুর্গাপুর উপজেলায় মোট দুই লক্ষাধিক জনগনের বসবাস। এদের মধ্যে এক এর তৃতীয়াংশ জনগন নিন্মবৃত্ত্ব , দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবার রয়েছে। এই পরিবার গুলোর সদস্যরা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে বিনামূল্যে এবয় স্বল্প ব্যায়ে চিকিৎসা গ্রহন করে থাকেন। গরীব দূখী জনগনের কথা চিন্তা করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও উন্নত মেশিনের মাধ্যমে সুচিকিৎসার ব্যবস্থার অংশ হিসেবে গত চার মাস পূর্ব আধূনিক ডিজিটাল এক্সরে মেশিন প্রদান করেছেন। কিন্তু স্থাপনের চার মাসেই ফিল্ম সংকটের কারন দেখিয়ে ডিজিটাল এক্স্ররে সেবা বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্র। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকলেও একারনে প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা, সেইসাথে ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের আধৃনিক চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্র ডিজিটাল এক্সরে বন্ধ করায় ডিজিটাল এক্সরে করতে সরকারী হাসপাতালে লাগতো ২০০ টাকা সেই একই এক্স্ররে বাহিরের বেসরকারী ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রোগীদের গুনতে হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা। এতে অধিক লাভবান হচ্ছেন বেসরকারী ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে সরকার ডিজিটাল এক্স্ররে মেশিন দিয়েছে গরীব অসহায় রোগীদের চিকিৎসায় সহযোগীতার জন্য কিন্তু এক্স্ররে বন্ধ হয়ে থাকায় তিনগুন বেশী টাকা দিয়ে বাহিরে ক্লিনিক থেকে এক্স্ররে করে হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে দেখাতে এসেছি।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান জানান, এইবার হাসপাতালে ডায়াগনষ্টিক সরঞ্জামাদী ক্রয়ে একবারেই স্বল্প বাজেট করেছে কর্র্তৃপক্ষ এরমধ্যে ডিজিটাল এক্স্ররে ফিল্ম ক্রয়ের বাজেট একবারেই কম। বাজেট অনুসারে কিছু ফিল্ম ক্রয়করা হয়েছিলো সেগুলো শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুনভাবে ফিল্ম না আসা পর্যন্ত ডিজিটাল এক্স্ররে বন্ধ রয়েছে। তবে আমাদের হাসপাতালের টিএইচএ মহোদয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রেখেছে ফিল্ম ব্যবস্থা হলেই ডিজিটাল
এক্স্ররে সেবা আবারো চালু করা হবে। এবিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবা খাতুন বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালু হয়। প্রায় চার মাস পূর্বে হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স্ররে মেশিন চালু হয় এবং ১হাজার২০০ এক্সরে ফিল্ম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো। গত চারমাসে সব ফিল্মগুলো শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে ফিল্ম সংকটের কারনে আপাতত সেবাটি বন্ধ হয়ে আছে। তবে একালক এক্সরে মেশিন দিয়ে বর্তমানে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ডিজিটাল এক্সরে ফিল্মের জন্য চাহিদা প্রেরন করা হয়েছে। আশাকরছি খুবদ্রুত ফিল্ম পেয়ে যাবো, ফিল্ম আসলেই আবারো ডিজিটাল এক্সরে চালু করা হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris