সোমবার

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বব্যাপী অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে

Paris
Update : সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২

সরবরাহ চেইন সমস্যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর চালান আটকে থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের বড় বড় অস্ত্র সংস্থাগুলো উৎপাদন ও বিক্রয় বাড়িয়েছে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই বা সিপ্রি) এর নতুন তথ্য অনুসারে, ২০২১ সাল থেকে বিশ্বের ১০০টি বৃহত্তম প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর অস্ত্র ও সামরিক পরিষেবার বিক্রয় ১.৯ শতাংশ বেড়ে ৫৯২ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।  সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ত্র শিল্প ডেটাবেস রিপোর্টে সিপ্রি বলেছে, কোভিডের সময় থেকে অস্ত্র উৎপাদনের গড় বৃদ্ধি কমতে শুরু করেছিল বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। কারণ, অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল সময় মতো পাওয়া যাচ্ছে না। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তা আরোও খারাপ হয়েছে। সিপ্রির রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা দেশগুলিতে অস্ত্রের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু সেই তুলনায় কাঁচামালের সরবরাহ হচ্ছে না। ফলে চাহিদা থাকলেও অস্ত্রের উৎপাদন কম হচ্ছে। এর ফলে ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে সেনাবাহিনীর সংস্কার সংক্রান্ত যে পদক্ষেপগুলি নেয়ার কথা বলা হয়েছে, তা-ও সমস্যার মুখে পড়তে পারে। ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য হাজার হাজার ডলার বরাদ্দ করছে অস্ত্র এবং গোলা-বারুদ কেনার জন্য। কিন্তু চাহিদা মতো অস্ত্র মিলছে না বলে দাবি করা হয়েছে। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, অস্ত্র তৈরির গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল আসে রাশিয়ার কাছ থেকে ইউরোপ এবং অ্যামেরিকা রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সেই কাঁচামাল হাতে আসছে না। অন্যদিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়ার অস্ত্র ব্যবসা সামান্য বাড়লেও তারাও সমস্যার মুখোমুখি। নিষেধাজ্ঞার কারণে অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অনুঘটক বা সেমি কনডাক্টর তারা জোগাড় করতে পারছে না। কাঁচামাল এবং অস্ত্র বিক্রির দাম পেতেও তাদের অসুবিধা হচ্ছে। কোভিডের সময় থেকেই অস্ত্রের বাজারে মন্দা শুরু হয়েছিল। কাঁচামাল সরবরাহে সমস্যার কারণেই সে সময় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। মনে করা হয়েছিল, ২০২১ সালে অস্ত্রের বাজার আবার ঊর্ধ্বমুখী হবে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তা হতে পারেনি বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। সূত্র: আলজাজিরা, ডয়েচে ভেলে

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris