শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

লালমনিরহাটে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা

Paris
Update : শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৩

এফএনএস
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শুক্রবার রাতে পাটগ্রাম পৌরসভার নিউ পূর্বপাড়ায় নিজ বাসার গেটের সামনে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হন তিনি। নিহত এম ওয়াজেদ আলী পাটগ্রাম পৌরসভার নিউ পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি পাটগ্রাম মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এবং লালমনিরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবেদ আলীর ছোট ভাই। তিনি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক উপকমান্ডার ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পাটগ্রাম পৌর শহরে কাজ শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসার গেটে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কারা কেন তার উপর হামলা চালিয়েছে তা নিশ্চিত করা যায়নি। ঘটনার প্রকৃত ও কারণ খুনিদের অনুসন্ধানে তদন্ত করছে পুলিশ। পাটগ্রাম থানা ওসি ওমর ফারুক বলেন, কারা কেন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা অনুসন্ধানসহ হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলীকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এ সময় হত্যায় জড়িতদের আটকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে পাটগ্রাম পৌর শহরে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড কমিটি। মিছিলটি পাটগ্রাম মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স কার্যালয় থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে ধরলা মোড়ে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে বীর মুক্তিযোদ্ধার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। তিন দিন কালোব্যাজ ধারণ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। সমাবেশে বক্তব্য দেন- উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সালাউরুজ্জামান ফারুক, জাকির হোসেন, আবদুর রশিদ ও পাটগ্রাম পৌর কাউন্সিলর আজিজুল ইসলাম দুলাল।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris