সোমবার

২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিপুণের নতুন ভাবনা

Paris
Update : শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

এফএনএস : আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বৈঠক। সেদিনই চূড়ান্ত করা হবে এবারের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন। এবারও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নিপুণ আক্তার। তাঁর প্যানেল থেকে সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন থাকবেন কি না সে ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে চান না। বরং একটা রহস্যের জানান দিলেন তিনি। নিপুণ বলেন, ‘গতবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আমি বলেছিলাম, আমার প্যানেল থেকে একজন হলেও জাতীয় সংসদের সদস্য হবেন। ফেরদৌস আহমেদ সেটা করে দেখিয়েছেন। এবার যদি বলি, আমার প্যানেলে জাতীয় সংসদের কোনো সদস্য সভাপতি পদপ্রার্থী হবেন, সেটা নিশ্চয়ই ভালো দেখাবে। অপেক্ষা করেন, অনেক চমক আসছে সামনে।’তবে ফেরদৌস শিল্পী সমিতির নির্বাচন করবেন কি না সেটা নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলতে চাননি তিনি। কিছুদিন আগে শিল্পী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন সাইমন সাদিক। তাঁর এই পদত্যাগ নিপুণের চোখ খুলে দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া অভিনেত্রী। তিনি বলেন, “সাইমন পদত্যাগ না করলে ভেতরে ভেতরে জল এত ঘোলা হয়েছে তা বুঝতে পারতাম না। খোঁজ নিয়ে দেখলাম, জাজ মাল্টিমিডিয়া পুরো অনিয়ম করে ‘হুব্বা’ ছবিটি মুক্তি দিয়েছে। তারা কোনো সংগঠনের কথার তোয়াক্কা না করে নিজের সার্ভার ও মেশিন থাকায় ছবিটি মুক্তি দেওয়ার সাহস দেখিয়েছে। এখন আমাদের কাজ হলো কেন্দ্রীয়ভাবে এফডিসির হাতে সার্ভারের দায়িত্ব তুলে দেওয়া। আগে যেমন এফডিসি থেকে প্রিন্ট না করালে ছবি মুক্তি দেওয়া যেত না, তেমনি সামনে এফডিসির সার্ভার ছাড়া ছবি মুক্তি দেওয়া যাবে না-এমন একটা নিয়ম করতে চাই।” নিপুণ জানান, এরইমধ্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে এফডিসিতে যাবেন। সেদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে সব কিছুর ঘোষণা আসবে। নিপুণ এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রথম যে কথাটি সদস্যদের বলবেন সেটাও চূড়ান্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এফডিসিতে যে প্রকল্পটি হচ্ছে, সেখানে অনেক বড় একটা শপিং মল হবে। সেই শপিং মলে আমরা সিনেপ্লেক্স তৈরি করতে চাই। আরো কিছু খাত তৈরি করতে চাই, যেখান থেকে শিল্পীদের জন্য মাসিক একটা আয় আসবে। মলটি থেকে শিল্পীদের তহবিলে যদি পাঁচ লাখ টাকাও আসে, তাহলে সেটা এক বছরে অনেক দাঁড়াবে। পাঁচ বছর পর শিল্পী সমিতিই ছবি নির্মাণ করতে পারবে তখন।’ সাইমন সাদিকের পরে শিল্পী সমিতির ক্যাবিনেট থেকে পদত্যাগ করেছেন জয় চৌধুরীও। বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত নিপুণ। তিনি বলেন, ‘জয় কেন পদত্যাগ করল। তার স্বার্থ কী! এবারের নির্বাচনে আগে যে জিনিসটা করতে চাই তা হলো, যে কেউ চাইলেই নির্বাচন করতে পারবেন না। নির্বাচন করতে তাঁর যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। নামমাত্র দু-একটা সিনেমায় অভিনয়, এসএসসি পাস না, অযথা হিংসা-বিদ্বেষ ছড়ায়-এমন কাউকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।’ এই মুহূর্তে নতুন কোনো চলচ্চিত্রে কাজ করছেন না নিপুণ। নিজের ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তার ওপর আগামী মাসেই শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে প্যানেল গঠন, প্রচার-প্রচারণায় থাকতে হবে। তাই আপাতত নতুন সিনেমার প্রস্তাব থাকলেও করতে ইচ্ছুক নন তিনি। নিপুণ বলেন, ‘বেশ কয়েকটি ছবির ডাবিং বাকি আছে। এই সময়টায় শুধু সেই কাজগুলো শেষ করতে চাই। আমরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও বাড়িয়েছি। সামনে আরো কয়েকটি আউটলেট করতে চাই। ফলে এই মুহূর্তে নতুন সিনেমা হাতে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’


আরোও অন্যান্য খবর
Paris