শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তানোরে ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পুনঃখননকৃত খাড়িতে ধান চাষ!

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

তানোর প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের হাতিশাইল-ঘৃতকাঞ্চন খাড়ি পুনঃখননে পুকুর চুরির অভিযোগ উঠেছে। জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, বইছে সমালোচনার ঝড়। খাঁড়ি পুনঃখননের বছর না পেরুতেই যদি সেখানে ধান চাষ হয়, তাহলে এতো টাকা ব্যয়ে খাঁড়ি পুনঃখনন কার স্বার্থে।
স্থানীয়রা বলছে, শুধুমাত্র সরকারি অর্থ অপচয়ের উদ্দেশ্যে কোনো সাম্ভব্যতা যাচাই না করে হাতিশাইল-ঘৃতকাঞ্চন খাড়ি পুনঃখনন করায় জনমনে এসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সুত্রপাত হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। স্থানীয়রা প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনে স্থানীয় সাংসদ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আকুল আবেদন করেছেন। স্থানীয় সুত্র জানায়, তানোরে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে টেকসই ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০টি সমিতির মাধ্যমে হাতিশাইল-ঘৃতকাঞ্চন প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার খাড়ি পুনঃখননে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা এবং ২০২২ সালের ২০ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো দরপত্র আহবান করা হয়নি। অযথা খাড়ি পুনঃখননে কৃষকের ক্ষতি বৈ লাভ হবে না, তবে সংশ্লিষ্টদের পকেট ভারী হবে নিশ্চিত বলে মনে করছেন কৃষকেরা। স্থানীয়রা জানান, এই খাড়ি পুনঃখননের কোনো মানে হয় না। এটা সরকারী অর্থের অপচয় ও কৃষকের দুর্ভোগ ছাড়া কিছু নয়। তারা বলেন, কৃষকের মতামত উপেক্ষা করে এর আগে বিএমডিএ প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে একবার খাড়ি খনন ও ক্রসড্যাম নির্মাণ করেছে যেটা কৃষককের ক্ষতি ব্যতিত অন্য কিছু নয়। কারণ একটু বৃষ্টিতে ক্রসড্যামে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয় আবার শুস্ক মৌসুমের আগেই খাড়ি শুকিয়ে যায়। অথচ সেই খাড়ি আবার পুনঃখননের হেতু কি ? আর এতে লাভ কার কৃষকের না খননকারির ? এদিকে গত ৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার সরেজমিন দেখা গেছে, গত বছর প্রায় ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে খনন করা খাড়ির বুকে বোরো ধানের খেত। যেনোতেনোভাবে পুনঃখনন ও সেই মাটি ফেলা হয়েছে খাঁড়ির পাড়ে এতে নষ্ট হয়েছে আবাদি জমির ফসল। এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়নে যে কাজ হয়েছে সেটাও দায়সারা। স্থানীয় কৃষক মিলন, আজিজুল ও মেহেদি বলেন, অযথায় খাড়ি পুনঃখনন এটা সরকারি অর্থ তছরুপ বৈ কিছু নয়। তারা খাড়ি পুনঃখনন কাজের শুরুতে বন্ধের দাবি করেছিলেন। বিএমডিএ’র নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে এই খাড়ি পুনঃখনন করার কোনো মানে হয় না। এতে অসময়ে জলাবদ্ধতা আবার শুস্ক মৌসুমের আগেই পানি শুণ্যতা দেখা দিবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে এসব খাড়ি পুনঃখনন করা হয় না। তবে আরো বিস্তারিত জানতে হলে তিনি অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris