বৃহস্পতিবার

৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
মান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল রাসিক মেয়রের সাথে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ সিরাজগঞ্জে হেরোইন বহনের দায়ে গোদাগাড়ীর ২ যুবকের যাবজ্জীবন নিজের নামে কোনো প্রকল্প চান না প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী নগরীতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে : মেয়র গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সোহেল পবায় ছাত্রলীগ নের্তৃবৃন্দের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদের মতবিনিময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত তানোরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন ময়না মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নাশকতা এড়াতে সব জেলায় কঠোর অবস্থানে র‍্যাব-পুলিশ

Paris
Update : মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩

আরা ডেস্ক :

নির্বাচন সামনে রেখে রাজপথের খেলায় কে জিতল, কে হারল- এ নিয়ে চলছে রাজনৈতিক মহলে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির তান্ডবের পর সরকার এখন হার্ডলাইনে। অন্যদিকে মহাসমাবেশ সফল করতে না পারায় কঠিন চাপের মুখে পড়া বিএনপি এখনো রয়েছে অনড় অবস্থানে। বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি আজ মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বিএনপি-জামায়াতকে আর কোথাও সন্ত্রাস ও নাশকতার সুযোগ দেবে না। ফলে জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এতটুকুও কমেনি।

প্রশ্ন উঠেছে, গ্রেপ্তারের ভয়ে রাজপথ ছেড়ে আত্মগোপনে থাকা বিএনপি কীভাবে অবরোধ কর্মসূচি সফল করবে? অতীতের মতো অগ্নিসন্ত্রাস ও চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে জনমনে ভীতির সঞ্চার করে তাদের কর্মসূচি সফলের পথে যাবে? দীর্ঘদিন পর ২৮ অক্টোবর বিএনপি ও জামায়াতের পুনরায় আগুন সন্ত্রাসের পথে হাঁটায় জনমনে এ প্রশ্নটি জোরালোভাবে সামনে উঠে এসেছে। দলটির অধিকাংশ নেতা আত্মগোপনে থাকায় তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি কীভাবে পালন করবে, কোথায় অবরোধ করবে? এ বিষয়টি এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। মহাসমাবেশ পার হওয়ার পর মনোবল হারানো বিএনপির নেতাকর্মী বা সমর্থকরা কী আবারও রাজপথে নামতে পারবে? দলটির অনেক নেতার সঙ্গে কথা বলেও এমন প্রশ্নের কোনো সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, ১০ ডিসেম্বরের পর ২৮ অক্টোবরও বিএনপিকে সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারাকে তাদের প্রাথমিক বিজয় হিসেবেই দেখছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এভাবে রাজপথেই বিএনপিকে মোকাবিলা করে কোণঠাসা করার পথেই এগোচ্ছে দলটি। আগামীতেও সরকারি দল রাজপথে যে হার্ডলাইনে থাকবে সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। তারা বলেছেন, সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিএনপি বা জামায়াত দেশের কোথাও যেন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে জনমনে ভীতির সঞ্চার করতে না পারে সেজন্য সারাদেশের রাজপথে সতর্ক অবস্থানে থাকবে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা। যেখানেই তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের চেষ্টা করবে, সেখানেই তারা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

বছরখানেক ধরেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বলে আসছে, রাজনীতির ফয়সালা হবে রাজপথেই। গত শনিবার ঢাকার রাজপথে সংঘটিত সহিংসতা, নির্মমভাবে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ অসংখ্য যানবাহনে আগুন লাগানোর ঘটনা রাজপথেই সেই ফয়সালারই অংশ হিসেবে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, অতীতের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পথে না থেকে হঠাৎ করেই বিএনপির তড়িঘড়ি সন্ত্রাসের পথে হাঁটার ঘটনা তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির ২০১৪-১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসের ভয়াল রূপ এখনো দেশবাসী ভুলে যায়নি। আর ডিজিটাল যুগে নিজেদের অপকর্ম অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টার রাজনীতি কোনো সফলতা আনবে না সেটাও প্রমাণিত সত্য। ১০ ডিসেম্বরের পর ২৮ অক্টোবরেও সন্ত্রাসের কারণে মহাসমাবেশ পার হওয়ার পর মনোবল হারানো বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের আবারও রাজপথে নামাতে পারবে কি না, সে নিয়েও খোদ দলটির শীর্ষ নেতারাই সন্দিহান। নভেম্বরের প্রথম দিকেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা আর রাজপথে ঘুরে দাঁড়িয়ে সরকারকে চাপে ফেলতে পারবে কি না, এ নিয়েও জনমনে সৃষ্ট প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। তবে দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে জনমনে সৃষ্ট উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা অবসানের পরিবর্তে আরও বেড়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তবে রাজপথের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের শক্তি আরও প্রবল হয়েছে- সেটি গত কয়েকদিনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের কাছে রাজপথে টিকে থাকা যে বিরোধীদের সম্ভব নয় এটিও জানান দিয়েছে দলটির নীতিনির্ধারক মহল। অন্যদিকে সহিংসতার মামলায় ধরপাকড়ের কারণে বিএনপি পড়েছে আরও চাপে। শান্তিপূর্ণ অবস্থান থেকে হঠাৎ করেই অতীতের মতো সন্ত্রাসের পথে গিয়ে বিএনপি যে ভুল করেছে, তার মাশুল আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দলটিকে দিতে হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এ ব্যাপারে বিএনপি নেতাদের স্পষ্ট অবস্থান জানা না গেলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বিএনপির কী হবে জানি না, তবে তাদের সহিংস প্রকৃত চেহারা দেশবাসীর সামনে আবারও ফুটে উঠেছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির যে চেষ্টা চলছিল, বিএনপিই তা কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে। দীর্ঘ সময় বিএনপি বাধাহীন কর্মসূচি পালন করেছে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বা প্রশাসনের তরফে কোথাও তাদের বাধা দেওয়া হয়নি। ২৮ অক্টোবরও তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অঙ্গীকার দিয়েছিল। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই বিএনপি সন্ত্রাসী তা-ব চালিয়েছে। ফলে আগামীতে বিএনপিকে বিনা চ্যালেঞ্জে আর ছাড় দেবে না আওয়ামী লীগ।

এ ব্যাপারে সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একজন পুলিশ সদস্যকে কীভাবে হত্যা করেছে, এটা দেখুন। কত ভয়ংকর তারা। এটাই হলো তাদের আসল চেহারা। রাজনীতিতে এমন কিছু ভুল আছে যেগুলো সংশোধন করার সময় অনেক সময় থাকে না। বিএনপি এমন কিছু দৃশ্যমান অপরাধ আন্দোলনের নামে করেছে, যেটা আজকে গাজায় যে নৃশংসতা সাধারণ মানুষের ওপর হচ্ছে তার চেয়েও ভয়ংকর। বিএনপির লক্ষ্য নির্বাচনকে বানচাল করা, অংশ নেওয়া নয়। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায় বলেই আন্দোলনের নামে সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে। যারা নির্বাচন চায় তারা কখনো এমন সংঘাতের পথ বেছে নিতে পারে না।

২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ প- হওয়ার পর একদিনের হরতাল কর্মসূচি শেষে আজ মঙ্গলবার থেকে টানা তিনদিনের সর্বাত্মক অবরোধের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার থেকে ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, সপ্তাহের শেষ তিন কর্মদিবসে সারাদেশে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। পুলিশের ভয়ে আত্মগোপনে থেকে অজ্ঞাত স্থান থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনদিনের অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন কারাগারে। মহাসচিবের অনুপস্থিতিতে এবং অন্য প্রায় সকল কেন্দ্রীয় নেতা আত্মগোপনে গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি কীভাবে এগুবে, অবরোধ কর্মসূচি কীভাবে সফল করবে- এ প্রশ্নে চলছে নানা আলোচনা। তবে আত্মগোপনে থাকা দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতা তাদের কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে নানা মাধ্যমেই জানান দিচ্ছেন যে, ঢাকায় আন্দোলনের নেতৃত্বে যারা আছেন, তারা গ্রেপ্তার হলে পরের ধাপে তাদের আন্দোলনে কে নেতৃত্ব দেবেন সে পরিকল্পনা তাদের রয়েছে।

সরকারবিরোধী আন্দোলনে এক বছরের বেশি সময় ধরে বিএনপি অনেকটাই শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিল। কিন্তু গত শনিবার নয়াপল্টনে হামলা, সংঘাতের পরিস্থিতিতে বিএনপির মহাসমাবেশই প- হয়ে যায়। পুলিশের এক সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, বিভিন্ন স্থানে আগুন সন্ত্রাসের ঘটনায় বিএনপির নেতাদের অনেকেই আশঙ্কা ব্যক্ত করছেন যে, ২৮ অক্টোবরের সংঘাতের পরিস্থিতিকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে সরকার বিএনপির ব্যাপারে হার্ডলাইনে যেতে পারে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর দমনপীড়ন বাড়তে পারে।

বিএনপির মধ্যম সারির কয়েক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেপ্তারের ভয়ে অধিকাংশ নেতা আত্মগোপনে থাকলেও ঢাকাসহ সারাদেশেই গোপনে ঝটিকা মিছিল এবং অবরোধের পক্ষে তাদের তৎপরতা চলবে। তবে তারাও সন্দিহান যে, আগের মতো কর্মসূচি দিলেই নেতাকর্মীদের যে ঢল নামত, আগামী দিনে হয়তো তা সম্ভব হবে না। সরকার পতনের যে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, শনিবারের ঘটনার পর অধিকাংশ নেতাকর্মী মনে করছে, এমন আন্দোলনে সরকারের কিছুই হবে না। তাই তারা রাজপথে নেমে গ্রেপ্তার কিংবা নির্যাতনের মুখে পড়তে এখন হয়তো সাহস পাবে না। তবে উপযুক্ত সময় হলে তাদের নেতাকর্মীদের অবশ্যই রাজপথে দেখা যাবে।

অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এতদিন বিএনপি-জামায়াতকে রাজপথে ছাড় দিলেও গত শনিবারের আগুন সন্ত্রাসের পর তাদের আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত যাতে আর সহিংসতা করতে না পারে সেজন্য সারাদেশেই দলটির নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থানে থাকবে।
জানা গেছে, এখন শুধু আওয়ামী লীগ এককভাবেই নয়, তাদের সমমনা সকল রাজনৈতিক দলকেও বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে রাজপথে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকা-ের প্রতিবাদে সোমবার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শীর্ষ নেতারাও আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থেকে সকল অপশক্তিকে মোকাবিলার ঘোষণা দিয়েছে। ১৪ দলের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সমমনা অন্যান্য ইসলামিক দলও এখন থেকে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগসহ তাদের সকল মিত্র ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপিকে কোণঠাসা করে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার পথেই যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু সোমবার সমাবেশ থেকে বলেন, বিএনপি সন্ত্রাস-নৈরাজ্য করেছে ২০১৩-১৪ সালে, এখন আবার শুরু করেছে। ইসরাইল যেমন গাজার ওপর হামলা করেছে, বিএনপি একই কায়দায় হামলা শুরু করেছে। বিচার বিভাগকে অপদস্থ করার জন্য প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। দেশকে অকার্যকর করতে, পাকিস্তান বানাতে যারা সংবিধানের ওপর আঘাত করেছে তাদের আর কোনো ছাড় নয়। অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াতীরা যাতে কোনো নৈরাজ্য করতে না পারে, তাদের প্রতিহত করতে রাস্তায় থাকবে নেতাকর্মীরা। এখন থেকে শুরু করে নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবে ১৪ দল। সংবিধান অনুযায়ী আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এর বাইরে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য করলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

সম্প্রতি বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অনলাইনে স্বার্থান্বেষী ও সুযোগ সন্ধানী মহল বিভিন্ন উসকানিমূলক তথ্য, মিথ্যা তথ্য বা গুজব ছড়াচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে র‍্যাব মুখপাত্র কমান্ডার বলেন, বিভিন্ন ধরনের ভিডিও এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। র‍্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম এ সব দুষ্কৃতিকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সার্বক্ষণিক সাইবার জগতে নজরদারি রাখছে।

বিএনপি-জামায়াতসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে তিনদিনের জন্য দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোনো ধরনের নাশকতা ও জানমালের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য সারা দেশেই র‍্যাবের সব ব্যাটালিয়ন প্রস্তুত রয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ৩১ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তিনদিনের জন্য দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এতে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‍্যাব।

তিনি বলেন, দেশব্যাপী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‍্যাব ফোর্সেসের ১৫ ব্যাটালিয়নের তিন শতাধিক টহল দল নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি কার্যক্রম চলবে। কেউ যদি কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা সহিংসতার পরিকল্পনা করে তাকে সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

যে কোন উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাবের স্পেশাল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে। এছাড়া নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে র‍্যাব সার্বক্ষণিক দেশব্যাপী নিয়োজিত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris