সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
একাদশে ভর্তি ১৫-২৫ জুলাই ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে আশঙ্কা কেটে গেছে বাংলাদেশি টাকা পাচার করতে গিয়ে সিপিএম নেতা গ্রেফতার শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে : প্রধানমন্ত্রী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত পবার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন নাবিল গ্রুপ প্রেজেন্টস ৮ম আর ইউ সি সি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

পুঠিয়ায় টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ

Paris
Update : মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

এফএনএস
রাজশাহীর পুঠিয়ায় ৭২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারিদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে আ.লীগের নেতারা অভিযোগ তুলেছেন। পুঠিয়া-দুর্গাপুর এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নিদের্শে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন করা হয়েছে। সরকারি নিয়মনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রধান শিক্ষক,সহকারি প্রধান শিক্ষক এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। উপজেলায় মাধ্যমিক স্কুল ৪৪টি, কলেজ ১২টি, স্কুল এণ্ড কলেজ ৩টি, মাদ্রাসা ১৩টি রয়েছে। প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর হতে প্রভাশালী ব্যক্তির সঙ্গে প্রার্থীরা বিভিন্ন নেতাকর্মীর মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করেন। প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী নিয়োগ নিতে হচ্ছে ৮ হতে ১০ লাখ টাকা দিয়ে। আর প্রধান শিক্ষক,অধ্যক্ষ, সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিতে হলে ২০ হতে ২৫ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষকরা জানায়, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম পক্ষে চারজন করে তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে। শুধুমাত্র দুই পদের জন্য উপজেলায় ২৮৮ জন নিয়োগ হবে। অবশ্য সিংহভাগ নিয়োগ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আর কিছু প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। অর্থনৈতিক সমঝোতা হলেই সেই ব্যক্তিগুলো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। প্রভাবশালী ব্যক্তির অনুমতি এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার চাহিদা মতো ঘুষ ছাড়া নিয়োগ প্রত্রিুয়া করা কোনো ভাবেই সম্ভব হয় না বলে একাধিক প্রধান শিক্ষকরা জানিয়েছেন। যাকে কমিটিতে রাখলে নিয়োগ দিতে সুবিধা হবে তাদেরকেই নিয়োগ কমিটিতে রাখা হয়ে থাকেন। নিয়োগ প্রত্রিুয়ার সকল সদস্যরাই টাকার চুক্তি করে নিয়োগ বোর্ডে বসেন। ২২ সেপ্টেম্বর ধোপাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে ভালুকগাছি ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন,ধোপাপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান মন্টু একজন বিএনপির সত্রিুয় কর্মী ছিলেন। আর ধোপাপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক ওবায়দুল রহমান সে আমার গ্রামের মানুষ। আমি তাকে চিনি সে একজন বিএনপি’র লোক। বর্তমানে হয়তো সে আ.লীগে সেজেছে। টাকা দেওয়ার ব্যাপারে সহকারি প্রধান শিক্ষক ওবায়দুল রহমান বলেন,গত ডিসেম্বর মাসে চাকরি নেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা দিয়েছি তা যুগান্তরের নিকট স্বীকার করেন। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম হীরা বাচ্চু বলেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলো দেওয়া হচ্ছে চুপিচুটি সাড়ে। যেন তাদের পছন্দ বাদে অন্য কেউ বুঝতে পারে না। তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ বিনিময় হওয়ার জন্য,যোগ্যতা বাছাই করা হচ্ছে না এবং অন্য মতাদের্শের বেশিভাগ মানুষদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনের এমপি ডা মনসুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান নিয়োগ দেওয়া। এবং তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী ৮ লাখ হতে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আল্লাহ আমাকে সবকিছুই দিয়েছেন। আমার পরিবারের ছেলেমেয়ে ডাক্তার। তারপর, অক্টোবর মাস হতে প্রধান শিক্ষক অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া যাবে না।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris