রবিবার

২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধের দাবি

Paris
Update : শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০২৩

এফএনএস

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে (ডিএসএ) মুক্ত ও অবাধ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বাধা বলে দাবি করেছেন সাংবাদিক নেতারা। মুক্ত সাংবাদিক নিশ্চিত করতে সরকারকে এ আইন বাতিলের দাবি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সার্ক ফোয়ারা প্রাঙ্গণে আরটিভি সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে রাজারবাগ পীর সিন্ডিকেটের করা মামলার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি করা হয়। ‘আমরা গণমাধ্যমকর্মী’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, অনেক প্রতিবাদ হয়েছে। আমাদের সামনে সরকারের পক্ষ থেকে একটি মুলা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মুলাটা কি? মন্ত্রী বলেন সংশোধিত হবে. যেদিন সংসদে উত্থাপন হলো, সেদিন মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার সংসদে মিথ্যাচার করেছেন। যখন সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন করা হয় তখন আইনমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, কোথাও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনি নিজেই একজন আইনজীবী হিসেবে সে আইন পরিচালনা করবেন। আজ পর্যন্ত তাকে একটি মামলাও পরিচালনা করতে দেখিনি। তিনি আরও বলেন, পাঁচ দিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে, তথ্যমন্ত্রীও পরের দিন একই কথা বলেছেন। আমরা অবশ্যই তা স্বীকার করছি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা ভোগ করছে এ অর্থে, একটি বা দুটি এখন চ্যানেলের বদলে এখন ৪০টির কাছাকাছি ইলেকট্রনিক চ্যানেল। সংখ্যার দিক থেকে সংবাদপত্র বা টেলিভিশনের স্বাধীনতা এসেছে, কিন্তু গুণের দিক থেকে নয়, সংবাদের দিক থেকে এখনো আমরা সংকোচন নীতিতে আছি। সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে এটি সংশোধন করা হবে। কিন্তু সংসদের জন্য যারা অংশীদার আছে তাদের কি ডাকা হয়েছে? তাদের কি বলা হয়েছে? কোন কোন ধারাগুলো সংশোধন করলে সাংবাদিক বিবর্তনমূলক ধারা বাতিল হবে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাছে আহ্বান জানিয়ে এ সাংবাদিক নেতা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাতিল এবং অগ্রহণযোগ্য ঘোষণা করে বিবৃতি প্রকাশ করবে। ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি মোরসালিন নোমানী বলেন, শুধুমাত্র অধরা ইয়াসমিনের নামেই নয়, এর আগেও একাধিক সাংবাদিকের নামে মামলা হয়েছে। সব সাংবাদিকদের সঙ্গে আছি এবং থাকবো। ২০১২ সালে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় সাংবাদিকদের নামে মামলা হতো, এখন সেটি সংশোধন করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আরও শক্তিশালী করে করা হয়েছে। এ আইন প্রণয়ন হওয়ার পরে পেশাগত দায়িত্ব পালন কঠিন হয়ে উঠেছে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক নির্বাহী সদস্য গোলাম মুজতবা ধ্রুব বলেন, সাংবাদিকদের নামে মামলা হলে সারাদেশে আন্দোলন হবে। স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিত করার লক্ষে যে সাংবাদিকেরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন তার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যেসব সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন সেসব হত্যার বিচার করতে হবে। ডিজিটাল আইন বাতিলের দাবি করে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে আইনের মামলাটি প্রত্যাহার করতে হবে। শুধু মামলা প্রত্যাহার করলে হবে না, এ ভণ্ডপীরের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। ঢাকা সংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা সংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ, ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুক্কুর আলী শুভ, ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ শারমীন, রিপোর্টার এগেইনস্ট করাপশন-(র‌্যাক) সাধারণ সম্পাদক জেমসন মাহবুব, সাব-এডিটর কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি নাসিমা আক্তার সোমা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris