শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

মাদক-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন গোদাগাড়ী থানার ওসি

Paris
Update : সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শহিদুল ইসলাম, গোদাগাড়ী : গোদাগাড়ীতে অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন যোগদান করেই যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন মাদক, সন্ত্রাস ও কিশোর গ্যাংগের বিরুদ্ধে। এতে করে গোদাগাড়ী থানা এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। সততা, উদারতা, ন্যায়পরায়নতা, কর্মনিষ্ঠ, নির্ভীক, যে কোন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে সৌহার্দপূর্ণ আচরণ এবং অসহায় মানুষের প্রতি অকৃতিম ভালবাসা এমন বিভিন্ন গুনের অধিকারী একজন ব্যক্তি যিনি নীরবে-নিভৃতে এ এলাকার সাধারণ মানুষ ও সমাজের জন্য দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এমন একজন সাদা মনের আলোকিত ব্যক্তি হলেন গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন। তিনি এ থানায় যোগদানের পর থেকেই তার বিশেষ উদ্যেগে উপজেলার অপরাধ দমনের পাশাপাশি উন্নতি হয়েছে আইন শৃঙ্খলার এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচণ গোদাগাড়ী-তানোর-১ আসনের শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচণ সফলতার সহিত সম্পূর্ণ করেছেন। এছাড়াও দিন রাত নিরলস ভাবে কাজের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা, মাদক নিয়ন্ত্রন, থানায় দালালদের তদবির ও কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন ছাড়াই অসহায় মানুষদেরকে সকল ধরনের সেবা নিশ্চিত করার মধ্যে দিয়ে ইতিমধ্যেই মুগ্ধ করেছেন এই উপজেলার সকল শ্রেণীর পেশার মানুষদের। জানা গেছে ওসি আব্দুল মতিন ৩১ শে অক্টোবর ২০২৩ সালে গোদাগাড়ী থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদান করেন এবং এখন পর্যন্ত কর্মরত আছেন। তিনি এ থানায় যোগদানের পর থেকে তার বলিষ্ঠ নের্তৃত্বের ফলে থানা পুলিশের অভ্যান্তরিন উন্নয়ন ও উপজেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়ন, মাদক নিয়ন্ত্রন ও অপরাধে দমন অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা, সাজা প্রাপ্ত আসামীদের গ্রেফতার এর ফলে অপরাধ প্রবোনতা অনেক হ্রাস পেয়েছে। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়েও সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে আপন করে নেওয়ার গুন রয়েছে তার মধ্যে। তিনি তার সততা ও দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে পুলিশের ভাবমূর্তী উজ্জল করেছেন সর্ব সাধরনের কাছে। পুলিশের প্রতি অনেকেই বিরুপ ধারনা থাকলেও ওসি আব্দুল মতিন এর মত একজন সৎ অফিসারের জন্য পুলিশের ভাবমূর্তী অনেকটা উজ্জল হয়েছে। গোদাগাড়ী মডেল থানার এই ওসির নের্তৃত্বে মাঠে রয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক পুলিশ সদস্যা। এতে করে কিছুটা হলেওয় সফলতা মিলেছে বলে ভূয়সী প্রশংসা করছেন এলাকার সচেতন মহল। তিনি মাদকের বিরুদ্ধে ঝটিকা অভিযানের ফলে বড় বড় চালানসহ হেরোইনের গড ফাদারদের আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। উপজেলার ইভটিজিং, সন্ত্রাস, জঙ্গি তৎপরতা, মাদক, জুয়া, চুরি ও ডাকাতির পরিমাণ কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে এলাকায় অপরাধের সংখ্যাও। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, গোদাগাড়ীর অবনতিশীল আইনশৃংখলা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে যোগদানের পর পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে এনেছেন তিনি। ‘‘পুলিশি জনতা, জনতায় পুলিশ’’। জনগনের প্রকৃত বন্ধু যে পুলিশ সেটা তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন গোদাগাড়ী উপজেলায়। নতুন ওসির চৌকুশ তৎপরতায় উপজেলা জুড়ে অপরাধ কমিয়ে প্রায় শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিষ্ঠাবান তৎপরতায় জনমনে ফিরে এসেছে স্বস্তি। তবে এর ধারাবাহকিতা ধরে রাখার দাবী তুলেছেন শুসীল সমাজ। তিনি দায়িত্ব নেবার পর গোটা উপজলোয় পুলিশের টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী, র্ধষণের আসামি, চোর ডাকাতসহ বহু সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। এতে করে রাজশাহী জেলায় গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও ওসি আব্দুল মতিন উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের পুলিশির নিয়মিত টহলে কমেছে ছিন্নমূল অপরাধীদের দৌরত্ব পৌর শহরের ভিতর অবৈধ যানবাহন চলাচলও ব্যাপক কড়াকড়ি লক্ষ্যে করা গেছে। আটক হয়েছে বহু নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল। শৃংখলা ফিরে এসেছে যানবাহন চলাচলেও। যোগদানের পর ওসির এহেন তৎপরতায় খুশী গোদাগাড়ী উপজলোর র্সবস্তরের মানুষ। স্বস্তিতে আছেন জনসাধারণ। এ উপজেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে এরই মধ্যে তিনি ৯টি ইউনয়িন ও ০২ টি পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সলির, চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্থানীয় সাংবাদিক, বিট পুলিশিং এবং গ্রাম পুলিশদের নিয়ে মাদক, ইভটিজিং, সন্ত্রাস, জঙ্গি তৎপরতা, চুরি ডাকাতি বন্ধে সভা সমাবেশ করছেন। তাঁর নেতৃত্বেই প্রতি রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে এলাকার দাগী চোর, ডাকাত এবং মাদককারবারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। এলাকায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকদের নিয়ে সন্ত্রাস নকশকতা ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচতেনতামূলক সভা ও ধারাবাহিক মানব বন্ধনে সার্বিক সহযোগীতা করে র্বতমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে সচল রাখতে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। গোদাগাড়ী পৌরসভা সহ উপজেলার কামারপাড়া (মেডিকেল মোড়), কলেজ মোড়, সারাংপুর, সুলতানগঞ্জ, জামাতির মোড়, হাটপাড়া, রেলেগেট, চাইপাড়া, মাদারপুর, সাগরপাড়া, মহিশালবাড়ী, ও মাদারপুর ডিমভাঙ্গায় আগে অবাধে মাদক বেচাকেনা করা হতো। ওসি’র বিশেষ নজরদারি ও অভিযানের কারণে ইদানিং সেসব স্থানে কমে গেছে মাদককারবারী ও সেবীদের আনাগোনা। স্কুল কলেজের ছাত্রীদের আসা যাওয়ার পথে পুলিশের র্পযাপ্ত টহলের কারণে কমেছে ইভটিজিং বা মেয়েদের উত্ত্যক্তের ঘটনা। কমেছে বখাটেদের উৎপাত। প্রতিটি এলাকায় মসজিদ কমিটির অনুমতি ছাড়া অপরিচিত কাউকে মসজিদে রাত্রি যাপন এবং আসা যাওয়া করতে দেওয়া হচ্ছে না। উপজলোর কেউ নিখোঁজ রয়েছে কিনা তারও অনুসন্ধান করছেন তিনি। গোগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলনে, থানায় জিডি বা অভিযোগ দিতে গিয়ে এখন আর আগের মতো হয়রানির শিকার হতে হয়না। ওসি আব্দুল মতিন তিনি নিজেই সকলের অভিযোগ শুনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেন এবং কোন র্দুঘটনার খবর পেলে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ওসি’র ব্যাপক তৎপরতায় উপজেলায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক র্পযায়ে চলে এসেছে বলে তিনি দাবি করেন। গোদাগাড়ী মডেল থানার উপপরির্দশক (এসআই) ও থানার সেকেন্ড অফিসার মাহাবুবুর রহমান বলেন, ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের চাঙ্গা রাখতে ওসি স্যার ওয়ারলেস বা মোবাইল ফোনে কিছুক্ষণ পর পর খোঁজ নেন। ওসি স্যার এর উদ্যোম দেখে এখন সারারাত ডিউটিকেও আমাদের কষ্ট মনে হয়না। ওসির বন্ধুসুলভ আচরণে থানার প্রতিটি পুলিশ সদস্য স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। গোদাগাড়ী নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শান্ত কুমার মজুমদার বলেন, ওসি আব্দুল মতিন এর র্কাযক্রমে গোদাগাড়ী উপজেলার হত দরিদ্র পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সাধারন মানুষ থানায় এসে আইনি সেবা পাচ্ছে। এই জন্য ওসির এই রকম র্কাযকলাপ অব্যাহত থাক এই আশা ব্যক্ত করেন। গোদাগাড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র শহিদুল ইসলাম বলেন, ওসি আব্দুল মতিন যোগদানের পর গোদাগাড়ীর আইন শৃংঙ্খলার উন্নতি হয়েছে। স্কুল, কলেজের সামনে বখাটাদের আনা গোনা বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন। তার এই ধারাবাহকিতা অব্যাহত থাকে যেন, এই বলে আশা ব্যক্ত করেন। উপজেলায় কী কী ধরণের অপরাধের সংখ্যা বেশি জানতে চাওয়া হলে ওসি আব্দুল মতিন বলেন, এখানকার প্রধান সমস্যা মাদক বলে তিনি উল্লেখ করে বলেন, আগে মাদক কারবারীদের নির্দিষ্ট স্পট থাকলেও পুলিশের তৎপরতায় এখন এলাকায় মাদকের নির্দিষ্ট কোন আস্তানা নেই। বহুবার আস্তানা তৈরি করতে চাইলেও পুলিশের বিশেষ নজরদারিতে তারা র্ব্যথ হয়েছে। পুলিশের অভিযানে শতাধিক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও কুখ্যাত দাগী কয়কেজন আসামীকে গ্রেফতার করে তাদেরকে আইনের হাতে সোর্পদ করা হয়েছে। পুিলশের নিয়মিত টহলের কারণে অনেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি গোদাগাড়ীর অপরাধ কমানোর কৃতিত্বের অংশীদার জনগণ, রাজনৈতিক নেতা, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রতিনিধিরাও বলে তিনি দাবি করেন। তবে থানার জনবল ও বেশকিছু সমস্যা তুলে ধরে ওসি আব্দুল মতিন বলেন, পোনে চার লক্ষ মানুষের নিরাপত্তা ও আইনশৃংখলা রক্ষায় থানায় যানবাহন বলতে ৩টি গাড়ী। রাতে পুলিশকে গাড়ী ভাড়া নিয়ে ৯টি ইউনিয়নে টহল কাজ চালাতে হয়। এই বিশাল জনসংখ্যার বিপরীতে স্বল্প সংখ্যক পুলিশ সদস্য থাকায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে দিন রাত পুলিশ সদস্যদের ডিউটি করতে হয়। জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আজীবন কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলনে, এ থানাকে সব ধরণের অপরাধমুক্ত একটি আর্দশ মডেল থানা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য যে, সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম বদলী হওয়ার পর নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন ৩১/১০/২০২৩ ইং তারিখে গোদাগাড়ী মডেল থানায় যোগদান করেন।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris