রবিবার

২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তানোরে খবার কবলে বৃষ্টি নির্ভর আমনখেত

Paris
Update : সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩

আলিফ হোসেন, তানোর

রাজশাহীর তানোরের বিভিন্ন এলাকায় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিযেছে। অধিকাংশ  নলকূপ থেকে পানি উঠছে না। আবার যেগুলোতে উঠছে তাতে এক গ্লাস পানি তুলতে হাঁসফাঁস অবস্থা।এদিকে বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় প্রায় দেড়শ” হেক্টর বৃষ্টি নির্ভর আমণখেত খরার কবলে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বাধাইড় ইউপির গাল্লা, হরিশপুর, বৈদ্যপুর, জুমারপাড়া, সাইধাড়া, কলমা ইউপির বংপুর, চৈতপুর,বিল্লী, মুন্ডুমালা পৌর এলাকা, পাঁচন্দর ইউপির বিভিন্ন মাঠে বিপুল পরিমাণ আমণখেত খরার কবলে পড়েছে। এতে কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট আবাদ যোগ্য জমি আছে ২৩ হাজার ৯৯৩ হেক্টর, সেচের আওতায় জমি রয়েছে ২২ হাজার ৩৩২ হেক্টর। সেচ বহির্ভূত জমি আছে এক হাজার ৬৬১ হেক্টর, এক ফসলী জমি রয়েছে ৩৪৪ হেক্টর, দুই ফসলী জমি রয়েছে ৪ হাজার ৫৪০ হেক্টর, তিন ফসলী জমি রয়েছে ১৯ হাজার ১০৯ হেক্টর। বাধাইড় ইউপির বাধাইড় গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম, সাদিকুল ইসলাম দু রুল হুুুদা জানান, তারা প্রতিবছর রোপাআমন চাষ  করে থাকেন। এই অঞ্চলে  একটা সময় শ্রাবন মাস জুড়েই রোপা-আমণ রোপণ করা হতো। কিন্তু এখন আলু চাষের জন্য আষাঢ় ও শ্রাবনের প্রথম সপ্তাহের দিকেই রোপণ হয়ে যায়। উপজেলার স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত আদর্শ কৃষক নুর মোহাম্মাদ বলেন, অতীতে শ্রাবন মাস জুড়েই জমি রোপন করা হতো। কিন্তু ইদানিং  আলু চাষের জন্য আগাম রোপন করে থাকেন। কারন রোপনের আগেই আলুর জন্য জমি লীজ হয়ে যায়। এসব টার্গেট করে কৃষকরা বীজও আগাম করেন। তিনি বলেন, আগামি দু”চার দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে বীজের বয়স হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বেশী বয়সী  বীজ রোপন করলে ফলন কম হবে। রোপা আমন বৃষ্টির পানি নির্ভর ফসল। কিন্তু জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবের কারনে একদিন বৃষ্টি হচ্ছে তো ছয় সাত দিন বৃষ্টির  দেখা নেই।  গত ১৪ জুলাই শুক্রবার থেকে ২১ জুলাই শুক্রবার পর্যন্ত ৩৪, ৩৩, ৩৫ ও ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার সঙ্গে ছিল  প্রচন্ড রোদ ও ভ্যাবসা গরম। গত ২১ জুলাই শুক্রবারে বৃষ্টির সম্ভবনা ছিল বলে আবহাওয়া দপ্তর অবহিত করেছিল। কিন্তু  সন্ধ্যার পর থেকে মেঘলা আকাশ থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। এবিষয়ে বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, ইউপির বেশির ভাগ জমি রোপন হয়নি। কিন্তু চাষ করা আছে। একটা ভারি বর্ষন হলেই কৃষকরা জমি রোপন করতে পারবেন। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, এবারে রোপা আমনের লক্ষমাত্রা ২১ হাজার ৫০০ হেক্টর, এখন পর্যন্ত রোপন হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমি। শ্রাবন মাস জুড়েই রোপা আমন রোপন করে থাকেন কৃষকরা। বৃষ্টির পানি না হলে অবশ্যই সেচের ব্যবস্থা করে জমি রোপন করা হবে। এক ইঞ্চি পতিত জমি রাখা হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris