এফএনএস
দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলজুড়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ, তা আব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। চৈত্রের শেষ পর্যায়ে এসে গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তীব্র গরমে রাতে ঘুমাতেও পারছেন না অনেকে। শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগীরা গরমে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। একদিকে রমজান মাস, আবার গরম ক্রমেই বাড়তে থাকায় শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাসও দিতে পারেনি আবহাওয়া বিভাগ। এর মানে গরমের তীব্রতা থেকে সহসাই মুক্তি মিলছে না। গত রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দাবদাহে নগরবাসীরও দুর্ভোগের শেষ নেই। গরমের সঙ্গে নগরজুড়ে রয়েছে তীব্র যানজটের ভোগান্তি। আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হামিদ মিয়া জানান, গতকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগসহ মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল সোমবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল নীলফামারীর ডিমলায়। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।