রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

বাগমারায় আলু চাষী-ব্যবসায়ীদের আস্থার ঠিকানা সালেহা-ইমারত কোল্ড স্টোরেজ

Paris
Update : রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪

মচমইল থেকে সংবাদদাতা : রাজশাহীর বাগমারায় আলু চাষী ও ব্যবসায়ীদের আস্থার ঠিকানায় পরিণত হয়েছে সালেহা-ইমারত কোল্ড স্টোরেজ। গত ২২ বছর সফলতার সাথে আলু সংরক্ষণ করাই সাড়া ফেলেছে এই কোল্ড স্টোরেজ। সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজের ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার বস্তা। ২৩ বছরে এসে বিগত সময়ের মতো আলু চাষী ও ব্যবসায়ীদের আগমনে বেড়েছে সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মৌসুমী শ্রমিদের ব্যস্ততা। কোল্ড স্টোরেজে ব্যাপক পরিমান আলু আসায় দম ফেলার সময় নেই কর্তৃপক্ষের। বিশেষ করে অন্যান্য কোল্ড স্টোরেজের চেয়ে সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজে আলু ভালো থাকায় দামও ভালো পান আলু চাষী সহ ব্যবসায়ীরা বলে জানা গেছে। স্টোর কর্তৃপক্ষের নিয়মিত তদারকি থাকায় শ্রমিকরা ফাঁকি দেয়ার সুযোগ পান না। সঠিক সময়ে আলু পালটসহ আনুসঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করায় মৌসুম জুড়ে আলু ভালো থাকে। বাগমারাসহ আশপাশের উপজেলার কৃষকের কথা চিন্তা করে ২৩ বছর আগে উপজেলার শিকদারী বাজারের নিকটে সালেহা-ইমারত কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করেন এনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। এরফলে দ্রুত সময়ে কম খরচে কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা আলু সংরক্ষণ করতে পারছেন। খরচ কম হওয়ায় লাভের পরিমান বৃদ্ধি পায় আলু চাষী ও ব্যবসায়ীদের। আলু চাষী ও ব্যবসায়ীদের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভালো মানের বীজ আলুর জন্য আরো একটি কোল্ড স্টোরেজ সেখানে নির্মাণ করা হয়ে। সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজ সব সময় কৃষকের পাশে রয়েছে। এই স্টোরেজের কারনে এখন আর কৃষককে অনেক অর্থ খরচ করে অন্য জেলায় গিয়ে আলু স্টোরে সংরক্ষণ করতে হয় না। এই কোল্ড স্টোরেজে আলু সংরক্ষণ করলে কোন আলু চাষী এবং ব্যবসায়ীরা প্রতারিত হয় না। আত্রাই কালুপাড়ার আব্দুর রশিদ, হামিরকুৎসার মিজানুর রহমান, হায়াতপুরের মুনছুর রহমান, সাঁকোয়া গ্রামের জিয়াউর রহমান সহ বেশ কয়েকজন আলু চাষী ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের পর থেকে অন্য কোথায় তাদের মতো অনেকে আলু রাখে না। সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখলে নিশ্চিন্তে থাকা যায়। বছর শেষে আলুর কোন ক্ষতি হয় না। আলুর মান ঠিক থাকায় ভালো দাম পাওয়া যায়। অনেক স্টোরে আলু বস্তায় থাকাকালীন গাছ উঠে। এতে করে লোকসান গুণতে হয় আলু চাষী ও ব্যবসায়ীদের। যারা একবার সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখবে তারা আর কোন স্টোরে রাখবে না। একই স্টোর ভাড়া দিয়ে আলু রাখলেও অন্য স্টোরে আলুর মান ভালো না থাকায় লোকসান হয়।
এ ব্যাপারে সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার সাজ্জাদুর রহমান জুয়েল বলেন, আমরা সর্বদায় আলু চাষী ও ব্যবসায়ীদের প্রতি নজর দিয়ে থাকি। তারা যেন স্টোরে আলু রেখে প্রতারিত না হয়। আলু চাষী ও ব্যবসায়ীদের যে আমানত সেটা সঠিক ভাবে তাদের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করি। এখন পর্যন্ত কোন বস্তা পরিবর্তন হয়নি। দেশের বিভিন্ন আড়ৎ বা মোকামে সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজের আলুর একটা আলাদা চাহিদা রয়েছে। আলুর গুণগত মান ঠিক থাকায় এটা সম্ভব হয়েছে। প্রতিটি ব্যবসার প্রধান সম্পদ হচ্ছে সুনাম। তাইতো গত ২৩ বছর ধরে আলু চাষী, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন মোকামে সততার সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছে সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজ। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি চলতি বছর আলু সংরক্ষণের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত আলু সংরক্ষণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্টোর কর্তৃপক্ষ।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris