রবিবার

২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীব্র শীতে বিপাকে বাগমারার আলু চাষীরা

Paris
Update : বুধবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার
রাজশাহী বাগমারায় গত এক সপ্তাহে চলছে কখনো ঘন কুয়াশা কখনো শিরশির বাতাস কখনও শৈত্য প্রবাহ। এতে জনজীবনে যেমন দূর্ভোগ নেমে এসেছে, তেমনি চরম বিপাকে পড়েছে আলু চাষীরা। তীব্র শীতে আলু ক্ষেত্রে ছত্রাকের আক্রমন বেড়েছে, পাতা কুঁকড়ে যাচ্ছে। অতিমাত্রায় শীতের কারণে গাছের বৃদ্ধি বাধা গ্রস্থ হচ্ছে এবং আরলি ব্রাইট দেখা দিয়েছে। এতে ফলন কম হওয়া আশংকা করছেন কৃষকরা। সমস্যা মোকাবেলা করতে গিয়ে দুই একদিন পর পর ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ কয়েকগুন বেড়ে গেছে বলে জানায় চাষীরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কথামতে উপজেলায় আলু চাষের জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯হাজার ৩২০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে প্রায় একই পরিমাণ জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লক্ষ ৪৯ হাজার মে.টন প্রায়। বাগমারা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে গত ৬ জানুয়ারি থেকে অদ্যাবধি উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আলু চাষী আঃ রাজ্জাক জানান, আগে আলু ক্ষেত্রে সাত দিন পর পর ছত্রাক নাশক স্প্রে করি। শীত ঘন কুয়াশার কারণে এক দিন পর পর স্প্রে করতে হচ্ছে। সদর উপজেলার সূর্যপাড়া গ্রামের আলু চাষী আঃ রাজ্জাক জানান, তীব্র শীতে আলুর গাছে আরলি ব্রাইট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এতে ৭২ঘন্টা পর পর ছত্রাক নাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। যার ১কেজি কীটনাশকের দাম ১ হাজার ৭০০ টাকা, একই দিনে শেষ। এতে উৎপাদক খরচ অনেকগুণ বেড়ে যাচ্ছে। ফলনও কম হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাগমারা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এবার উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভবনা হয়েছে। তবে একাধারে শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে আলু ক্ষেতে মড়ক রোগ হতে পারে। যেসকল কৃষকরা আলু শোধন করে চাষ করেছে তাদের রোগ বালাই কম। প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করার জন্য আমাদের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক কৃষকদের সাথে যোগাযোগ রেখে পরামর্শ প্রদান করছেন। বাগমারায় গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা পড়ছে। আশা করি সমস্যা হবেনা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris