শুক্রবার

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাফল্য উপজেলা নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ করাই লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী তানোরে হিমাগারে ভারতীয় আলু মজুদ? অপতথ্য রোধে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর মোহনপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, ২ জন আহত ইউনিয়নের সম্পাদক মাহাতাবের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রাজশাহীর বাস শ্রমিকদের রাজশাহী নগরীতে পলাতক আসামির অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ বাঘায় স্ত্রীর লাঠির আঘাতে আহত শিক্ষকের মৃত্যু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে জনপ্রশাসনে চিঠি শিক্ষামন্ত্রীর জলবায়ু বিপর্যয় উপকূলীয় মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে : গবেষণা

প্রথমবারের মতো আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেঁধে দিল সরকার

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

এফএনএস
বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রথমবারের মতো সরকার তিন কৃষি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে। সেগুলো হলো আলু, দেশী পেঁয়াজ ও ডিম। বেঁধে দেয়া দাম অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতিটি ফার্মের ডিম ১২ টাকা, আলু খুচরা পর্যায়ে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং দেশী পেঁয়াজের দাম হবে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনিশি এই দাম ঘোষণা করে বলেন, নির্ধারিত দামে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে কিনা তা মনিটরিংয়ের জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করবেন। কেউ এর ব্যতয় করলে আইন অনুযায়ী দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভার সিদ্ধান্তসমূহ অবগতির লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের আলোকে আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫-৩৬ টাকা, দেশী পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি ডিমের মূল্য ১২ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে। এছাড়া, প্যাকেটজাত সোয়াবিন ও খোলা সোয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে যথাক্রমে ১৬৯ ও ১৪৯ টাকা এবং পামওয়েলের দাম ৪ টাকা কমিয়ে ১২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। টিপু মুনশি জানান, উৎপাদক, পাইকারী এবং খুচরা পর্যায়ের খরচ ও মুনাফা বিবেচনায় নিয়ে এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে কারো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। যদি কেউ বেশি মুনাফার জন্য অবৈধভাবে পণ্য মজুদ রাখে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ডিমের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এবং বাজারে যদি সেই দামে বিক্রি না হয়, তাহলে আমরা ডিম আমদানির অনুমতি দিবো। প্রথমে সীমিত আকারে অনুমতি দেয়া হবে। এরপরও যদি দাম না নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ব্যাপক আকারে আমদানি করা হবে। ডিম আমদানির জন্য মন্ত্রণালয়ে বেশ কিছু আবেদন এসেছে বলে জানান তিনি। টিপু মুনশি বলেন, ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা হওয়ায় আমরা এ দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। প্রতি পিস ডিম এখন থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করা হবে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিম আমদানির সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি বলেন, বাজার পর্যালোচনা করে সীমিত আকারে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। যদি ডিম প্রতি পিস ১২ টাকায় খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করা হয়, তাহলে আমদানির বিষয়টি অতো গুরুত্ব পাবে না, সীমিত আকারে করা হবে। কিন্তু দাম ১২ টাকায় সীমিত না থেকে বাড়ানো হয়, কিংবা সুযোগ নেওয়া হয়, তাহলে বেশি করে আমদানি করা হবে। বাজার ঠিক রাখার জন্যই আমদানি করা হবে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিকার থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) বাজার মনিটরিং করবেন। জেলা-উপজেলাসহ বড় বড় শহরগুলোয় এই মনিটরিং চলবে। আজকের (গতকাল বৃহস্পতিবার) ঘোষণার পরে সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজ স্টোর করার সুবিধা নেই। কিন্তু ডিমের ক্ষেত্রে বড়ো সুবিধাটা রয়েছে। সেটা হলো ডিম আমরা আমদানি করতে পারবো। এতে বাজারের বাড়তি দামের প্রভাবটা কমানো সম্ভব। ডিমের দাম যে ১২টাকা ঠিক করা হয়েছে, এটি খুবই ন্যায্য। কোনো অবস্থাতেই এটা কম না, যথেষ্ট ভালো দাম। এ সময় তিনটা কৃষি পণ্যের দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা গতকাল (গত বুধবার) একটি মিটিং করেছি। সেখানে আমরা তিনটা কৃষি পণ্যের দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পেঁয়াজ, আলু এবং ডিম এই তিনটি কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণ করছি। কৃষি ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত কিন্তু আমরা কৃষি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিইনি। আজকেই প্রথম কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলাম। সব কিছু বিবেচনায় নিয়েই করা হয়েছে আশা করছি এটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো। তিনি আরও বলেন, আমরা আলুর উৎপাদন ব্যয় কোল্ডস্টোরেজে রাখাসহ সবকিছু হিসেব করে আলু দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। তবে ঢাকায় যদি এ দাম হয় তাহলে চট্টগ্রামে এটা একটু বাড়তে পারে। সারা বাংলাদেশকে বিবেচনায় নিয়েই ভোক্তা পর্যায়ে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আর কোল্ড স্টোরেজ গেটে আলুর দাম হবে ২৬ থেকে ২৭ টাকা কেজি। এই দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে আসরা আইনগতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত। কৃষি বিপনন আইন ২০১৮ সেখানে এ ক্ষমতা দেওয়া আছে। এদিকে সব দিক বিবেচনায় নিয়ে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের যৌক্তিক সর্বোচ্চ মূল্য প্রতি কেজি ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা হওয়া উচিত। তবে স্থান ভেদে এক টাকা ব্যবধান হয় দূরত্ব অনুযায়ী। এটা কৃষি মন্ত্রণালয় সব কিছু বিচার বিবেচনা করেই আমাদের এটা বলেছে। এখন থেকেই নতুন মূল্য কার্যকর হবে কিনা? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, দাম তো কেবল মাত্র ঘোষণা হলো প্রচার হতে একটু সময় লাগবে। আশা করছি দুয়েকদিনের মধ্যে এ দাম কার্যকর হবে। ভোক্তা অধিকার আজকে থেকে নামবে। ডিম কি আজ থেকেই আমদানি করা হবে? জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজ থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি; আমাদের কাছে চারটি আবেদন পড়েছে। তবে আমরা আজ বা কাল থেকেই ডিম আনবো সে কথা বলতে চাই না। যেহেতু আমরা ১২ টাকা দাম নির্ধারণ করলাম, এখন আমরা দেখতে চাই এই দাম কার্যকর করে কিনা। যদি দেখা যায় এই দাম চলছে তাহলে আমরা আমদানি স্লো করবো। দাম না কমলেও কিছু ডিম আমদানি শুরু করে দেব। সেটা করতে তিন চার দিন সময় দরকার হবে। সাধারণ সময়ের চেয়ে তিন পণ্যের দাম বেশি মনে হচ্ছে কিনা, জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, আমরা নির্ধারণের ক্ষেত্রে গত ৬ মাসের দাম বিবেচনায় নিয়েছি। তাই কৃষি ও মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যে দাম বলেছে আমরা সেটাই করেছি৷ সব কিছু বিবেচনায় নিয়েই এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩ টাকা পিস সেটা ১২ টাকা করা হয়েছে। পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি সেখান থোকে কমিয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা করেছি। আর আলু ৪৫ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে সেটা ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা করেছি। যদি অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তাহলে কি ব্যবস্থা নেবেন? উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আলু বর্তমানে কৃষকের ঘরে নেই। সব চলে গেছে কোল্ডস্টোরেজে। সেখানে ২৭ টাকা টাকার বেশি বিক্রি করতে দেব না। যদি তারা সে দামে বিক্রি না করে আটকে রাখে তাহলে আমাদের ক্ষমতা দিয়ে সেখান থেকে বের করে নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হবে। প্রয়োজনে নিলাম করে দেব যাতে দাম ২৭ টাকা থাকে। পেঁয়াজ এরকম স্টোর করা সুযোগ নেই। কারণ, কৃষি মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ে পর্যালোচনা করে এই দাম নির্ধারণ করেছে। কাজেই এখানে কোনো সমস্যা হবে না। বাজারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, যদি দৈবদুর্বিপাক ঘটলে আমাদের কিছু করার থাকবে না। নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করছি না। সেটা জলে প্রচলিত যে আইন আছে সে অনুযায়ী ভোক্তা অধিকার ব্যবস্থা নেবে। মোট কথা আইনে যা যা আছে সেটার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে। এদিকে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা ও কেজিতে ৪ টাকা কমবে পাম তেলের দাম। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সয়াবিন তেল বোতলজাত ১৭৪ টাকা থেকে ৫ টাকা কমিয়ে ১৬৯ টাকা প্রতি লিটার এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৫৪ টাকা থেকে ১৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর পাম তেলে ১২৮ টাকা থেকে ১২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দুয়েকদিনের মধ্যেই এ দাম কার্যকর করা হবে। আজকের ঘোষণার পরে সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হবে। তিনি বলেন, আমদানি পণ্যের মধ্যে তেল ও চিনি আমাদের বেশি প্রয়োজন। চিনি আমাদের ৯৯ শতাংশ আমদানি করতে হয়। আর তেল ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। চিনির ডিউটির ভ্যালুসহ সব কিছু ধরে আমরা মাঝে মাঝে দাম নির্ধারণ করে দিই। সয়াবিন তেল একসময় ২০৫ টাকা হয়ে গিয়েছিল। সেটা কমতে কমতে ১৭৪ টাকা হয়েছে। আর যেটা খোলা বিক্রি হয় সেটা ১৫৪ টাকা। সে হিসেবে ৩৫ টাকার মতো দাম কমেছে। টিপু মুনশি আরও বলেন, আজকেই আমরা আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি পাম এবং সয়াবিন তেলের দাম আরও কমানো হবে। সেখানে সয়াবিন তেল লিটারে ৫ টাকা ও পাম তেল ৪ টাকা কমানো হবে। আজ এবং কালকের মধ্যে ঘোষণা করবে কোম্পানিগুলো। বর্তমানে আমাদের চিনির দাম খোলা প্রতি কেজি ১২০ ও প্যাকেটজাত ১৩৫ টাকা কেজি। এটা এখনও কমানোর মতো অবস্থা হয়নি। ভারত থেকে আনতে পারলে দাম কম পড়তো। কিন্তু ভারত বন্ধ করে দিয়েছে। এ ছাড়া ৪০ টাকার ওপরে সরকার ডিউটি নির্ধারণ করেছে। কাজেই আগের দামেই রয়েছে। তবে আমরা বাজার পর্যবেক্ষণের মধ্যে আছি যে মুহূর্তে দেখবো আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে সে মুহূর্তে দেশের বাজারে দাম কমিয়ে দেব। এদিকে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হতে পারে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এবার সেই ৫ হাজার টন হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। বাজারে ইলিশের দাম চড়ার পরেও রপ্তানির সিদ্ধান্ত কেন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইলিশ আমরা নিয়মিত রপ্তানি করিনি। শুধু দুর্গাপূজায় যেসব বাঙালি আমাদের মতো ইলিশ খেয়ে থাকেন, তাদের জন্য এই উৎসবের সময় শুভেচ্ছাস্বরূপ ইলিশ দেওয়া হয়। যেমন, আমের সময় আমরা আম পাঠাই। সারা বছর কিন্তু আমরা এক ছটাকও ইলিশ রপ্তানি করিনি। এই ১৫ দিন কিংবা এক মাসের জন্য টোকেনস্বরূপ কিছু ইলিশ রপ্তানি করব। দেশে বছরে ছয় লাখ টন ইলিশ উৎপাদন হয়, এমন তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেই হিসাবে প্রতিদিন যদি আমরা ধরি, তাহলে গড়ে দুই হাজার টন ইলিশ ধরা হয়। বড়জোর ইলিশ পাঁচ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি করব। তাতে সারা বছরের দুই দিনের উৎপাদন আমরা তাদের দেব এই পূজার সময়। তিনি বলেন, পাঁচ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি আমাদের লক্ষ্য। গত বছর এই সমপরিমাণ দিয়েছি। আগের বছরও পাঁচ হাজার কিংবা তিন হাজার দিয়েছিলাম। তিন হাজার দিয়ে যদি পারি, তাহলে এর বেশি আমরা দেব না। এতে বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন টিপু মুনশি। কবে থেকে এটা কার্যকর হবে, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা পূজার সময়ে প্রতি বছর দিই। এবারও দেব। আর বিষয়টি আবেদনের ওপর নির্ভর করে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে হয়ত ৫০ টন করে দেব। এ পর্যন্ত ৬০ থেকে ৬৫টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। তাতে তিন হাজার বা সাড়ে তিন হাজার টন ইলিশ পাঠানো হতে পারে। প্রসঙ্গত, গত বছর ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ৫০ মেট্রিক টন করে মোট ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ইলিশ রপ্তানির শর্তে বলা হয়েছিল, রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে; শুল্ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা রপ্তানি করা পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করাতে হবে; প্রতিটি কনসাইনমেন্ট শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত কাগজপত্র রপ্তানি-২ অধিশাখায় দাখিল করতে হবে; অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ পাঠানো যাবে না। সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, ট্রেড এণ্ড ট্যারিফ কমিশন এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris