শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

দুই লাখ ২৭ হাজার ৫৬৬ কোটি ৯ লাখ টাকার সংশোধিত এডিপি অনুমোদন

Paris
Update : বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩

এফএনএস
চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) জন্য দুই লাখ ২৭ হাজার ৫৬৬ কোটি ৯ লাখ টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন হয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস হতে অর্থায়ন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬ কোটি ৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস হতে অর্থায়ন হবে ৭৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে মূল এডিপিতে বরাদ্দ দুই লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা থেকে ১৮ হাজার ৫’শ কোটি টাকা কমিয়ে সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বুধবার শেরেবাংলা নগরে এনইসি’র সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়। এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘সংশোধিত এডিপিতে দুই লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়ন কমছে না। এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়নের এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকা অপরিবর্তিত থাকছে। তবে বিদেশি সহায়তা থেকে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা কম বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। তাতে সংশোধিত এডিপিতে বিদেশি সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে সাড়ে ৭৪ হাজার কোটি টাকায়। বর্তমানে এডিপিতে এক হাজার ৩৬৩টি প্রকল্প আছে। পরিকল্পনা কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, সংশোধিত এডিপিতে পরিবহন ও যোগাযোগ সেক্টরে প্রায় ৬১ হাজার ৮১০ কোটি টাকা (২৭.১৬ শতাং), বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি সেক্টরে প্রায় ৩৮ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা (১৬.৮৪ শতাংশ), গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলি সেক্টরে প্রায় ২৫ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা (১১.৪০ শতাংশ), স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সেক্টরে প্রায় ২০ হাজার ২৩১ কোটি (৮.৮৯শতাংশ), শিক্ষা সেক্টরে প্রায় ১৮ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা (৮.১০ শতাংশ), স্বাস্থ্য সেক্টরে প্রায় ১২ হাজার ৭৪৫ কোটি (৫.৬০ শতাংশ)। পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ: প্রায় ১২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা (৫.৫ শতাংশ), কৃষি সেক্টরে প্রায় ৯ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা (৪.১৩ শতাংশ), সেক্টরে শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা: প্রায় ৪ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা (২.০৬ শতাংশ), ধর্ম,সংস্কৃতি ও বিনোদন সেক্টরে প্রায় ৪ হাজার ২৭১ কোটি টাকা (১.৮৮ শতাংশ) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের ১০টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ হচ্ছে- স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রায় ৩৯ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা (১৭.৬৮ শতাংশ),সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে প্রায় ২৯ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা (১৩.৩৬ শতাংশ), বিদ্যুৎ বিভাগে প্রায় ২৫ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা (১১.২৮ শতাংশ), রেলপথ মন্ত্রণালযয়ে প্রায় ১২ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকা (৫.৬৩ শতাংশ), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রায় ১২ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা (৫.৪৭ শতাংশ), পানি সম্পদ মন্ত্রণালযয়ে প্রায় ১১ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা (৫.০৭ শতাংশ), স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে প্রায় ৯ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা (৪.৩৭ শতাংশ), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালযয়ে প্রায় ৭ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা (৩.৪৮ শতাংশ), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে প্রায় ৭ হাজার ২১৮ কোটি টাকা (৩.২৩ শতাংশ) এবং সেতু বিভাগ: প্রায় ৭ হাজার ৬৭ কোটি টাকা (৩.১৬ শতাংশ)। এদিকে, চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটে দেখা গেছে, দেশীয় অর্থ খরচে দক্ষ হলেও বৈদেশিক ঋণ ব্যবহারে অদক্ষ ভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ফলে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রকল্পে দেশীয় অর্থায়নের পুরোটাই খরচ হলেও বৈদেশিক ঋণ ছোঁয়া হয়নি। এনইসি সভা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট চলছে। ফলে অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ টাকা খরচ করতে পারেনি। কোনো মন্ত্রণালয় আবার বৈদেশিক ঋণ ছাড় করতে পারেনি। প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ব্যবহার না করার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে এনইসি সভায়। সভায় বৈদেশিক ঋণ ব্যবহার ও দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা আসে। পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, সংশোধিত এডিপিতে ১৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কমেছে। এই বিষয়ে সরকার সজাগ আছে। সরকারি অর্থ ব্যবহারে সবাই দক্ষ। কারণ আমরা আমাদের দেশের আইন-কানুন জানি। কিন্তু বৈদেশিক ঋণ ব্যবহারে নানা জটিলতা আছে। কারণ বৈদেশিক ঋণ একেক দেশের একেক আইনে আসে। সচিব বলেন, জিওবি ব্যবহারে সক্ষমতা বাড়ছে। দেশি অর্থ খরচ সহজ। উন্নয়ন সহযোগীদের আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা জটিল।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris