শনিবার

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাহেরপুর পৌরসভায় মেয়র পদে শায়লা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভবনা

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভার উপনির্বাচনে মেয়র পদে দুইজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এঁরা হলেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী ও তাহেরপুর পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলো খন্দকারের মেয়ে খন্দকার শায়লা পারভীন ও তাঁর ছোটভাই তানভীর ইসলাম ফেরদৌস। তবে যাচাই-বাছাইয়ে বোনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন বলে জানিয়েছেন ছোটভাই। গতকাল(১৩ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন তাঁরা দুজনই মনোয়নপত্র জমা দেন। ভাই তানভীর ইসলাম ফেরদৌস মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে খন্দকার শায়লা পারভীন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় মেয়র নির্বাচিত হবেন। এ ছাড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চারজন। আগামী ৯ মার্চ তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ও এক কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুসারে গতকাল মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। যাচাই-বাছাই ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রত্যাহার করা যাবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন। তিনি পদত্যাগ করে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর ফলে মেয়র পদটি শূন্য হয়। বিকেলে খন্দকার শায়লা পারভীন দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে এসে মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় উপকমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. পিএম সফিকুল ইসলাম, জেলা কমিটির সহসভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার আবুল, তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বাক্কার মৃধা মুনসুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক মাহাবুর রহমান বিপ্লব, রাবির সমাজ কল্যাণ বিভাগের শিক্ষক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কোহিনুর বেগম ও যুগ্ম সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। খন্দকার শায়লা পারভীন এর আগে ২০০৩ সালে উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাঁর বাবা আওয়ামী লীগের নেতা ও পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান আলো খন্দকার চরমপন্থীদের হামলায় নিহত হওয়ার পর উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি নির্বাচিত হন।
বোনের বিপক্ষে নিজের প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তানভীর ইসলাম ফেরদৌস জানান, তিনি মূলত বড় বোনের সমর্থনে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। যাচাই–বাছাইয়ে কোনো কারণে বোন বাদ পড়লে তিনি প্রার্থী থাকবেন। বড় বোন টিকে গেলে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন। পৌরসভার বিভিন্ন পেশার লোকজন ও দলীয় নেতা-কর্মী খন্দকায় শায়লা পারভীনকেই মেয়র হিসেবে চাইছেন বলে দাবি সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris