শুক্রবার

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাফল্য উপজেলা নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ করাই লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী তানোরে হিমাগারে ভারতীয় আলু মজুদ? অপতথ্য রোধে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর মোহনপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, ২ জন আহত ইউনিয়নের সম্পাদক মাহাতাবের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রাজশাহীর বাস শ্রমিকদের রাজশাহী নগরীতে পলাতক আসামির অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ বাঘায় স্ত্রীর লাঠির আঘাতে আহত শিক্ষকের মৃত্যু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে জনপ্রশাসনে চিঠি শিক্ষামন্ত্রীর জলবায়ু বিপর্যয় উপকূলীয় মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে : গবেষণা

টাকা ফেরতের জন্য মাদ্রাসার সুপারের কলার ধরে টানাহেঁছড়া!

Paris
Update : শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩

আব্দুস সবুর, তানোর
রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার আমশো দাখিল মাদ্রাসার সুপার মুনসুর রহমান আলমগীর নামের এক ব্যক্তিকে চাকুরী দেওয়া কথা বলে ৪ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু চাকুরীও দেননি এবং টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। এঘটনায় সুপার মুনসুরের কাছ থেকে টাকা ফেরতের জন্য কলার ধরে টানা হেছড়া করেছেন আলমগীরের স্বজনরা। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে পৌর সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে ঘটে কলার ধরা ও টানা হেছড়ার ঘটনাটি। শুধু আলনগীরের কাছে না সুপার একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে চাকুরী দেওয়ার নামে লাখলাখ টাকা নিয়েছেন বলে অহরহ অভিযোগ রয়েছে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা সুপারকে উত্তম মাধ্যম দিতে তেড়ে ধরেন, পালিয়ে রক্ষা পায় সুপার। ফলে এমন সুপারকে আইনের আওতায় আনার দাবি উঠেছে সব মহল থেকে। জানা গেছে, উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন মোহর গ্রামের আলমগীরকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে কয়েক বছর আগে প্রায় ৪ লাখ টাকা নিয়েছেন আমশো দাখিল মাদ্রাসার সুপার মুনসুর রহমান। কিন্তু চাকুরীও দিচ্ছেন না, আবার টাকা ফেরত দিতে নানা তালবাহানা করে আসছেন সুপার। এঅবস্থায় চলতি মাসের ৩০ মার্চ দুপুর ১২ টার দিকে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে সুপারকে পেয়ে টাকা দেওয়ার কথা বলেন আলমগীরের স্বজন ধানতৈড় গ্রামের হাসেম আলী। সুপার টাকা দিতে অস্বীকার করলে হাশেমসহ তার লোকজন পাঞ্জাবীর কলার ধরে আইনের হাতে তুলে দিতে চান।
সুপার মুনসুর জানান, চাকুরী দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়া হয়নি। আর আলমগীরকে আমি চিনিনা। প্রায় এক বছর আগে হাসেমের কাছ থেকে সুদের উপর একলাখ টাকা নিয়েছিলাম। এখন হাসেম বলছে সুদ বেড়ে ৪ লাখ টাকা হয়েছে। পরে বসে মিমাংসা করা হয়েছে। কিভাবে মিমাংসা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান যে ভাবে হোক হয়েছে বলে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তবে হাসেম জানান, কোন সুদের টাকা না, চাকুরী দেওয়ার কথা বলে আমার আত্মীয় আলমগীরের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। আজ কাল করে তালবাহানা করে আসছে। মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইকবাল মোল্লা জানান, ঘটনা সম্পর্কে অজানা। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘটনা অজানা, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris