মঙ্গলবার

৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের চন্দ্রজয়ের নেপথ্যে ৫৪ নারী বিজ্ঞানী-প্রকৌশলী

Paris
Update : শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৩

এফএনএস
পৃথিবীর চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রজয় করে বুধবার ইতিহাস গড়েছে ভারত। এর আগে আর কোনো দেশ যা পারেনি, এদিন সেটিও করে দেখিয়েছে তারা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করা প্রথম যান হিসেবে নাম লিখিয়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। এই সাফল্যের নেপথ্যে ছিলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) একদল উদ্যমী বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী। আর তাদের মধ্যে ৫৪ জনই ছিলেন নারী।
ভারতের চন্দ্রজয়ের নেপথ্যে যারা : এক্ষেত্রে প্রথমেই আসবে ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমানাথের নাম। চাঁদে ভারতের উচ্চাভিলাষী মিশনের পেছনে প্রধান মস্তিষ্ক হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে। এটি ছাড়াও গগনযান (যাত্রীবাহী মিশন) এবং আদিত্য-এল ১ (সূর্য মিশন) সহ আরও অনেক মিশনে অবদান রয়েছে এস সোমানাথের। তিনি ছাড়া এ চন্দ্রাভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল চন্দ্রযান-৩ প্রকল্পের পরিচালক পি ভিরামুথুভেল, মিশন পরিচালক মোহনা কুমার, বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের পরিচালক এস উন্নীকৃষ্ণান নায়ার, ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের পরিচালক এম শঙ্করন, লঞ্চ অথরাইজেশন বোর্ডের (ল্যাব) প্রধান এ রাজারাজন এবং সহযোগী প্রকল্প পরিচালক কে কল্পনার। ভারতের চন্দ্রাভিযানে নেতৃত্ব পর্যায়ে পুরুষদের আধিপত্য দেখা গেলেও এতে নারীদের অবদানও কম নয়। জানা যায়, এ মিশনে মোট ৫৪ জন নারী বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। তারা সহযোগী পরিচালক, উপ-প্রকল্প পরিচালক এবং বিভিন্ন সিস্টেমের প্রকল্প ব্যবস্থাপকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইসরোর এক কর্মকর্তা। ভারতীয় উপমহাদেশে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের জন্য বাধার অন্ত নেই। কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে তারাও আপন যোগ্যতাবলে সফল হতে পারেন- এটিই যেন বুঝিয়ে দিলেন ইসরোর নারীরা। গত বুধবার চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণের পরই আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন ইসরোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাদ যাননি নারীরাও। তাদের সেই উল্লাসের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। শাড়ি পরা এসব নারীর দিকে ইঙ্গিত করে কেউ কেউ বলেছেন, কাজের ক্ষেত্রে পোশাক কোনো বাধা নয়। আবার কেউ বলেছেন, বইকে যেমন তার মলাট দিয়ে বিবেচনা করা যায় না, তেমনি পোশাক দিয়ে মানুষকে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris