বৃহস্পতিবার

২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
মোহনপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, ২ জন আহত ইউনিয়নের সম্পাদক মাহাতাবের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রাজশাহীর বাস শ্রমিকদের রাজশাহী নগরীতে পলাতক আসামির অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ বাঘায় স্ত্রীর লাঠির আঘাতে আহত শিক্ষকের মৃত্যু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে জনপ্রশাসনে চিঠি শিক্ষামন্ত্রীর জলবায়ু বিপর্যয় উপকূলীয় মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে : গবেষণা গোপন নথিতে উঠে এল ইরানি কিশোরীকে যৌন নিপীড়ন-হত্যার ঘটনা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নির্মিত তাঁবু গুটাতে কলাম্বিয়া শিক্ষার্থীদের অস্বীকৃতি আজ মহান মে দিবস তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখলো দেশবাসী

মতিঝিলের রাস্তা বিএনপির পছন্দ কেন: তথ্যমন্ত্রী

Paris
Update : বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২

প্রকৃতপক্ষে জনসভা নয়, ১০ ডিসেম্বর ইস্যু বানিয়ে বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ। মতিঝিলের রাস্তা তাদের এত পছন্দ কেন- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এর পেছনে দুরভিসন্ধি আছে। তারা সমাবেশ করতে চায় না। ইস্যু তৈরি করতে চায়, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। কেউ এ চেষ্টা চালালে দলের নেতারা জনগণকে নিয়ে তা প্রতিহত করবে। গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মিশরে অনুষ্ঠিত ‘কপ-২৭ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ নিয়ে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তথ্যমন্ত্রী। হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আলোচনার সময় বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়েছিল। যেখানে বাংলাদেশের সব বড় বড় জনসভা হয়েছে। যে ময়দান থেকে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন, যে ময়দানে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছে, যেখানে অতীতেও তারা অনেক জনসভা করেছে। আমরা তো নিয়মিতই করি। সেখানে তাদের যেতে অতো অস্বীকৃতি কেন, অনিহা কেন? তারা রাস্তায় শুধু জনসভা করতে চায়। তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাস্তায় জনসভা করে তারা গাড়ি ভাঙচুর করতে চায়। তারা জনজীবনে বিপত্তি ঘটাতে চায়। নাগরিকরা রাস্তায় জনসভা করার বিরুদ্ধে। কিন্তু তারা রাস্তায় চেয়ে বেড়াচ্ছে। এটি তো কোনোভাবেই একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। মাঠের বিকল্প মাঠ হতে পারে। সেটা বলে না। বলে এ রাস্তা, না হয় ওই রাস্তা। নয়া পল্টন না হলে বঙ্গভবনের সামনে। তারা বলছে অন্য রাস্তা বা মতিঝিলের রাস্তা। মতিঝিল ঢাকা শহরের সবচাইতে ব্যস্ততম সড়ক। মতিঝিলের রাস্তা কেন তাদের এত পছন্দ? যেখানে অনেক ব্যাংক-বিমা আছে। যেখানে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। এটা কেন তাদের এত পছন্দ? এর পেছনে একটি গভীর ষড়যন্ত্র এবং দুরভিসন্ধি আছে। তিনি বলেন, দেশে প্রকৃতপক্ষে তারা কোনো জনসভা করতে চায় না। এটিকে ইস্যু বানাতে চায় এবং দেশে একটি বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টায় তারা আছে। আমাদের সরকার দেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবে না। যেহেতু রাষ্ট্র পরিচালনা করছে একটি দলীয় সরকার, সেহেতু আমাদের দলেরও কর্তব্য আছে। দলের নেতাকর্মীদের কর্তব্য আছে। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালালে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবে। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ও ইশরাক হোসেনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আগুন সন্ত্রাসীরা তো বিএনপির নেতাকর্মী। এটি করার জন্য বিএনপি নেতারাই নির্দেশ ও অর্থ দিয়েছিলেন। এটির ভিডিও এবং অডিও রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। তাদের হাতে আগুন ও মানুষের রক্ত লেগে আছে। তাদের বিরুদ্ধে তো মামলা আছে। জামিন বাতিল হলে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তাদের জামিন আদালত বাতিল করেছে। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ দেশের মালিক জনগণ। এ দেশে কে ক্ষমতায় থাকবে কে থাকবে না সেটি নির্ধারণ করবে জনগণ। এখানে কূটনীতিকদের বেশি কথা বলার সুযোগ নেই। দুঃখজনক হলেও সত্য বিএনপি ক্ষণে ক্ষণে কূটনীতিকদের কাছে ছুটে যায়। কেউ কাউকে কোলে করে ক্ষমতায় বসাবে না। এ দেশের কূটনৈতিকরা কাউকে ক্ষমতায় বসানোর ক্ষমতা রাখে না। তিনি বলেন, কূটনৈতিকদের কাছে বারবার ছুটে গিয়ে বিএনপি নিজেদের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করছে। তারা এভাবে ছুটে যায় বিধায় কূটনীতিকরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতিরিক্ত কথা বলার সুযোগ পায়। তারা যদি এভাবে ছুটে না যেত, কূটনৈতিকরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলার সুযোগ পেতো না। যখন বিদেশি কূটনীতিকরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বেশি কথা বলে তখন দেশের সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে আমি মনে করি এটি হস্তক্ষেপ হয়ে দাঁড়ায়। এটি হওয়া সমীচীন নয়।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris